দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় এসে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতা ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি। গত রোববার বিকেল ৫টায় ঢাকা থেকে পাথরঘাটায় আসার পর সিএমবি এলাকায় প্রবেশ করা মাত্রই মনির গাড়িবহরে এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক, আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক এমপি নূরুল ইসলাম মনি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক।
তেল-গ্যাস ও অন্যান্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিতে পাথরঘাটা আসেন মনি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, ঢাকা থেকে গাড়ি বহর নিয়ে পাথরঘাটার নাচনাপাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়িতে যাবার পথে হামলার চেষ্টা চালায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাথরঘাটা থানা পুলিশের ওসি ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সংঘর্ষের জড়াতে বাধা দিলেও তারা হামলা চালায়। এতে সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুকসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিদ মক্কী বলেন,সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকা- ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগ গতকাল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, সাবেক এমপি নূরুল ইসলাম মনি পাথরঘাটায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এজাহারে আসামি হিসেবে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওরফে মনি, তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক ও সদস্যসচিব এম কামরুল ইসলামসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে।
গতকাল দুপুরে পাথরঘাটা থানায় মামলাটি করেন উপজেলা কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু। পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আবুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনা : হামলায় ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল -সংবাদ
আরও খবরমঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২২ ভাদ্র ১৪২৯ ৯ সফর ১৪৪৪
প্রতিনিধি, পাথরঘাটা (বরগুনা)
বরগুনা : হামলায় ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল -সংবাদ
দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় এসে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতা ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি। গত রোববার বিকেল ৫টায় ঢাকা থেকে পাথরঘাটায় আসার পর সিএমবি এলাকায় প্রবেশ করা মাত্রই মনির গাড়িবহরে এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক, আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক এমপি নূরুল ইসলাম মনি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক।
তেল-গ্যাস ও অন্যান্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিতে পাথরঘাটা আসেন মনি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, ঢাকা থেকে গাড়ি বহর নিয়ে পাথরঘাটার নাচনাপাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়িতে যাবার পথে হামলার চেষ্টা চালায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাথরঘাটা থানা পুলিশের ওসি ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সংঘর্ষের জড়াতে বাধা দিলেও তারা হামলা চালায়। এতে সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুকসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিদ মক্কী বলেন,সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকা- ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগ গতকাল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, সাবেক এমপি নূরুল ইসলাম মনি পাথরঘাটায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এজাহারে আসামি হিসেবে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওরফে মনি, তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক ও সদস্যসচিব এম কামরুল ইসলামসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে।
গতকাল দুপুরে পাথরঘাটা থানায় মামলাটি করেন উপজেলা কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু। পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আবুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।