মানিচেঞ্জারদের ডলার সহায়তা দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক

খোলাবাজারে ডলার সংকটে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী নগদ ডলার দিতে পারছে না মানিচেঞ্জারগুলো। তাই ব্যাংকগুলোর মতো মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা চায়।

মানিচেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক সাংবাদিকদের বলেন এখন ডলার সংকট চলছে। আমাদের কাছে অনেক গ্রাহক আসে আমরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডলার দিতে পারছি না। আমরা চাই এ সংকটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেন ব্যাংকগুলোর মতো মানিচেঞ্জারকে প্রয়োজনে ডলার সরবরাহ করে। এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছেও সরাসরি বৈঠকে এ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব শেষ বৈঠকে আমাদের জানানো হয় বিষয়টি নোট করা হয়েছে পর্যালোচনা করে জানাবে তারা।

এদিকে রিজার্ভ থেকে এই মুহূর্তে মানিচেঞ্জারগুলোকে ডলার সহায়তা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।।

গত সোমবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু তারা বেশিরভাগ সময় খোলা বাজারে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করে থাকে। তাই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডলার সংগ্রহ করতে হবে।

মুখপাত্র বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা ডলার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি, ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরকারি পেমেন্ট বা বিভিন্ন প্রকল্পের আমদানি দায় মেটানোর জন্যই এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ডলার সংকট মোকাবিলায় এই মুহূর্তে মানিচেঞ্জারগুলোকে ডলার সহায়তার কথা ভাবছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

মুখপাত্র আরও বলেন, মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দুই মাস ১ দিনে রিজার্ভ থেকে ২৫৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, ডলার বিক্রির চাপে গত রোববার দিন শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩৮ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। গত ১২ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

এরপর ২০ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। জুলাইয়ের শেষে তা কমে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩ ভাদ্র ১৪২৯ ১০ সফর ১৪৪৪

মানিচেঞ্জারদের ডলার সহায়তা দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

খোলাবাজারে ডলার সংকটে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী নগদ ডলার দিতে পারছে না মানিচেঞ্জারগুলো। তাই ব্যাংকগুলোর মতো মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা চায়।

মানিচেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক সাংবাদিকদের বলেন এখন ডলার সংকট চলছে। আমাদের কাছে অনেক গ্রাহক আসে আমরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডলার দিতে পারছি না। আমরা চাই এ সংকটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেন ব্যাংকগুলোর মতো মানিচেঞ্জারকে প্রয়োজনে ডলার সরবরাহ করে। এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছেও সরাসরি বৈঠকে এ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব শেষ বৈঠকে আমাদের জানানো হয় বিষয়টি নোট করা হয়েছে পর্যালোচনা করে জানাবে তারা।

এদিকে রিজার্ভ থেকে এই মুহূর্তে মানিচেঞ্জারগুলোকে ডলার সহায়তা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।।

গত সোমবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু তারা বেশিরভাগ সময় খোলা বাজারে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করে থাকে। তাই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডলার সংগ্রহ করতে হবে।

মুখপাত্র বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা ডলার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি, ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরকারি পেমেন্ট বা বিভিন্ন প্রকল্পের আমদানি দায় মেটানোর জন্যই এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ডলার সংকট মোকাবিলায় এই মুহূর্তে মানিচেঞ্জারগুলোকে ডলার সহায়তার কথা ভাবছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

মুখপাত্র আরও বলেন, মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দুই মাস ১ দিনে রিজার্ভ থেকে ২৫৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, ডলার বিক্রির চাপে গত রোববার দিন শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩৮ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। গত ১২ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

এরপর ২০ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। জুলাইয়ের শেষে তা কমে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।