ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আরও বিনিয়োগে উৎসাহ দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আরও বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপে বাজারের সার্বিক চিত্র বদলে গেছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত সোমবার চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে কোন ব্যাংক একক বা যৌথভাবে শেয়ার ধারণের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। শেয়ার, করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও অন্য পুঁজিবাজার নির্দেশপত্রে বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক ক্রয়কৃত মূল্যকে বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ছাড়া পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড গঠন করা হয়েছে। তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে আগামীতেও এ ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশের বন্ড মার্কেটের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করার জন্য ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় থেকেই ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে, বিশেষ করে বন্ড মার্কেটে আরও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

দেশের আর্থিক খাতের সার্বিক স্বার্থে প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী বন্ড মার্কেট উন্নয়নসহ বিএসইসির বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।

বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩ ভাদ্র ১৪২৯ ১০ সফর ১৪৪৪

ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আরও বিনিয়োগে উৎসাহ দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আরও বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপে বাজারের সার্বিক চিত্র বদলে গেছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত সোমবার চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে কোন ব্যাংক একক বা যৌথভাবে শেয়ার ধারণের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। শেয়ার, করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও অন্য পুঁজিবাজার নির্দেশপত্রে বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক ক্রয়কৃত মূল্যকে বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ছাড়া পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড গঠন করা হয়েছে। তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে আগামীতেও এ ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশের বন্ড মার্কেটের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করার জন্য ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় থেকেই ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে, বিশেষ করে বন্ড মার্কেটে আরও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

দেশের আর্থিক খাতের সার্বিক স্বার্থে প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী বন্ড মার্কেট উন্নয়নসহ বিএসইসির বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।