আবারো মঞ্চে আসছে শংকর সাওজালের ‘নির্বাসন দণ্ড’

শংকর সাওজাল, একধারে একজন অভিনেতা, নাট্যরচয়িতা, নাট্যনির্দেশক এবং একজন ফটোগ্রাফার। শংকর সাওজালের স্কুল জীবন কেটেছে পিরোজপুরেই। পরবর্তী সময় চারুকলাতে ভর্তি হলেও কিছুদিন পর তা ছেড়ে দিয়েছেন। এক সময় উদীচীর সঙ্গে নিজেকেজ সম্পৃক্ত করেন। কিন্তু নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তাদের সঙ্গে মতবিরোধ হয় বলে সেখান থেকে বের হয়ে তার স্ত্রী রুমানা রহমানসহ জামি-রুমি, জহির, পুতু, আলমসহ বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ‘কারক নাট্য সম্প্রদায়’ নামে নাটকের দল গড়ে তোলেন।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার দলই প্রথম পথনাটক প্রদর্শন করে বলে জানান। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑ ‘মহারাজার অনুপ্রবেশ’, ‘টিয়া পাখির সমাচার’, ‘আমরা তোমাদের ভুলবোনা’, ‘সার্কাস সার্কাস’, নূর হোসেনকে নিয়ে ‘জাগে লক্ষ নূর হোসেন’ এবং এই দলের একমাত্র মঞ্চস্থ নাটক ছিলো শংকর সাওজালেরই রচিত ও নির্দেশিত ‘নির্বাসন দ-’।

শংকর সাওজাল জানান, আবারো দ্রুতই নাটকটি মঞ্চে আনা হচ্ছে। টিভি নাটকে শংকর সাওজালকে প্রথম দেখা যায় হুমায়ূন আহমেদের দুই পর্বের নাটক ‘কুসুম’-এ। পরবর্তীতে আরো বেশকিছু নাটকে তাকে অভিনয়ে দেখা যায়। এক জীবনের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে শংকর সাওজাল বলেন,‘ প্রাপ্তির বিষয়টি চিন্তা করে জীবনে কখনো কাজ করিনি। তবে এই যে মানুষ ভালোবাসে, এটাই জীবনের অনেক বড় পাপ্তি। যে কাজগুলো আমি করছি, সে কাজগুলো আমৃত্যু করে যেতে চাই। কোন কিছুর অপেক্ষা না করেই তা করে যেতে চাই।’ শংকর সাওজালের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। তার এক মেয়ে যুক্তা ও এক ছেলে অঙ্গন। তার জন্মদিন ২ জুন। ১৯৬৫ সাল থেকে ক্যামেরাই ছিলো তার সময় কাটানোর মূল অবলম্বন। ক্যামেরাই সর্বতভাবে তার প্রাণময়তাকে বাঁচিয়ে রাখে- এটা তার বিশ^াস।

বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩ ভাদ্র ১৪২৯ ১০ সফর ১৪৪৪

আবারো মঞ্চে আসছে শংকর সাওজালের ‘নির্বাসন দণ্ড’

বিনোদন প্রতিবেদক

image

শংকর সাওজাল, একধারে একজন অভিনেতা, নাট্যরচয়িতা, নাট্যনির্দেশক এবং একজন ফটোগ্রাফার। শংকর সাওজালের স্কুল জীবন কেটেছে পিরোজপুরেই। পরবর্তী সময় চারুকলাতে ভর্তি হলেও কিছুদিন পর তা ছেড়ে দিয়েছেন। এক সময় উদীচীর সঙ্গে নিজেকেজ সম্পৃক্ত করেন। কিন্তু নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তাদের সঙ্গে মতবিরোধ হয় বলে সেখান থেকে বের হয়ে তার স্ত্রী রুমানা রহমানসহ জামি-রুমি, জহির, পুতু, আলমসহ বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ‘কারক নাট্য সম্প্রদায়’ নামে নাটকের দল গড়ে তোলেন।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার দলই প্রথম পথনাটক প্রদর্শন করে বলে জানান। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑ ‘মহারাজার অনুপ্রবেশ’, ‘টিয়া পাখির সমাচার’, ‘আমরা তোমাদের ভুলবোনা’, ‘সার্কাস সার্কাস’, নূর হোসেনকে নিয়ে ‘জাগে লক্ষ নূর হোসেন’ এবং এই দলের একমাত্র মঞ্চস্থ নাটক ছিলো শংকর সাওজালেরই রচিত ও নির্দেশিত ‘নির্বাসন দ-’।

শংকর সাওজাল জানান, আবারো দ্রুতই নাটকটি মঞ্চে আনা হচ্ছে। টিভি নাটকে শংকর সাওজালকে প্রথম দেখা যায় হুমায়ূন আহমেদের দুই পর্বের নাটক ‘কুসুম’-এ। পরবর্তীতে আরো বেশকিছু নাটকে তাকে অভিনয়ে দেখা যায়। এক জীবনের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে শংকর সাওজাল বলেন,‘ প্রাপ্তির বিষয়টি চিন্তা করে জীবনে কখনো কাজ করিনি। তবে এই যে মানুষ ভালোবাসে, এটাই জীবনের অনেক বড় পাপ্তি। যে কাজগুলো আমি করছি, সে কাজগুলো আমৃত্যু করে যেতে চাই। কোন কিছুর অপেক্ষা না করেই তা করে যেতে চাই।’ শংকর সাওজালের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। তার এক মেয়ে যুক্তা ও এক ছেলে অঙ্গন। তার জন্মদিন ২ জুন। ১৯৬৫ সাল থেকে ক্যামেরাই ছিলো তার সময় কাটানোর মূল অবলম্বন। ক্যামেরাই সর্বতভাবে তার প্রাণময়তাকে বাঁচিয়ে রাখে- এটা তার বিশ^াস।