‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র’ উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি

ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির আলোচনায় অগ্রগতি

রামপাল বিদ্যুৎন্দ্রের একটি ইউনিট যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটে নির্মিত এ প্রকল্পটি গতকাল দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে উদ্বোধন করেন দুই দেশের সরকারপ্রধান।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি লিখেছেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় উৎপাদিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।’

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) অধীনে ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট’ নামে স্থাপন করা হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।

১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ করছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল)।

বিআইএফপিসিএলে ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সম-অংশীদারিত্ব থাকলেও শতভাগ বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে।

কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকিতে ফেলবে বলে তার বিরোধিতা করে আসছে পরিবেশবাদীরা। সুন্দরবন থেকে আরও দূরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের দাবি ছিল তাদের।

তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুন্দরবন রক্ষায় সর্বাধুনিক ‘সুপার ক্রিটিক্যাল’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে, যাতে পরিবেশের ক্ষতি ন্যূনতম মাত্রায় রাখা হবে।

বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের অধীনে ভারতীয় উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে এক দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে।

বিআইএফপিসিএল সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি (৬৬০ মেগাওয়াট) সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। অক্টোবরের শুরুতে এটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে।

৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিট আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিআইএফপিসিএল জানায়, পরিবেশগত প্রভাব কার্যকরভাবে প্রশমিত করতে সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে। ফ্লু গ্যাস নির্গমনের বিস্তৃত বিচ্ছুরণের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা চিমনি (২৭৫ মিটার) রয়েছে। কয়লার জন্য একটি অগ্রিম জাহাজ আনলোডার নির্মাণের পাশাপাশি একটি সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত কয়লা স্টক ইয়ার্ড, কম ছাই ও সালফার সামগ্রীসহ উচ্চ গ্রেডের আমদানি করা কয়লা ব্যবহারসহ অন্য ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মেগা পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট চালু হয়ে গেলে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে একটি।

প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৬ এপ্রিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪০০ কেভি জিআইএস সুইচইয়ার্ড ও আন্তঃসংযোগকারী ট্রান্সফরমারটি সক্রিয় করা হয়েছিল। তারপর থেকে এটি পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের ২৩০ কেভি গ্রিড সিস্টেমে ৪০০ কেভি বিদ্যুতের হুইলিং সুবিধা প্রদান করছে। যাতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে খুলনা অঞ্চলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাঠাতে সক্ষম হয়।

ভার্চুয়ালি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধনের আগে দুই প্রধানমন্ত্রী হায়দরাবাদ হাউজে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে স্বাক্ষরিত সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।

ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে অগ্রগতি

এদিকে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়েও অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনকে (আইওসি) স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

তেল রপ্তানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা গতকাল বিশেষ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বিভিন্ন সামগ্রী রপ্তানি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। তেল ওইসব সামগ্রীর অন্যতম। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতের আইওসিকে চিহ্নিত করেছে। নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানির এই বিষয় নিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি তৈরি হতে কিছুটা সময় লাগবে। বিষয়টি নিয়ে আইওসি ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনছে।

বাংলাদেশ সেই সুবিধা ভারত থেকে পেতে পারে কি না এবং এ সংক্রান্ত আলোচনা দুই নেতার মধ্যে হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এ কথা বলেন।

রাশিয়ার তেল নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু না বলে তিনি সামগ্রিক পণ্য সরবরাহ প্রসঙ্গে আইওসিকে চিহ্নিত করার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সামগ্রিক পণ্যের মধ্যে তেলও পড়ছে। তবে তা কত দিনে বাস্তবায়িত হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি নির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি।’

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছান।

বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩ ভাদ্র ১৪২৯ ১০ সফর ১৪৪৪

‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র’ উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি

ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির আলোচনায় অগ্রগতি

সংবাদ ডেস্ক

রামপাল বিদ্যুৎন্দ্রের একটি ইউনিট যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটে নির্মিত এ প্রকল্পটি গতকাল দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে উদ্বোধন করেন দুই দেশের সরকারপ্রধান।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি লিখেছেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় উৎপাদিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।’

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) অধীনে ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট’ নামে স্থাপন করা হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।

১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ করছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল)।

বিআইএফপিসিএলে ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সম-অংশীদারিত্ব থাকলেও শতভাগ বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে।

কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকিতে ফেলবে বলে তার বিরোধিতা করে আসছে পরিবেশবাদীরা। সুন্দরবন থেকে আরও দূরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের দাবি ছিল তাদের।

তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুন্দরবন রক্ষায় সর্বাধুনিক ‘সুপার ক্রিটিক্যাল’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে, যাতে পরিবেশের ক্ষতি ন্যূনতম মাত্রায় রাখা হবে।

বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের অধীনে ভারতীয় উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে এক দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে।

বিআইএফপিসিএল সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি (৬৬০ মেগাওয়াট) সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। অক্টোবরের শুরুতে এটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে।

৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিট আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিআইএফপিসিএল জানায়, পরিবেশগত প্রভাব কার্যকরভাবে প্রশমিত করতে সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে। ফ্লু গ্যাস নির্গমনের বিস্তৃত বিচ্ছুরণের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা চিমনি (২৭৫ মিটার) রয়েছে। কয়লার জন্য একটি অগ্রিম জাহাজ আনলোডার নির্মাণের পাশাপাশি একটি সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত কয়লা স্টক ইয়ার্ড, কম ছাই ও সালফার সামগ্রীসহ উচ্চ গ্রেডের আমদানি করা কয়লা ব্যবহারসহ অন্য ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মেগা পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট চালু হয়ে গেলে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে একটি।

প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৬ এপ্রিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪০০ কেভি জিআইএস সুইচইয়ার্ড ও আন্তঃসংযোগকারী ট্রান্সফরমারটি সক্রিয় করা হয়েছিল। তারপর থেকে এটি পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের ২৩০ কেভি গ্রিড সিস্টেমে ৪০০ কেভি বিদ্যুতের হুইলিং সুবিধা প্রদান করছে। যাতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে খুলনা অঞ্চলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাঠাতে সক্ষম হয়।

ভার্চুয়ালি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধনের আগে দুই প্রধানমন্ত্রী হায়দরাবাদ হাউজে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে স্বাক্ষরিত সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।

ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে অগ্রগতি

এদিকে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়েও অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনকে (আইওসি) স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

তেল রপ্তানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা গতকাল বিশেষ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বিভিন্ন সামগ্রী রপ্তানি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। তেল ওইসব সামগ্রীর অন্যতম। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতের আইওসিকে চিহ্নিত করেছে। নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানির এই বিষয় নিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি তৈরি হতে কিছুটা সময় লাগবে। বিষয়টি নিয়ে আইওসি ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনছে।

বাংলাদেশ সেই সুবিধা ভারত থেকে পেতে পারে কি না এবং এ সংক্রান্ত আলোচনা দুই নেতার মধ্যে হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এ কথা বলেন।

রাশিয়ার তেল নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু না বলে তিনি সামগ্রিক পণ্য সরবরাহ প্রসঙ্গে আইওসিকে চিহ্নিত করার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সামগ্রিক পণ্যের মধ্যে তেলও পড়ছে। তবে তা কত দিনে বাস্তবায়িত হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি নির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি।’

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছান।