মিনিকেট চালে প্রতারণা বন্ধে মাঠে নামবে ভোক্তা অধিদপ্তর

প্রতারণা বন্ধে মোটা চাল খাওয়ার পরামর্শ

মানুষকে মোটা চাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান। বাজারে মিনিকেট বলতে কোন চাল থাকবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, মিনিকেট চাল প্রতারণা বন্ধে অধিদপ্তর অভিযানে নামবে।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সুপারশপ প্রতিনিধি ও ভোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেন। এ সময় ভোক্তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও সুপারশপের খাবারের মান নিয়ে আলোচনা হয়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও আগোরা, স্বপ্ন, ইউনিমার্ট ইত্যাদি সুপারশপের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। চাল, মসুর ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, লবণ এসব পণ্যের বিক্রয়মূল্যের তথ্য সুপারশপের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থাপন করেন।

সেখানে প্যাকেটজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সুপার সপগুলো অণুঘটক হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে অধিদপ্তর। তাই সুপারসপগুলোর আউটলেটে মনিটর বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ জানানো জরিমানার অংশ হিসেবে ১৬ জন ভোক্তাকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দেয়া হয়। মিনিকেট চাল প্রতারণা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘মিনিকেট চাল বলতে কোন চাল বাজারে থাকবে না। আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় ‘ডিক্লিয়ারেশন’ দিয়েছে, মিনিকেট চাল প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। আমরা অভিযানে নামবো।’

এ বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদেরও একটু সচেতন হওয়া উচিত। মোটা চাল খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। মোটা চালের ভাত খেতেও মজা। মোটা চাল খেলে এসব মিনিকেট চাল তৈরির সুযোগ থাকবে না।’

সভার পর সন্ধ্যায় সফিকুজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুপারশপগুলো ২৯ শতাংশ মুনাফা করে। এটা অতিরিক্ত। এজন্য আমরা কিছু দিনের মধ্যে সুপারশপ ও তাদের সাপ্লায়ার যারা তাদের নিয়ে বসবো।’

এদিকে আজ সকাল ১০টায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আরেকটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। সেখানে সাবান, ডিটারজেন্ট, টুথপেস্ট, লিকুইড ক্লিনার ইত্যাদি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা হবে।

সেখানে পণ্যের উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে, তারা যাতে পণ্যগুলোর দুই বছর আগের দাম, ছয় মাস আগের দাম ও বর্তমান দামের চিত্র নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়।

বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩ ভাদ্র ১৪২৯ ১০ সফর ১৪৪৪

মিনিকেট চালে প্রতারণা বন্ধে মাঠে নামবে ভোক্তা অধিদপ্তর

প্রতারণা বন্ধে মোটা চাল খাওয়ার পরামর্শ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মানুষকে মোটা চাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান। বাজারে মিনিকেট বলতে কোন চাল থাকবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, মিনিকেট চাল প্রতারণা বন্ধে অধিদপ্তর অভিযানে নামবে।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সুপারশপ প্রতিনিধি ও ভোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেন। এ সময় ভোক্তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও সুপারশপের খাবারের মান নিয়ে আলোচনা হয়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও আগোরা, স্বপ্ন, ইউনিমার্ট ইত্যাদি সুপারশপের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। চাল, মসুর ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, লবণ এসব পণ্যের বিক্রয়মূল্যের তথ্য সুপারশপের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থাপন করেন।

সেখানে প্যাকেটজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সুপার সপগুলো অণুঘটক হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে অধিদপ্তর। তাই সুপারসপগুলোর আউটলেটে মনিটর বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ জানানো জরিমানার অংশ হিসেবে ১৬ জন ভোক্তাকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দেয়া হয়। মিনিকেট চাল প্রতারণা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘মিনিকেট চাল বলতে কোন চাল বাজারে থাকবে না। আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় ‘ডিক্লিয়ারেশন’ দিয়েছে, মিনিকেট চাল প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। আমরা অভিযানে নামবো।’

এ বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদেরও একটু সচেতন হওয়া উচিত। মোটা চাল খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। মোটা চালের ভাত খেতেও মজা। মোটা চাল খেলে এসব মিনিকেট চাল তৈরির সুযোগ থাকবে না।’

সভার পর সন্ধ্যায় সফিকুজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুপারশপগুলো ২৯ শতাংশ মুনাফা করে। এটা অতিরিক্ত। এজন্য আমরা কিছু দিনের মধ্যে সুপারশপ ও তাদের সাপ্লায়ার যারা তাদের নিয়ে বসবো।’

এদিকে আজ সকাল ১০টায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আরেকটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। সেখানে সাবান, ডিটারজেন্ট, টুথপেস্ট, লিকুইড ক্লিনার ইত্যাদি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা হবে।

সেখানে পণ্যের উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে, তারা যাতে পণ্যগুলোর দুই বছর আগের দাম, ছয় মাস আগের দাম ও বর্তমান দামের চিত্র নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়।