লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন যাঁরা

গত ছয় বছরের মধ্যে ক্ষমতাসীন টোরি তথা কনজারভেটিভ পার্টির চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লিজ ট্রাস। শপথ নেয়ার পরই মন্ত্রিসভা গঠন করবেন তিনি। তবে এর আগেই বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার দুই সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ও সংস্কৃতিমন্ত্রী নাদিনে ডরিস পদত্যাগ করেছেন। তবে এখন আলোচনা চলছে লিজের মন্ত্রিসভায় কারা কারা থাকতে পারেন, তা নিয়ে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দলের অনুগত এমপিদের নিয়েই নিজের মন্ত্রিসভা সাজাবেন ট্রাস। ট্রাস জেমস ক্লেভারলিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন। ক্লেভারলি বর্তমানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সুয়েলা ব্রাভারম্যান ও কোয়াসি কোয়ার্টেংকে যথাক্রমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী নিয়োগ করা হতে পারে। এছাড়া আরও যারা ট্রাসের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন-

মার্ক ফুলব্রুক : ট্রসের একজন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ফুলব্রুক। তিনি কনজারভেটিভ দলের সাবেক একজন কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ট্রাস যখন দলের মনোনয়নের জন্য বিতর্ক ও প্রচার কাজ চালাচ্ছিলেন, সেই দলের সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ফুলব্রুক।

রুথ পোর্টার : রুথ পোর্টার হলেন ট্রাসের একজন সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা। তিনি এফজিএস গ্লোবাল নামের একটি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি ট্রাসের সহপ্রচার পরিচালক ছিলেন।

অ্যাডাম জোনস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় লিজ ট্রাসের মিডিয়া বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টাদের একজন ছিলেন অ্যাডাম জোনস। তিনি লিজের যোগাযোগ পরিচালকদের একজন হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সাইমন ম্যাকগি : সাইমন একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি বরিস জনসনের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছিলেন।

ডেভিড ক্যানজিনি : ডেভিড ক্যানজিনি ক্রসবি ও ফুলব্রুকের সাবেক সহকর্মী। বরিস জনসনের সময় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একজন কর্মকর্তা।

জেসন স্টেইন : লিজ ট্রাস যখন অর্থ দপ্তর সামলাচ্ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন জেসন স্টেইন। এখন তিনি এফজিএস গ্লোবালের সঙ্গে কাজ করছেন। ট্রাসের প্রচার দলে কাজ করেছেন।

সারাহ লুডলো : ট্রাসের একজন বিশেষ উপদেষ্টা হচ্ছেন লুডলো। এ ছাড়া তিনি তাঁর প্রচার দলের মিডিয়া শাখায় কাজ করেছেন।

সোফি জার্ভিস : বরিস জনসন সরে যাওয়ার পর কনজারভেটিভ দলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য অনেকেই প্রচার শুরু করেন। লিজ ট্রসের সেই প্রচার দলের একজন সোফি জার্ভিস। জার্ভিস ট্রাসের আরেকজন বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন। প্রচারণার সময় দলের এমপিদের সঙ্গে যোগাযোগ বিষয়ে কাজ করছিলেন সোফি।

শেরিডান ওয়েস্টলেক : শেরিডান মূলত বিভিন্ন কৌশল বিষয়ে কাজ করেন। ডেভিড ক্যামেরন ও এর পর থেকে সব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে (দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) কাজ করেছেন।

জেমস বোলার : যুক্তরাজ্যর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের স্থায়ী সচিব। সরকারি এই চাকরিজীবীর সঙ্গে ট্রাসের সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হতে পারেন।

বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩ ভাদ্র ১৪২৯ ১০ সফর ১৪৪৪

লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন যাঁরা

image

গত ছয় বছরের মধ্যে ক্ষমতাসীন টোরি তথা কনজারভেটিভ পার্টির চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লিজ ট্রাস। শপথ নেয়ার পরই মন্ত্রিসভা গঠন করবেন তিনি। তবে এর আগেই বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার দুই সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ও সংস্কৃতিমন্ত্রী নাদিনে ডরিস পদত্যাগ করেছেন। তবে এখন আলোচনা চলছে লিজের মন্ত্রিসভায় কারা কারা থাকতে পারেন, তা নিয়ে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দলের অনুগত এমপিদের নিয়েই নিজের মন্ত্রিসভা সাজাবেন ট্রাস। ট্রাস জেমস ক্লেভারলিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন। ক্লেভারলি বর্তমানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সুয়েলা ব্রাভারম্যান ও কোয়াসি কোয়ার্টেংকে যথাক্রমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী নিয়োগ করা হতে পারে। এছাড়া আরও যারা ট্রাসের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন-

মার্ক ফুলব্রুক : ট্রসের একজন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ফুলব্রুক। তিনি কনজারভেটিভ দলের সাবেক একজন কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ট্রাস যখন দলের মনোনয়নের জন্য বিতর্ক ও প্রচার কাজ চালাচ্ছিলেন, সেই দলের সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ফুলব্রুক।

রুথ পোর্টার : রুথ পোর্টার হলেন ট্রাসের একজন সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা। তিনি এফজিএস গ্লোবাল নামের একটি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি ট্রাসের সহপ্রচার পরিচালক ছিলেন।

অ্যাডাম জোনস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় লিজ ট্রাসের মিডিয়া বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টাদের একজন ছিলেন অ্যাডাম জোনস। তিনি লিজের যোগাযোগ পরিচালকদের একজন হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সাইমন ম্যাকগি : সাইমন একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি বরিস জনসনের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছিলেন।

ডেভিড ক্যানজিনি : ডেভিড ক্যানজিনি ক্রসবি ও ফুলব্রুকের সাবেক সহকর্মী। বরিস জনসনের সময় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একজন কর্মকর্তা।

জেসন স্টেইন : লিজ ট্রাস যখন অর্থ দপ্তর সামলাচ্ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন জেসন স্টেইন। এখন তিনি এফজিএস গ্লোবালের সঙ্গে কাজ করছেন। ট্রাসের প্রচার দলে কাজ করেছেন।

সারাহ লুডলো : ট্রাসের একজন বিশেষ উপদেষ্টা হচ্ছেন লুডলো। এ ছাড়া তিনি তাঁর প্রচার দলের মিডিয়া শাখায় কাজ করেছেন।

সোফি জার্ভিস : বরিস জনসন সরে যাওয়ার পর কনজারভেটিভ দলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য অনেকেই প্রচার শুরু করেন। লিজ ট্রসের সেই প্রচার দলের একজন সোফি জার্ভিস। জার্ভিস ট্রাসের আরেকজন বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন। প্রচারণার সময় দলের এমপিদের সঙ্গে যোগাযোগ বিষয়ে কাজ করছিলেন সোফি।

শেরিডান ওয়েস্টলেক : শেরিডান মূলত বিভিন্ন কৌশল বিষয়ে কাজ করেন। ডেভিড ক্যামেরন ও এর পর থেকে সব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে (দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) কাজ করেছেন।

জেমস বোলার : যুক্তরাজ্যর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের স্থায়ী সচিব। সরকারি এই চাকরিজীবীর সঙ্গে ট্রাসের সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হতে পারেন।