ভারতের বাজারে ১২টি নতুন পণ্যের প্রবেশ চায় বাংলাদেশ

ভারতের বাজারে বাংলাদেশ ১২টি নতুন পণ্যের প্রবেশ চায় বলে জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন। প্রতিবেশী দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের তৃতীয় দিন গতকাল ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এ ইচ্ছার কথা জানান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, ১২টি নতুন পণ্য ভারতের বাজারে দিতে চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে বাংলাদেশের সিরামিকস, পাটসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে ভারতের ব্যবসায়ীরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু তারা কয়েকটি প্রতিবন্ধকতার কথা বলেছেন। বিনিয়োগ সহজ করতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ভিসা জটিলতা দূর করার কথা বলেছেন। অন্যদিকে ভারতের বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নীতি সংশোধন চেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

নয়াদিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

এর আগে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ৯টি রাজ্যের উন্নয়নমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে সফরের তৃতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বৈঠকে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তার সরকারের পক্ষ থেকে সব নীতিগত সুবিধা দেয়া হবে।’ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধার কথাও জানান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রতিবন্ধকতার কথা জানান। তারা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য, অবকাঠামো ও কানেকটিভিটির দুর্বলতা, বন্দর দুর্বলতা দূর করার আহ্বান জানান।

বৈঠকের বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকেেদর বলেন, ‘ব্যবসা সম্প্রসারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। ভারতের ব্যবসায়ীরা সোলার এনার্জি, বায়ু বিদ্যুৎ এবং প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও ভারতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪ ভাদ্র ১৪২৯ ১১ সফর ১৪৪৪

ভারতের বাজারে ১২টি নতুন পণ্যের প্রবেশ চায় বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ভারতের বাজারে বাংলাদেশ ১২টি নতুন পণ্যের প্রবেশ চায় বলে জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন। প্রতিবেশী দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের তৃতীয় দিন গতকাল ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এ ইচ্ছার কথা জানান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, ১২টি নতুন পণ্য ভারতের বাজারে দিতে চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে বাংলাদেশের সিরামিকস, পাটসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে ভারতের ব্যবসায়ীরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু তারা কয়েকটি প্রতিবন্ধকতার কথা বলেছেন। বিনিয়োগ সহজ করতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ভিসা জটিলতা দূর করার কথা বলেছেন। অন্যদিকে ভারতের বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নীতি সংশোধন চেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

নয়াদিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

এর আগে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ৯টি রাজ্যের উন্নয়নমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে সফরের তৃতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বৈঠকে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তার সরকারের পক্ষ থেকে সব নীতিগত সুবিধা দেয়া হবে।’ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধার কথাও জানান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রতিবন্ধকতার কথা জানান। তারা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য, অবকাঠামো ও কানেকটিভিটির দুর্বলতা, বন্দর দুর্বলতা দূর করার আহ্বান জানান।

বৈঠকের বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকেেদর বলেন, ‘ব্যবসা সম্প্রসারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। ভারতের ব্যবসায়ীরা সোলার এনার্জি, বায়ু বিদ্যুৎ এবং প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও ভারতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’