ব্যাংকে জ্বালানি সাশ্রয়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) আদলে নীতিমালা তৈরি ও তা পরিপালনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়ে সকল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, স্রেডা কর্তৃক প্রণীত বর্ণিত গাইডলাইন ও নির্দেশিকাটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আপনাদের ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যয় কমাতে সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ব্যাংকের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরেক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, জ্বালানি (পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস ইত্যাদি), ওয়েল ও লুব্রিকেন্টের ব্যবহার ২০ শতাংশ বা ততোধিক কমিয়ে আনতে নেওয়া ব্যবস্থা চলমান রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বরাদ্দ করা জ্বালানির অপব্যবহার (যেমন, ব্যক্তিগত কাজে বিধিবহির্ভূতভাবে অফিসের গাড়ির ব্যবহার, প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি বরাদ্দ ইত্যাদি) রোধকল্পে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ বা ততোধিক কমিয়ে আনতেও কার্যকর ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বলছে, বিদ্যুৎ অপব্যবহারের ক্ষেত্র গুলো (যেমন: প্রাধিকারের বাইরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বাতি প্রজ্বলন, গিজার, বৈদ্যুতিক কেটলি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অধিক ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ইত্যাদি) চিহ্নিত করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪ ভাদ্র ১৪২৯ ১১ সফর ১৪৪৪
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
ব্যাংকে জ্বালানি সাশ্রয়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) আদলে নীতিমালা তৈরি ও তা পরিপালনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়ে সকল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, স্রেডা কর্তৃক প্রণীত বর্ণিত গাইডলাইন ও নির্দেশিকাটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আপনাদের ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যয় কমাতে সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ব্যাংকের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরেক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, জ্বালানি (পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস ইত্যাদি), ওয়েল ও লুব্রিকেন্টের ব্যবহার ২০ শতাংশ বা ততোধিক কমিয়ে আনতে নেওয়া ব্যবস্থা চলমান রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বরাদ্দ করা জ্বালানির অপব্যবহার (যেমন, ব্যক্তিগত কাজে বিধিবহির্ভূতভাবে অফিসের গাড়ির ব্যবহার, প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি বরাদ্দ ইত্যাদি) রোধকল্পে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ বা ততোধিক কমিয়ে আনতেও কার্যকর ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বলছে, বিদ্যুৎ অপব্যবহারের ক্ষেত্র গুলো (যেমন: প্রাধিকারের বাইরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বাতি প্রজ্বলন, গিজার, বৈদ্যুতিক কেটলি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অধিক ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ইত্যাদি) চিহ্নিত করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।