ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা

সাত দিনে ১৪৯৫ জন হাসপাতালে ভর্তি

ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশা এখনই দমন না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের অনুসন্ধান জরিপে রাজধানীর বেশিরভাগ ওয়ার্ডে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

৯৮টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে এ সার্ভে বা জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপে পরিস্থিতি খারাপ বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে গত সাত দিনে ৪৩ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এখনও হাসপাতালের বেডে আছে ২৯ জন শিশু।

শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে দিনে প্রায় এক হাজার শিশু রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মশা দমন চলছে এখন শম্বুক গতিতে। ঢাকা উত্তরে আগে তৎপরতা থাকলেও এখন তাও ঝিমিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মাসের গত ৭ দিনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪৯৫ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ২৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি বলা হলেও গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে তার স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতালের তথ্যমতে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২০ জন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৯ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৮ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, পিলখানা বিজিবি হাসপাতালে একজন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৬ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ১১ জন, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৭ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ৮ জন। এভাবে দেশের সরকারি ও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ৮৮৯ জন।

তার মধ্যে ঢাকায় ৭০৬ জন ও ঢাকার বাইরে ১৮৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৭৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ৬ হাজার ৭৫৬ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩১ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেলেও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। কারণ আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পরিসংখ্যান নেই।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মশা দমন আগের থেকে কমে গেছে।

সম্প্রতি এডিশ মশা জরিপে বেশিরভাগ স্পটে লার্ভা পাওয়া গেছে। এডিশ মশার ঘনত্ব বেশি বলে তিনি জানান। বিশেষজ্ঞদের সার্ভে দেখা গেছে, রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫০টি বাড়ির ২১০টি স্পটে সার্ভে করার সময় বেশিরভাগ বাড়িতে পজেটিভ কেস (এডিশ মশার লার্ভা) পাওয়া গেছে। তার মতে, জরুরি ভিত্তিতে এডিশ মশা দমনে কোন ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ, প্লাস্টিকের ড্রাম, ডাবের খোসা ও বাড়ির ভেতরে জমিয়ে রাখা বালতির পানিসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার হচ্ছে। লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হয়ে আবার ডেঙ্গুজ্বর ছড়ায়।

ভাইরাস আক্রান্ত কোন ব্যক্তিকে মশা কামড় দেয়ার পর সেই মশা অন্য সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে তিনিও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হবেন। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেলে সেখানে তাকে মশা কামড় দিলে সেই মশাও ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। ভাইরাস বহনকারী মশা কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে তিনিও ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (অ্যাকাডেমি) ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন জানান, ডেঙ্গু নীরব ঘাতকের মতো আক্রমণ করে যাচ্ছে। প্রায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এখন ডেঙ্গু নিত্যসঙ্গী। যখন বৃষ্টি হয় তখন পানি আটকে যায়। তখনই ডেঙ্গুর বাহক এডিশ মশার প্রজনন বাড়ে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে জানান, ডেঙ্গু বাড়ছে। গত ৭ দিনে শিশু হাসপাতালে ৪৩ জন ভর্তি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ভর্তি আছেন ২৯ জন। গেল আগস্ট মাসে ১১৫ জন শিশু ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগে দিনে কমপক্ষে এক হাজার শিশুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার মতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত শিশুদের বাবা ও মাকে সাবধানে থাকতে হবে। জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ডেঙ্গু টেস্ট (পরীক্ষা) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে হবে। আর আক্রান্ত শিশুদের ওষুধের পাশাপাশি বেশি করে পানি ও তরল খাবার খেতে দিতে হবে। সকালে ও সন্ধ্যায় ঘুমানোর সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে দিতে হবে।

ডেঙ্গু হেমোরোজিক ও ডেঙ্গু শক সিনডোস হলে দ্রুত চিকিৎসদের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে যেতে হবে। আর বাসাবাড়িতে ডেঙ্গুজ্বরে বাহক এডিশ মশা যাতে না থাকে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪ ভাদ্র ১৪২৯ ১১ সফর ১৪৪৪

ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা

সাত দিনে ১৪৯৫ জন হাসপাতালে ভর্তি

বাকী বিল্লাহ

ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশা এখনই দমন না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের অনুসন্ধান জরিপে রাজধানীর বেশিরভাগ ওয়ার্ডে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

৯৮টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে এ সার্ভে বা জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপে পরিস্থিতি খারাপ বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে গত সাত দিনে ৪৩ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এখনও হাসপাতালের বেডে আছে ২৯ জন শিশু।

শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে দিনে প্রায় এক হাজার শিশু রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মশা দমন চলছে এখন শম্বুক গতিতে। ঢাকা উত্তরে আগে তৎপরতা থাকলেও এখন তাও ঝিমিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মাসের গত ৭ দিনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪৯৫ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ২৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি বলা হলেও গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে তার স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতালের তথ্যমতে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২০ জন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৯ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৮ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, পিলখানা বিজিবি হাসপাতালে একজন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৬ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ১১ জন, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৭ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ৮ জন। এভাবে দেশের সরকারি ও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ৮৮৯ জন।

তার মধ্যে ঢাকায় ৭০৬ জন ও ঢাকার বাইরে ১৮৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৭৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ৬ হাজার ৭৫৬ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩১ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেলেও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। কারণ আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পরিসংখ্যান নেই।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মশা দমন আগের থেকে কমে গেছে।

সম্প্রতি এডিশ মশা জরিপে বেশিরভাগ স্পটে লার্ভা পাওয়া গেছে। এডিশ মশার ঘনত্ব বেশি বলে তিনি জানান। বিশেষজ্ঞদের সার্ভে দেখা গেছে, রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫০টি বাড়ির ২১০টি স্পটে সার্ভে করার সময় বেশিরভাগ বাড়িতে পজেটিভ কেস (এডিশ মশার লার্ভা) পাওয়া গেছে। তার মতে, জরুরি ভিত্তিতে এডিশ মশা দমনে কোন ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ, প্লাস্টিকের ড্রাম, ডাবের খোসা ও বাড়ির ভেতরে জমিয়ে রাখা বালতির পানিসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার হচ্ছে। লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হয়ে আবার ডেঙ্গুজ্বর ছড়ায়।

ভাইরাস আক্রান্ত কোন ব্যক্তিকে মশা কামড় দেয়ার পর সেই মশা অন্য সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে তিনিও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হবেন। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেলে সেখানে তাকে মশা কামড় দিলে সেই মশাও ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। ভাইরাস বহনকারী মশা কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে তিনিও ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (অ্যাকাডেমি) ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন জানান, ডেঙ্গু নীরব ঘাতকের মতো আক্রমণ করে যাচ্ছে। প্রায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এখন ডেঙ্গু নিত্যসঙ্গী। যখন বৃষ্টি হয় তখন পানি আটকে যায়। তখনই ডেঙ্গুর বাহক এডিশ মশার প্রজনন বাড়ে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে জানান, ডেঙ্গু বাড়ছে। গত ৭ দিনে শিশু হাসপাতালে ৪৩ জন ভর্তি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ভর্তি আছেন ২৯ জন। গেল আগস্ট মাসে ১১৫ জন শিশু ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগে দিনে কমপক্ষে এক হাজার শিশুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার মতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত শিশুদের বাবা ও মাকে সাবধানে থাকতে হবে। জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ডেঙ্গু টেস্ট (পরীক্ষা) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে হবে। আর আক্রান্ত শিশুদের ওষুধের পাশাপাশি বেশি করে পানি ও তরল খাবার খেতে দিতে হবে। সকালে ও সন্ধ্যায় ঘুমানোর সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে দিতে হবে।

ডেঙ্গু হেমোরোজিক ও ডেঙ্গু শক সিনডোস হলে দ্রুত চিকিৎসদের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে যেতে হবে। আর বাসাবাড়িতে ডেঙ্গুজ্বরে বাহক এডিশ মশা যাতে না থাকে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।