ইউরোপে গ্যাস সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে রাশিয়া

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এ ঘটনায় ওয়াশিংটনকে দায়ী করা হয়। তাদের দাবি, ইউরোপকে মস্কোর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সহযোগিতা কমানোর ‘আত্মঘাতী’ পদক্ষেপের দিকে ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে দেশটি ইউরোপের গ্যাস সরবরাহ সংকটকে উস্কে দিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গ্যাস সরবরাহ সংকট নিয়ে ইউরোপকে তার সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। জ্বালানির দাম বেড়েছে। এরইমধ্যে মেরামত কাজের কথা বলে ৩১ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন দিয়ে জার্মানিতে গ্যাস প্রবাহ স্থগিত রাখার কথা জানায় রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। তবে সেই সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও পুনরায় সরবরাহ শুরু করতে মস্কোর কালক্ষেপণের ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

গ্যাজপ্রমের দাবি, গ্যাস পাইপলাইন নর্ডস্ট্রিম-১ এ নতুন একটি লিকেজ দেখা দেয়ায় সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে। আর সরবরাহ পুনরায় কবে নাগাদ চালু হবে তার কোনও সময়সীমা বেঁধে দেয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, পাইপলাইন মেরামতের কথা বলে আদতে জ্বালানি সংকট নিয়ে খেলায় মেতেছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে। একইসঙ্গে আসন্ন শীতে ইউরোপের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে অঞ্চলটির সঙ্গে সহযোগিতার কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা রয়টার্সকে বলেন, ‘আপনি আমাকে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন যার উত্তর এমনকি শিশুরাও জানে। যারা এটি শুরু করেছে তাদেরই এটি শেষ করতে হবে।’

মারিয়া জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি খাতে রাশিয়া ও জার্মানির মতো প্রধান ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল। অথচ সোভিয়েত আমল থেকেই মস্কো জ্বালানির জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত।

এদিকে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে গ্যাস রফতানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে মস্কোর সমালোচনা করার অধিকার বার্লিনের নেই।

বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪ ভাদ্র ১৪২৯ ১১ সফর ১৪৪৪

ইউরোপে গ্যাস সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে রাশিয়া

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এ ঘটনায় ওয়াশিংটনকে দায়ী করা হয়। তাদের দাবি, ইউরোপকে মস্কোর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সহযোগিতা কমানোর ‘আত্মঘাতী’ পদক্ষেপের দিকে ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে দেশটি ইউরোপের গ্যাস সরবরাহ সংকটকে উস্কে দিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গ্যাস সরবরাহ সংকট নিয়ে ইউরোপকে তার সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। জ্বালানির দাম বেড়েছে। এরইমধ্যে মেরামত কাজের কথা বলে ৩১ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন দিয়ে জার্মানিতে গ্যাস প্রবাহ স্থগিত রাখার কথা জানায় রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। তবে সেই সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও পুনরায় সরবরাহ শুরু করতে মস্কোর কালক্ষেপণের ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

গ্যাজপ্রমের দাবি, গ্যাস পাইপলাইন নর্ডস্ট্রিম-১ এ নতুন একটি লিকেজ দেখা দেয়ায় সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে। আর সরবরাহ পুনরায় কবে নাগাদ চালু হবে তার কোনও সময়সীমা বেঁধে দেয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, পাইপলাইন মেরামতের কথা বলে আদতে জ্বালানি সংকট নিয়ে খেলায় মেতেছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে। একইসঙ্গে আসন্ন শীতে ইউরোপের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে অঞ্চলটির সঙ্গে সহযোগিতার কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা রয়টার্সকে বলেন, ‘আপনি আমাকে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন যার উত্তর এমনকি শিশুরাও জানে। যারা এটি শুরু করেছে তাদেরই এটি শেষ করতে হবে।’

মারিয়া জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি খাতে রাশিয়া ও জার্মানির মতো প্রধান ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল। অথচ সোভিয়েত আমল থেকেই মস্কো জ্বালানির জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত।

এদিকে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে গ্যাস রফতানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে মস্কোর সমালোচনা করার অধিকার বার্লিনের নেই।