বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে চলে গেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গত এক দশকে তা আরও জোরদার হয়েছে। গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পর, উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান বিস্তৃত সেক্টরাল সহযোগিতায় কাজ করছে।’

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের তৃতীয় দিন গতকাল নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালীন হোটেলের বলরুমে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সৈনিক ও কর্মকর্তাদের সরাসরি বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

দুই দেশের সম্পর্ককে বিশ্বব্যাপী ‘প্রতিবেশী কূটনীতির জন্য রোল মডেল’ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামুদ্রিক ও স্থল সীমানা নির্ধারণের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান সেই প্রভাবের সাক্ষ্য বহন করে।’

তিনি বলেন, ‘২০০টি মুজিব স্কলারশিপ, দশম শ্রেণীতে ১০০টি এবং দ্বাদশ শ্রেণীর স্তরে ১০০টি, যুদ্ধের ভারতীয় প্রবীণ সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাদের বংশধরদের জন্য আমাদের এই শুভেচ্ছা উপহার, যারা আমাদের জন্য ১৯৭১ সালে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে আজ তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয়দের অবদানের কথা স্মরণ করে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ভারতীয় ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং রক্ত দিয়েছেন। যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মরণ করা আমাদের জন্য সর্বদা গর্বের বিষয়। আপনাদের আমার অভিবাদন, হে সাহসী হৃদয়, আমাদের বীরদের!’।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী, তাই তরুণ প্রজন্মকে সেই ঐতিহাসিক অতীতের সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত করার জন্য আমাদের এই বিনীত প্রচেষ্টা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার বিশ^াস, বৃত্তিপ্রাপ্তরা তাদের পূর্বপুরুষদের বীরত্বের স্মৃতি পুনরায় ঘুরে দেখার, বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুত্বের পথ অতিক্রম করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, ২০২১ আমাদের সম্পর্কের একটি যুগান্তকারী বছর ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী।’

গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের রাষ্ট্রপতির ঢাকায় বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগদানের বিষয়টি স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘এ উপলক্ষে উদযাপনে বেশ কিছু যৌথ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধী এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ, বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী প্রভৃতি। তাছাড়া ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে যৌথ প্রযোজনার নির্মাণাধীন বায়োপিক ‘মুজিব : দ্য মেকিং অব দ্য নেশন’-এর কাজ চলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি শীঘ্রই মুক্তি পাবে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে উদযাপন করছে, যে দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন যখন ভারত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই যৌথ উদযাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ভালো প্রতিবেশীকে তুলে ধরেছে।’

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি বন্ধুদের সম্মান জানাতে বাংলাদেশ সরকার একটি কর্মসূচি শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে ২০১১ সালে প্রথম সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠান করতে পেরেছিলাম যখন বিদেশি বন্ধুদের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘বাংলাদেশ ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড’ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে ভারতের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীসহ ভারতীয় নেতাদের আরও পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছিল।’

যুদ্ধের নায়ক এবং ভারতের নাগরিক সমাজের সদস্যদেরও পর্যায়ক্রমে সম্মানিত করা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মোট ৩৪০ জন বিদেশি নাগরিক এবং সংস্থাকে সম্মানিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২৬ জনই ভারতের।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে তাদের চিকিৎসার জন্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের বৃত্তি প্রদানের জন্য ভারত সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৭ সারের এপ্রিলে আমি নয়াদিল্লিতে মোদিজির উপস্থিতিতে বীর যোদ্ধাদের বংশধর ও পরিবারের নিকটাত্মীয় সদস্যদের পুরষ্কার প্রদানের জন্য সম্মান পেয়েছি।’

image

নয়াদিল্লি : বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ এবং যুদ্ধাহত ভারতীয় সৈনিকদের পরিবারের মাঝে ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আরও খবর
সংকটে যা যা চাওয়া হয়েছে, ভারত সবই দিয়েছে, বললেন ওবায়দুল কাদের
পণ্যের দাম বাড়াতে প্রতিনিয়ত চালাকি করছে প্রতিষ্ঠানগুলো
সড়ক হবে তিন রঙের ‘লাল’ থাকবে হকারমুক্ত
দমন-পীড়ন করে গদি রক্ষা করা যাবে না : বাম জোট
বিএনপির নির্ভরতা বন্দুক ও বিদেশিদের ওপর : তথ্যমন্ত্রী
সাক্ষরতার প্রকৃত তথ্য জানা নেই গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
কুমিল্লায় ৭ জন কলেজছাত্র ১৬ দিন ধরে নিখোঁজ : থানায় জিডি
তিন বছরে ১২ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
‘হগল কিছুর দাম বাইড়ছে জীবন আর চলে না’

বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪ ভাদ্র ১৪২৯ ১১ সফর ১৪৪৪

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

নয়াদিল্লি : বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ এবং যুদ্ধাহত ভারতীয় সৈনিকদের পরিবারের মাঝে ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে চলে গেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গত এক দশকে তা আরও জোরদার হয়েছে। গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পর, উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান বিস্তৃত সেক্টরাল সহযোগিতায় কাজ করছে।’

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের তৃতীয় দিন গতকাল নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালীন হোটেলের বলরুমে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সৈনিক ও কর্মকর্তাদের সরাসরি বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

দুই দেশের সম্পর্ককে বিশ্বব্যাপী ‘প্রতিবেশী কূটনীতির জন্য রোল মডেল’ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামুদ্রিক ও স্থল সীমানা নির্ধারণের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান সেই প্রভাবের সাক্ষ্য বহন করে।’

তিনি বলেন, ‘২০০টি মুজিব স্কলারশিপ, দশম শ্রেণীতে ১০০টি এবং দ্বাদশ শ্রেণীর স্তরে ১০০টি, যুদ্ধের ভারতীয় প্রবীণ সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাদের বংশধরদের জন্য আমাদের এই শুভেচ্ছা উপহার, যারা আমাদের জন্য ১৯৭১ সালে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে আজ তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয়দের অবদানের কথা স্মরণ করে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ভারতীয় ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং রক্ত দিয়েছেন। যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মরণ করা আমাদের জন্য সর্বদা গর্বের বিষয়। আপনাদের আমার অভিবাদন, হে সাহসী হৃদয়, আমাদের বীরদের!’।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী, তাই তরুণ প্রজন্মকে সেই ঐতিহাসিক অতীতের সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত করার জন্য আমাদের এই বিনীত প্রচেষ্টা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার বিশ^াস, বৃত্তিপ্রাপ্তরা তাদের পূর্বপুরুষদের বীরত্বের স্মৃতি পুনরায় ঘুরে দেখার, বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুত্বের পথ অতিক্রম করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, ২০২১ আমাদের সম্পর্কের একটি যুগান্তকারী বছর ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী।’

গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের রাষ্ট্রপতির ঢাকায় বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগদানের বিষয়টি স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘এ উপলক্ষে উদযাপনে বেশ কিছু যৌথ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধী এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ, বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী প্রভৃতি। তাছাড়া ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে যৌথ প্রযোজনার নির্মাণাধীন বায়োপিক ‘মুজিব : দ্য মেকিং অব দ্য নেশন’-এর কাজ চলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি শীঘ্রই মুক্তি পাবে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে উদযাপন করছে, যে দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন যখন ভারত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই যৌথ উদযাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ভালো প্রতিবেশীকে তুলে ধরেছে।’

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি বন্ধুদের সম্মান জানাতে বাংলাদেশ সরকার একটি কর্মসূচি শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে ২০১১ সালে প্রথম সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠান করতে পেরেছিলাম যখন বিদেশি বন্ধুদের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘বাংলাদেশ ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড’ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে ভারতের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীসহ ভারতীয় নেতাদের আরও পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছিল।’

যুদ্ধের নায়ক এবং ভারতের নাগরিক সমাজের সদস্যদেরও পর্যায়ক্রমে সম্মানিত করা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মোট ৩৪০ জন বিদেশি নাগরিক এবং সংস্থাকে সম্মানিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২৬ জনই ভারতের।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে তাদের চিকিৎসার জন্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের বৃত্তি প্রদানের জন্য ভারত সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৭ সারের এপ্রিলে আমি নয়াদিল্লিতে মোদিজির উপস্থিতিতে বীর যোদ্ধাদের বংশধর ও পরিবারের নিকটাত্মীয় সদস্যদের পুরষ্কার প্রদানের জন্য সম্মান পেয়েছি।’