গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজে অবৈধভাবে নিয়োগ করা ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মনিরুল আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সংগঠনের প্রশাসকের বরাবরে লিখিত সংগঠনটির ৬ জন অর্ডিনারি সদস্য স্বাক্ষরিত এক অভিযোগপত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি মো. মনিরুল আকতার হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সচিব নিয়োগ করা হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সংগঠনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামতো সংগঠন পরিচালনা করতে থাকেন। এ কারণে তাকে এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন তৎকালীন সংগঠনের প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদেকুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মনিরুল আকতার হোসেন চেম্বারের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের মোরছালিন পারভেজের আপন খালাত ভাই। তার প্রভাব বলয় অক্ষুণ্ন রাখতেই চেম্বারের অনেক সদস্যকে হয়রানি করে থাকেন ভারপ্রাপ্ত সচিব। অনেক ব্যবসায়ী সদস্য অফিসে সেবা নিতে এলে তাদের কাছ থেকে কৌশলে ঘুষ দাবি করেন তিনি। সদস্যরা নির্দিষ্ট হারে চাঁদা পরিশোধ করলেও তাদের কাছ থেকে ঘুষ বাবদ বিভিন্ন অজুহাতে এক থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার প্রণোদনা ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করে। ব্যাংক হতে এই প্রণোদনা ঋণ প্রাপ্তির জন্য চেম্বার অব কমার্সের সুপারিশপত্রের প্রয়োজন হয়। সুপারিশপত্রের জন্য ঋণ প্রত্যাশী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করেছেন ভারপ্রাপ্ত সচিব। গাইবান্ধা চেম্বারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ করে নিয়ে তাদের বিল ভাউচার প্রদানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে তাদেরকে হয়রানি করা হয়। এছাড়াও সদস্যদের কাছ হতে রশিদমূলে প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকে সঠিকভাবে জমা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত সচিব মনিরুল আকতার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ও এফবিসিসিআইর সভাপতি বরাবরেও অভিযোগপত্রের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৫ ভাদ্র ১৪২৯ ১২ সফর ১৪৪৪
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজে অবৈধভাবে নিয়োগ করা ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মনিরুল আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সংগঠনের প্রশাসকের বরাবরে লিখিত সংগঠনটির ৬ জন অর্ডিনারি সদস্য স্বাক্ষরিত এক অভিযোগপত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি মো. মনিরুল আকতার হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সচিব নিয়োগ করা হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সংগঠনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামতো সংগঠন পরিচালনা করতে থাকেন। এ কারণে তাকে এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন তৎকালীন সংগঠনের প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদেকুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মনিরুল আকতার হোসেন চেম্বারের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের মোরছালিন পারভেজের আপন খালাত ভাই। তার প্রভাব বলয় অক্ষুণ্ন রাখতেই চেম্বারের অনেক সদস্যকে হয়রানি করে থাকেন ভারপ্রাপ্ত সচিব। অনেক ব্যবসায়ী সদস্য অফিসে সেবা নিতে এলে তাদের কাছ থেকে কৌশলে ঘুষ দাবি করেন তিনি। সদস্যরা নির্দিষ্ট হারে চাঁদা পরিশোধ করলেও তাদের কাছ থেকে ঘুষ বাবদ বিভিন্ন অজুহাতে এক থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার প্রণোদনা ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করে। ব্যাংক হতে এই প্রণোদনা ঋণ প্রাপ্তির জন্য চেম্বার অব কমার্সের সুপারিশপত্রের প্রয়োজন হয়। সুপারিশপত্রের জন্য ঋণ প্রত্যাশী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করেছেন ভারপ্রাপ্ত সচিব। গাইবান্ধা চেম্বারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ করে নিয়ে তাদের বিল ভাউচার প্রদানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে তাদেরকে হয়রানি করা হয়। এছাড়াও সদস্যদের কাছ হতে রশিদমূলে প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকে সঠিকভাবে জমা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত সচিব মনিরুল আকতার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ও এফবিসিসিআইর সভাপতি বরাবরেও অভিযোগপত্রের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে।