গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের শ্যালকের বাড়ি থেকে গত বুধবার সকালে এক মা ও শিশু সন্তানকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর পিবিআই। এর আগে চেয়ারম্যানের বাড়ির ওই কিশোরী গৃহকর্মী নবজাত শিশু কন্যাসহ গত ২৯ আগস্ট উপজেলার তরগাঁও এলাকার ভাড়া বাসা থেকে অপহৃত হন। গত বুধবার আদালতে ওই গৃহকর্মী ১২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় গত ৩১ আগস্ট ওই গৃহকর্মীর পিতা বাদী হয়ে গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। আদালত এ মামলাটি তদন্তের জন্য গাজীপুর পিবিআইকে নির্দেশ দেন। গত বুধবার সকালে পিবিআই গাজীপুর অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেনের শ্যালক মো. আল মামুন ও মো. মাসুদের বাড়ি থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করে। পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাকছুদের রহমান জানান, তারা ভিকটিমদের অভিযুক্ত ব্যক্তির শ্যালকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছেন। পরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ির ওই কিশোরী গৃহকর্মী গত ১৬ আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। পরে তিনি এক ভিডিও সাক্ষাতকারে ওই সন্তানের পিতা হিসেবে সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের নাম প্রকাশ করেন। এ ভিডিওটি ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠলে গত ২৯ আগস্ট নবজাত সন্তানসহ ওই কিশোরী ও তার মা অপহৃত হয়। পরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও কাপাসিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর গর্ভপাতের চেষ্টা, সন্তান প্রসব ও অপহরণের অভিযোগে গত ৩১ আগস্ট ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন।
শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৫ ভাদ্র ১৪২৯ ১২ সফর ১৪৪৪
প্রতিনিধি, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের শ্যালকের বাড়ি থেকে গত বুধবার সকালে এক মা ও শিশু সন্তানকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর পিবিআই। এর আগে চেয়ারম্যানের বাড়ির ওই কিশোরী গৃহকর্মী নবজাত শিশু কন্যাসহ গত ২৯ আগস্ট উপজেলার তরগাঁও এলাকার ভাড়া বাসা থেকে অপহৃত হন। গত বুধবার আদালতে ওই গৃহকর্মী ১২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় গত ৩১ আগস্ট ওই গৃহকর্মীর পিতা বাদী হয়ে গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। আদালত এ মামলাটি তদন্তের জন্য গাজীপুর পিবিআইকে নির্দেশ দেন। গত বুধবার সকালে পিবিআই গাজীপুর অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেনের শ্যালক মো. আল মামুন ও মো. মাসুদের বাড়ি থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করে। পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাকছুদের রহমান জানান, তারা ভিকটিমদের অভিযুক্ত ব্যক্তির শ্যালকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছেন। পরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ির ওই কিশোরী গৃহকর্মী গত ১৬ আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। পরে তিনি এক ভিডিও সাক্ষাতকারে ওই সন্তানের পিতা হিসেবে সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের নাম প্রকাশ করেন। এ ভিডিওটি ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠলে গত ২৯ আগস্ট নবজাত সন্তানসহ ওই কিশোরী ও তার মা অপহৃত হয়। পরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও কাপাসিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর গর্ভপাতের চেষ্টা, সন্তান প্রসব ও অপহরণের অভিযোগে গত ৩১ আগস্ট ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন।