দিন দিন বাড়ছে ছাদ বাগান : সফল আশরাফী

শখের বসে নিজের ছাদে লাগিয়ে ছিলেন কয়েকটি ফলের চারা। সেই ফল গাছ থেকে ফল পেরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দ করে খাবার পর থেকেই সিদ্ধান্ত নেন ছাদ বাগানের। তার বাগানে এখন হরেক রকমের ফলের গাছে ঝুঁলছে কাঁচা-পাকা ফল। অল্পদিনের ব্যবধানে ছাদ বাগানে ফলের গাছ লাগিয়ে সেখান থেকে আয় করার সফলতা দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষিত নারী আয়েশা আশরাফী। ছাদ বাগানের ফল চাষের মাধ্যমে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে এখন তা বাণিজ্যিকভাবে করছেন তিনি। আয়েশা আশরাফীর ছাদ বাগানের সফলতা দেখে অনেক নারীই এখন আগ্রহ দেখাচ্ছেন ছাদ বাগান করার। অনেকেই পরামর্শ ও গাছের চারা নিচ্ছেন তার কাছ থেকে। বাড়ীতে থেকে কিছুটা পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন যে করা যায় তার উদাহরন হচ্ছেন শিক্ষিত নারী আয়েশা আশরাফী। ছাদ বাগানের শুরুর গল্পটা তেমন একটা সহজ ছিলনা আয়েশা আশরাফীর। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঘরে বসে থাকেননি তিনি। কিছু একটা করার চিন্তা ঢুকে যায় তার মাথায়। নিজের আয়ে নিজেই কিছু করবেন এ চিন্তা থেকেই উদ্যোগ নেন ভালো কিছু করার। এরমাঝে তিন বছর আগে শখের বসে তার বাড়ীর ২ হাজার ৪শ বর্গ ফুটের ছাদে মাত্র ৫টি ফলের গাছ দিয়ে শুরু হয় তার ছাদ বাগানের যাত্রা। সেই গাছের পরিচর্যা থেকে শুরু করে শিশুর যত্নের মতো গাছ গুলোকে দেখভাল করতে থাকেন। এরই মাঝে গাছে ফল আসতে দেখে খুশির ঝিলিক বয়ে যায় তার চোখে মুখে। নিজের গাছ থেকে ফল পেরে তা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খাবার পর তার চিন্তা পাল্টে যায়। অন্য কিছু না করে ছাদ বাগানের দিকেই আগ্রহ বাড়ে তার। তিন বছর আগে যেখানে ৫টি ফলের গাছ দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখন তার ছাদ বাগানে শোভা পাচ্ছে দেশী-বিদেশী শতাধিক প্রজাতির ফলের গাছ। এসব গাছে এখন থোকায় থোকায় ঝুঁলছে ডালিম, পেয়ারা, ড্রাগন, জাম্বুরা, ত্বীন, সফেদা ফল। আঁখ থেকে শুরু করে মেক্সিকান, থাইল্যান্ড, অস্টোলিয়ার আনার, ড্রাগন, থাই মিষ্টি জাম্বুরা, আমলকি, আমড়া, পেয়ারা, মাল্টা, লটকন, আঙ্গুর, ডুমুর, লংগান, মিষ্টি তেঁতুল, জলপাই, লেবুসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে তার ছাদ বাগানে। বর্তমানে তিনি ছাদ বাগান থেকে ফল ও চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে আয় করছেন অর্ধ লক্ষ টাকা। শুধু ফলই নয়, তার ছাদ বাগানে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি। যা দিয়ে তার পরিবারের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। আয়েশা আফরাফী জানান, তিনি এখন থাকছেন ফরিদপুর শহরের গৃহলক্ষীপুর এলাকায়। তিনি বাড়ীর ছাদে গড়ে তুলেছেন বড় ধরনের একটি ছাদ বাগান। তার ছাদ বাগানের ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে। কম বেশী তিনি বিভিন্ন জনকে এ ফল দিয়ে থাকেন। বর্তমানে তার ছাদ বাগানের কথা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন ভাবে। ফলে এখন তিনি অনলাইনে তার ছাদ বাগানের ফল ও চারার অর্ডার পাচ্ছেন। তার পরিবারের সদস্যরা ছাদ বাগানের ব্যাপারে তাকে প্রথম থেকেই উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।

image

ফরিদপুর : নিজের ছাদ বাগানের ডালিম দেখাচ্ছেন আয়েশা আশরাফী -সংবাদ

আরও খবর
নবাবগঞ্জে ইউএনওকে সচিব পরিচয়ে ফোন যুবক আটক
মানুষ মানুষের জন্য কিডনি রোগে আক্রান্ত জাহেদা বাঁচতে চায়
বাস-এস্কেভেটর সংঘর্ষে হত ২
৩০০ মিটার লম্বা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই ভরসা ৭ গ্রামের মানুষের
জিসিসিআিই ভারপ্রাপ্ত সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
প্রেমের বিয়ের ৬ মাস না যেতেই বিষপান : স্বামী-স্ত্রীর মুমূর্ষু
পুকুরে ডুবে যুবকের মৃত্যু
শ্যালকের বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের বাড়ির কিশোরী গৃহকর্মী সন্তানসহ উদ্ধার
জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে সরব আ’লীগের রাজনীতি
ধোবাউড়ায় বৃক্ষমেলা উদ্বোধন
সাঘাটায় রাতে সার পাচার ডিলারের ৫ হাজার টাকা জরিমানা
সুপেয় পানির পুকুর ইজারা : তদন্তে সত্যতা
দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১, আহত ১

শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৫ ভাদ্র ১৪২৯ ১২ সফর ১৪৪৪

দিন দিন বাড়ছে ছাদ বাগান : সফল আশরাফী

সংবাদদাতা, ফরিদপুর

image

ফরিদপুর : নিজের ছাদ বাগানের ডালিম দেখাচ্ছেন আয়েশা আশরাফী -সংবাদ

শখের বসে নিজের ছাদে লাগিয়ে ছিলেন কয়েকটি ফলের চারা। সেই ফল গাছ থেকে ফল পেরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দ করে খাবার পর থেকেই সিদ্ধান্ত নেন ছাদ বাগানের। তার বাগানে এখন হরেক রকমের ফলের গাছে ঝুঁলছে কাঁচা-পাকা ফল। অল্পদিনের ব্যবধানে ছাদ বাগানে ফলের গাছ লাগিয়ে সেখান থেকে আয় করার সফলতা দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষিত নারী আয়েশা আশরাফী। ছাদ বাগানের ফল চাষের মাধ্যমে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে এখন তা বাণিজ্যিকভাবে করছেন তিনি। আয়েশা আশরাফীর ছাদ বাগানের সফলতা দেখে অনেক নারীই এখন আগ্রহ দেখাচ্ছেন ছাদ বাগান করার। অনেকেই পরামর্শ ও গাছের চারা নিচ্ছেন তার কাছ থেকে। বাড়ীতে থেকে কিছুটা পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন যে করা যায় তার উদাহরন হচ্ছেন শিক্ষিত নারী আয়েশা আশরাফী। ছাদ বাগানের শুরুর গল্পটা তেমন একটা সহজ ছিলনা আয়েশা আশরাফীর। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঘরে বসে থাকেননি তিনি। কিছু একটা করার চিন্তা ঢুকে যায় তার মাথায়। নিজের আয়ে নিজেই কিছু করবেন এ চিন্তা থেকেই উদ্যোগ নেন ভালো কিছু করার। এরমাঝে তিন বছর আগে শখের বসে তার বাড়ীর ২ হাজার ৪শ বর্গ ফুটের ছাদে মাত্র ৫টি ফলের গাছ দিয়ে শুরু হয় তার ছাদ বাগানের যাত্রা। সেই গাছের পরিচর্যা থেকে শুরু করে শিশুর যত্নের মতো গাছ গুলোকে দেখভাল করতে থাকেন। এরই মাঝে গাছে ফল আসতে দেখে খুশির ঝিলিক বয়ে যায় তার চোখে মুখে। নিজের গাছ থেকে ফল পেরে তা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খাবার পর তার চিন্তা পাল্টে যায়। অন্য কিছু না করে ছাদ বাগানের দিকেই আগ্রহ বাড়ে তার। তিন বছর আগে যেখানে ৫টি ফলের গাছ দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখন তার ছাদ বাগানে শোভা পাচ্ছে দেশী-বিদেশী শতাধিক প্রজাতির ফলের গাছ। এসব গাছে এখন থোকায় থোকায় ঝুঁলছে ডালিম, পেয়ারা, ড্রাগন, জাম্বুরা, ত্বীন, সফেদা ফল। আঁখ থেকে শুরু করে মেক্সিকান, থাইল্যান্ড, অস্টোলিয়ার আনার, ড্রাগন, থাই মিষ্টি জাম্বুরা, আমলকি, আমড়া, পেয়ারা, মাল্টা, লটকন, আঙ্গুর, ডুমুর, লংগান, মিষ্টি তেঁতুল, জলপাই, লেবুসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে তার ছাদ বাগানে। বর্তমানে তিনি ছাদ বাগান থেকে ফল ও চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে আয় করছেন অর্ধ লক্ষ টাকা। শুধু ফলই নয়, তার ছাদ বাগানে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি। যা দিয়ে তার পরিবারের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। আয়েশা আফরাফী জানান, তিনি এখন থাকছেন ফরিদপুর শহরের গৃহলক্ষীপুর এলাকায়। তিনি বাড়ীর ছাদে গড়ে তুলেছেন বড় ধরনের একটি ছাদ বাগান। তার ছাদ বাগানের ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে। কম বেশী তিনি বিভিন্ন জনকে এ ফল দিয়ে থাকেন। বর্তমানে তার ছাদ বাগানের কথা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন ভাবে। ফলে এখন তিনি অনলাইনে তার ছাদ বাগানের ফল ও চারার অর্ডার পাচ্ছেন। তার পরিবারের সদস্যরা ছাদ বাগানের ব্যাপারে তাকে প্রথম থেকেই উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।