কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষিকাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী কারাগারে

কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষিকা তাহমিনা আক্তার মুনাকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল এ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত সুমনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। মুনা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কুমিল্লা মডেল কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন এবং তারা কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩১ আগস্ট রাতে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার ভাড়া বাসায় অগ্নিদগ্ধের পর তাহমিনা আক্তার মুনাকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। এদিকে ওই রাতে চুলায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে কেরোসিনের বোতল গায়ে পড়ে কলেজ শিক্ষিকা মুনা অগ্নিদগ্ধ হন বলে তার স্বামী সুমন প্রচার করে আসছিলেন। মুনার মৃত্যুর ঘটনায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সুমনকে একমাত্র আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন মুনার ভগ্নিপতি মো. তরিকুল ইসলাম। আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, এ মামলায় গতকাল আদালতে জামিন চাইতে ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির হলে মুখ্য বিচারিক হাকিম মাজহারুল হক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার বাদী মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রেম করে ২০১৭ সালে মুনা ও সুমনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাফা নামে আড়াই বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। সুমনের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় এবং মুনার বাবার বাড়ি কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায়। একাধিক মেয়ের সঙ্গে সুমনের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। মুনার বড় বোন মাসুমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, তার বোন হসপিটালে থাকতে তাকে সব বলে গেছে। ওইদিন রাতে সুমন কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় মুনার শরীরে। তিনি বোনের হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হানিফ সরকার বলেন, মামলার অভিযোগসহ তদন্তে অনেকের বক্তব্য নেয়া হচ্ছে। সুমনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।

শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৫ ভাদ্র ১৪২৯ ১২ সফর ১৪৪৪

কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষিকাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী কারাগারে

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

image

কলেজ শিক্ষিকা মুনা ও তার স্বামী -সংবাদ

কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষিকা তাহমিনা আক্তার মুনাকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল এ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত সুমনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। মুনা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কুমিল্লা মডেল কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন এবং তারা কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩১ আগস্ট রাতে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার ভাড়া বাসায় অগ্নিদগ্ধের পর তাহমিনা আক্তার মুনাকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। এদিকে ওই রাতে চুলায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে কেরোসিনের বোতল গায়ে পড়ে কলেজ শিক্ষিকা মুনা অগ্নিদগ্ধ হন বলে তার স্বামী সুমন প্রচার করে আসছিলেন। মুনার মৃত্যুর ঘটনায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সুমনকে একমাত্র আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন মুনার ভগ্নিপতি মো. তরিকুল ইসলাম। আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, এ মামলায় গতকাল আদালতে জামিন চাইতে ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির হলে মুখ্য বিচারিক হাকিম মাজহারুল হক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার বাদী মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রেম করে ২০১৭ সালে মুনা ও সুমনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাফা নামে আড়াই বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। সুমনের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় এবং মুনার বাবার বাড়ি কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায়। একাধিক মেয়ের সঙ্গে সুমনের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। মুনার বড় বোন মাসুমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, তার বোন হসপিটালে থাকতে তাকে সব বলে গেছে। ওইদিন রাতে সুমন কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় মুনার শরীরে। তিনি বোনের হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হানিফ সরকার বলেন, মামলার অভিযোগসহ তদন্তে অনেকের বক্তব্য নেয়া হচ্ছে। সুমনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।