কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডজন খানেক

জেলা পরিষদ নির্বাচন চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর। এরই মধ্যে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় বইতে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। আওয়ামী লীগ তথা ২০ দলীয় জোটের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা। এরই মধ্যে ডজনখানেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলনও করেছেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দু’জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হলেও প্রায় ডজনখানেক মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। বর্তমান প্রশাসক কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ সদর উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি ও সাবেক প্রশাসক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাহিদ হোসেন জাফর, ডা: আমিনুল হক রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা ও হাবিবুল হক পুলক, বিশিষ্ট আইনজীবী মেহেদী হাসান, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসীনও উত্তোলন করেছেন মনোনয়ন। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থন কারা পাচ্ছেন তা নিয়েও রয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।

এ বিষয়ে দলের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিষয় থাকলেও ঘুরে ফিরে আসছে বর্তমান প্রশাসক হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী, সভাপতি সদর উদ্দিন খান এবং সাবেক প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফরের নাম। অবশ্য বর্তমান প্রশাসক যোগ্য হিসেবে নিজেকে দাবী করলেও বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ পিছু ছাড়েনি তাকে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুকম্পা নাও পেতে পারেন তিনি। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী গতবারও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। বর্ষিয়ান এই নেতা এবারও মনোনয়ন চাইবেন দল থেকে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানও মনোনয়ন প্রত্যাশী। অবশ্য দলের শীর্ষ পদে আসিন হওয়ায় যোগ্যতার বাচ বিচার নাও হতে পারে। দলীয় মনোনয়ন অন্য কাউকে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। যদিও বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আসগর আলী আশাবাদী তিনি পেতে পারেন কেন্দ্রের অনুকম্পা। এমন জল্পনা কল্পনা অবশ্য অনেকেরই। অন্যদিকে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফরের নামও আসছে ঘুরে ফিরে। এর আগে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে তিনি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ এই পদে। তাছাড়া ব্যক্তি ইমেজও বেশ সমৃদ্ধ। দলীয় মনোনয়ন তিনি পেলে অবাক হবার মতো কিছু ঘটবে না। অনেকের মতে তিনি হতে পারেন যোগ্য প্রার্থী।

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সদর উদ্দিন খান এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনিও সংগ্রহ করেছেন মনোনয়নপত্র। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বাচিব নেতা ডা: আমিনুল হক রতনও সংগ্রহ করেছেন মনোনয়নপত্র। দলের সমর্থন পেলেও তিনিও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ হাসান মেহেদী প্রথমবারের মত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

দলীয় মনোনয়ন পেলে তরুন এই নেতা করবেন নির্বাচন। জেলা আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। দল তাকে মনোনয়ন দিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চেয়ারম্যান পদে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুল হক পুলক তুলেছেন আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র।

এছাড়া কুষ্টিয়া কুষ্টিয়া জজকোর্টের আইনজীবী মেহেদীও মনোনয়ন চাইছেন আওয়ামী লীগ থেকে। মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি গোলাম মহসীন জাসদের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গত নির্বাচনে অবশ্য তাঁর মনোনয়পত্র বাতিল হয়ে যায়। এবারও তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে আগ্রহী। নিজেকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীও মনে করছেন তিনি।

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৬ ভাদ্র ১৪২৯ ১৩ সফর ১৪৪৪

জেলা পরিষদ নির্বাচন

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডজন খানেক

প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

জেলা পরিষদ নির্বাচন চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর। এরই মধ্যে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় বইতে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। আওয়ামী লীগ তথা ২০ দলীয় জোটের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা। এরই মধ্যে ডজনখানেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলনও করেছেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দু’জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হলেও প্রায় ডজনখানেক মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। বর্তমান প্রশাসক কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ সদর উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি ও সাবেক প্রশাসক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাহিদ হোসেন জাফর, ডা: আমিনুল হক রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা ও হাবিবুল হক পুলক, বিশিষ্ট আইনজীবী মেহেদী হাসান, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসীনও উত্তোলন করেছেন মনোনয়ন। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থন কারা পাচ্ছেন তা নিয়েও রয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।

এ বিষয়ে দলের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিষয় থাকলেও ঘুরে ফিরে আসছে বর্তমান প্রশাসক হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী, সভাপতি সদর উদ্দিন খান এবং সাবেক প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফরের নাম। অবশ্য বর্তমান প্রশাসক যোগ্য হিসেবে নিজেকে দাবী করলেও বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ পিছু ছাড়েনি তাকে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুকম্পা নাও পেতে পারেন তিনি। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী গতবারও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। বর্ষিয়ান এই নেতা এবারও মনোনয়ন চাইবেন দল থেকে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানও মনোনয়ন প্রত্যাশী। অবশ্য দলের শীর্ষ পদে আসিন হওয়ায় যোগ্যতার বাচ বিচার নাও হতে পারে। দলীয় মনোনয়ন অন্য কাউকে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। যদিও বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আসগর আলী আশাবাদী তিনি পেতে পারেন কেন্দ্রের অনুকম্পা। এমন জল্পনা কল্পনা অবশ্য অনেকেরই। অন্যদিকে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফরের নামও আসছে ঘুরে ফিরে। এর আগে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে তিনি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ এই পদে। তাছাড়া ব্যক্তি ইমেজও বেশ সমৃদ্ধ। দলীয় মনোনয়ন তিনি পেলে অবাক হবার মতো কিছু ঘটবে না। অনেকের মতে তিনি হতে পারেন যোগ্য প্রার্থী।

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সদর উদ্দিন খান এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনিও সংগ্রহ করেছেন মনোনয়নপত্র। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বাচিব নেতা ডা: আমিনুল হক রতনও সংগ্রহ করেছেন মনোনয়নপত্র। দলের সমর্থন পেলেও তিনিও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ হাসান মেহেদী প্রথমবারের মত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

দলীয় মনোনয়ন পেলে তরুন এই নেতা করবেন নির্বাচন। জেলা আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। দল তাকে মনোনয়ন দিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চেয়ারম্যান পদে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুল হক পুলক তুলেছেন আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র।

এছাড়া কুষ্টিয়া কুষ্টিয়া জজকোর্টের আইনজীবী মেহেদীও মনোনয়ন চাইছেন আওয়ামী লীগ থেকে। মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি গোলাম মহসীন জাসদের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গত নির্বাচনে অবশ্য তাঁর মনোনয়পত্র বাতিল হয়ে যায়। এবারও তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে আগ্রহী। নিজেকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীও মনে করছেন তিনি।