রানী এলিজাবেথের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় উপনেতার শোক

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে তিন দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করছে বাংলাদেশ। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ‘শুক্র, শনি ও রোববার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।’

রানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এ শোক জানান। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় উপনেতাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

রানীর উত্তরসূরি রাজা চার্লসের কাছে পাঠানো শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘গভীরতম দুঃখের সঙ্গে এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি বিশ্বে দীর্ঘতম সময় সিংহাসনে থাকা মহামান্য রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’ শোক বার্তায় তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসকে লিখেছেনÑ ‘গভীর শোক ও কষ্টের এই মুহূর্তে আপনার এবং আপনার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।’ বিশ্বে তার অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে যুক্তরাজ্যের জনগণ এবং কমনওয়েলথ ও অন্যান্য রাজ্যের জনগণের প্রতি তার ৭ দশকের সেবা, কর্তব্য ও নিষ্ঠার জন্য সর্বদা স্মরণ ও শ্রদ্ধা করা হবে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহামান্য রানীর বিদেহী আত্মাকে চির শান্তি ও পরিত্রাণ দিয়ে আশীর্বাদ করবেন এবং রাজপরিবারের সদস্যদের এবং যুক্তরাজ্যের শোকাহত জনগণকে এই ক্ষতি সহ্য করার সাহস ও দৃঢ়তা দান করবেন।’

গত ৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাস এমপিকে লেখা এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আকস্মিক মৃত্যুতে আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাকে গভীর শোক ও দুঃখ জানাচ্ছি, এবং আপনার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের জনগণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে গতকাল এক বিবৃতি বলা হয়, শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং প্রার্থনা শোকাহত রাজ পরিবারের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের শোকাহত জনগণের সঙ্গে রয়েছে এবং আমরা মহামান্যের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি ও পরিত্রাণের জন্য প্রার্থনা করছি।’

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, রানী শুধুমাত্র ২৫০ কোটি কমনওয়েলথ জনগণের স্তম্ভ এবং শক্তি ছিলেন না বরং তিনি করুণা, মর্যাদা, প্রজ্ঞা এবং সেবারও প্রতীক ছিলেন।

তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বের সমসাময়িক ইতিহাসে সবচেয়ে কিংবদন্তি এবং দীর্ঘতম রাজত্বকারী রাজা হিসাবে কর্তব্য, সেবা এবং ত্যাগের সর্বোচ্চ মান স্থাপন করেছেন এবং বিশ্বজুড়ে তার অগণিত মানুষের কাছে উৎসর্গের একটি অতুলনীয় উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।’

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে রানী সবচেয়ে আবেগপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন যেখানে তিনি লিখেছেন ‘আমরা বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের বন্ধন ধারণ করি, যা আমাদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি হিসেবে রয়ে গেছে এবং পঞ্চাশ বছর আগের মতো আজো তা গুরুত্বপূর্ণ।’

‘দুটি কমনওয়েলথ দেশের মধ্যে সম্পর্ককে পুষ্ট করার মাধ্যমে এটিকে বারবার হৃদয় থেকে হৃদয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’ তিনি যোগ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার দুঃখজনক মৃত্যুতে বাংলাদেশের মানুষ এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে শুধু একজন বিশ্বস্ত বন্ধুকেই হারালাম না। একজন প্রকৃত অভিভাবককেও হারিয়েছি।’

শেখ হাসিনা এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার জন্য রাজ পরিবারের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের জনগণ, এবং কমনওয়েলথের সদস্যদের সাহস ও দৃঢ়তা দান করার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

তার মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করে তাকে কিংবদন্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ব্রিটেনের কিংবদন্তি রানী ও রাজকীয় প্রশাসক ছিলেন।’ গতকাল জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। গতকাল এক শোক বার্তায় তিনি প্রয়াত রানীর আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন। পাশাপাশি প্রয়াত রানীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ব্রিটেনের শোকার্ত জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।

তিনি বলেন, ‘রানী এলিজাবেথ ছিলেন ব্রিটেনের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। শুধু ব্রিটেন নয়, সারা বিশ্বের মানুষের গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ জীবনে সর্বাধিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে তিনি রেকর্ড গড়েছেন, তা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। মানবকল্যাণে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে।’

৯৬ বছর বয়সে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রিটেনের বালমোরাল ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রানী। এ সময় তার পাশে ছিলেন প্রিন্স চার্লসসহ তার সব সন্তান, রাজপরিবারের বেশিরভাগ সদস্য।

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৬ ভাদ্র ১৪২৯ ১৩ সফর ১৪৪৪

রানী এলিজাবেথের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় উপনেতার শোক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে তিন দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করছে বাংলাদেশ। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ‘শুক্র, শনি ও রোববার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।’

রানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এ শোক জানান। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় উপনেতাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

রানীর উত্তরসূরি রাজা চার্লসের কাছে পাঠানো শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘গভীরতম দুঃখের সঙ্গে এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি বিশ্বে দীর্ঘতম সময় সিংহাসনে থাকা মহামান্য রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’ শোক বার্তায় তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসকে লিখেছেনÑ ‘গভীর শোক ও কষ্টের এই মুহূর্তে আপনার এবং আপনার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।’ বিশ্বে তার অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে যুক্তরাজ্যের জনগণ এবং কমনওয়েলথ ও অন্যান্য রাজ্যের জনগণের প্রতি তার ৭ দশকের সেবা, কর্তব্য ও নিষ্ঠার জন্য সর্বদা স্মরণ ও শ্রদ্ধা করা হবে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহামান্য রানীর বিদেহী আত্মাকে চির শান্তি ও পরিত্রাণ দিয়ে আশীর্বাদ করবেন এবং রাজপরিবারের সদস্যদের এবং যুক্তরাজ্যের শোকাহত জনগণকে এই ক্ষতি সহ্য করার সাহস ও দৃঢ়তা দান করবেন।’

গত ৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাস এমপিকে লেখা এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আকস্মিক মৃত্যুতে আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাকে গভীর শোক ও দুঃখ জানাচ্ছি, এবং আপনার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের জনগণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে গতকাল এক বিবৃতি বলা হয়, শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং প্রার্থনা শোকাহত রাজ পরিবারের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের শোকাহত জনগণের সঙ্গে রয়েছে এবং আমরা মহামান্যের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি ও পরিত্রাণের জন্য প্রার্থনা করছি।’

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, রানী শুধুমাত্র ২৫০ কোটি কমনওয়েলথ জনগণের স্তম্ভ এবং শক্তি ছিলেন না বরং তিনি করুণা, মর্যাদা, প্রজ্ঞা এবং সেবারও প্রতীক ছিলেন।

তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বের সমসাময়িক ইতিহাসে সবচেয়ে কিংবদন্তি এবং দীর্ঘতম রাজত্বকারী রাজা হিসাবে কর্তব্য, সেবা এবং ত্যাগের সর্বোচ্চ মান স্থাপন করেছেন এবং বিশ্বজুড়ে তার অগণিত মানুষের কাছে উৎসর্গের একটি অতুলনীয় উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।’

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে রানী সবচেয়ে আবেগপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন যেখানে তিনি লিখেছেন ‘আমরা বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের বন্ধন ধারণ করি, যা আমাদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি হিসেবে রয়ে গেছে এবং পঞ্চাশ বছর আগের মতো আজো তা গুরুত্বপূর্ণ।’

‘দুটি কমনওয়েলথ দেশের মধ্যে সম্পর্ককে পুষ্ট করার মাধ্যমে এটিকে বারবার হৃদয় থেকে হৃদয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’ তিনি যোগ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার দুঃখজনক মৃত্যুতে বাংলাদেশের মানুষ এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে শুধু একজন বিশ্বস্ত বন্ধুকেই হারালাম না। একজন প্রকৃত অভিভাবককেও হারিয়েছি।’

শেখ হাসিনা এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার জন্য রাজ পরিবারের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের জনগণ, এবং কমনওয়েলথের সদস্যদের সাহস ও দৃঢ়তা দান করার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

তার মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করে তাকে কিংবদন্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ব্রিটেনের কিংবদন্তি রানী ও রাজকীয় প্রশাসক ছিলেন।’ গতকাল জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। গতকাল এক শোক বার্তায় তিনি প্রয়াত রানীর আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন। পাশাপাশি প্রয়াত রানীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ব্রিটেনের শোকার্ত জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।

তিনি বলেন, ‘রানী এলিজাবেথ ছিলেন ব্রিটেনের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। শুধু ব্রিটেন নয়, সারা বিশ্বের মানুষের গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ জীবনে সর্বাধিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে তিনি রেকর্ড গড়েছেন, তা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। মানবকল্যাণে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে।’

৯৬ বছর বয়সে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রিটেনের বালমোরাল ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রানী। এ সময় তার পাশে ছিলেন প্রিন্স চার্লসসহ তার সব সন্তান, রাজপরিবারের বেশিরভাগ সদস্য।