সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে হাসিনা-মোদির আলোচনা না হওয়া হতাশাজনক

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোন আলোচনা না হওয়াকে হতাশাজনক বলে বর্ণনা করেছে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)।

গতকাল সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। কলকাতাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারতের ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) সরকারের সময় (২০০৪-১৪) সীমান্তে বছরে গড়ে ১৫০ জন নিহত হতেন। ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ক্ষমতায় আসার পর বছরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০।

বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকা- বাড়ার কারণ কংগ্রেস সরকারের আমলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র (নন-লেথাল উইপন) ব্যবহার করত। ২০১৪ সালের পর বিএসএফ আবার প্রাণঘাতী অস্ত্র (লেথাল উইপন) ব্যবহার শুরু করে।

মাসুমের সম্পাদক কিরীটি রায় বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু হলো না। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের যৌথ বিবৃতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিনাজপুরে গুলি চালিয়ে এক কিশোরকে হত্যা ও মরদেহ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। এটা সীমান্তের দুই পারের মানুষের জন্যই উদ্বেগের ও দুঃখজনক।’ সংগঠনটি বলেছে, ‘সীমান্তে হত্যা হঠাৎ বেড়েছে বলে আমাদের পরিসংখ্যান বলছে। যদিও দুই প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে হত্যা কমে যাওয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।’

সীমান্তে মানব পাচার, পশু চোরাচালান ও মাদক চালানের মতো অবৈধ কর্মকা- দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মদদ ছাড়া সম্ভব নয় বলেও মাসুমের বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

কিন্তু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বা বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে আলোকপাত না করার বিষয়টিকে হতাশাজনক উল্লেখ করে সীমান্তে প্রতিবছর কত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান দাবি করেছে সংগঠনটি।

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৬ ভাদ্র ১৪২৯ ১৩ সফর ১৪৪৪

ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতি

সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে হাসিনা-মোদির আলোচনা না হওয়া হতাশাজনক

সংবাদ ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোন আলোচনা না হওয়াকে হতাশাজনক বলে বর্ণনা করেছে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)।

গতকাল সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। কলকাতাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারতের ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) সরকারের সময় (২০০৪-১৪) সীমান্তে বছরে গড়ে ১৫০ জন নিহত হতেন। ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ক্ষমতায় আসার পর বছরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০।

বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকা- বাড়ার কারণ কংগ্রেস সরকারের আমলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র (নন-লেথাল উইপন) ব্যবহার করত। ২০১৪ সালের পর বিএসএফ আবার প্রাণঘাতী অস্ত্র (লেথাল উইপন) ব্যবহার শুরু করে।

মাসুমের সম্পাদক কিরীটি রায় বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু হলো না। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের যৌথ বিবৃতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিনাজপুরে গুলি চালিয়ে এক কিশোরকে হত্যা ও মরদেহ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। এটা সীমান্তের দুই পারের মানুষের জন্যই উদ্বেগের ও দুঃখজনক।’ সংগঠনটি বলেছে, ‘সীমান্তে হত্যা হঠাৎ বেড়েছে বলে আমাদের পরিসংখ্যান বলছে। যদিও দুই প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে হত্যা কমে যাওয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।’

সীমান্তে মানব পাচার, পশু চোরাচালান ও মাদক চালানের মতো অবৈধ কর্মকা- দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মদদ ছাড়া সম্ভব নয় বলেও মাসুমের বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

কিন্তু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বা বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে আলোকপাত না করার বিষয়টিকে হতাশাজনক উল্লেখ করে সীমান্তে প্রতিবছর কত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান দাবি করেছে সংগঠনটি।