একজন আলোকিত মানুষ আকবর আলি খান

আকবর আলি খান এক সাক্ষৎকারে বলেছিলেন, আমি সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করি। এ কথার মধ্যে তার অনেক সত্যান্বেষী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। এই সত্য বলার সৎসাহস নিয়েই আকবর আলি খান বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের আলোকবর্তিকা হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন সংকটকালে জাতিকে দিশা দিয়েছেন। স্পষ্টবাদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার লেখাও সমাদৃত হয়েছে জাতীয়ভাবে। একই সঙ্গে একজন বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ ছিলেন ড. আকবর আলি খান। মানুষের অধিকারের পক্ষে ছিলেন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। মেধা-মননে স্পষ্ট এবং সত্য কথা বলার সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব তাকে আলোকিত করেছিল। সেই কৃতীপুরুষ আকবর আলি খান বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের শূন্যতা তৈরি করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া দশটায় মৃত্যুবরণ করেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

আকবর আলি খান এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন। সরকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি সবকাজে অত্যন্ত মেধা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। একইভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ও তার মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। সরকারের কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার মতামত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হতো। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি জাতীয়ভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় মনোনিবেশ করেন। দেশের বিভিন্ন পেশাজীবি ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকা-ে তিনি অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ, জাতীয় সমস্যার ব্যাপারে অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য পরামর্শ দিতেন। সরকারি প্রশাসন, বার্ষিক বাজেট, সরকারের বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে তার দেয়া প্রস্তাব, সুপারিশ, উপদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করা হতো।

ব্যক্তি জীবনের তিনি বাম ঘরানার সমাজতান্ত্রিক চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনয়ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। তার আদর্শ ছিল সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেদিকে ধাবিত হয়নি। এ নিয়ে আক্ষেপ ছিল, অতৃপ্তি ছিল।

আকবর আলি খান বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তার ভাই কবির উদ্দিন জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বড় ভাইকে হাসপাতালে (এভারকেয়ার) নেয়া হয়েছিল। হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

আকবর আলি খানের মৃত্যুতে বিভিন্ন স্তরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা গভীর শোক ও সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শোক জানিয়েছেন।

গতকাল জুমার নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে আকবর আলি খানের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপর বিকেল ৩টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব আকবর আলি ২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। পরে রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে তিনিসহ চার উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছিলেন।

সাবেক আমলা আকবর আলি খান ১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি নেন। পরে কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতিতে পড়েছেন। এরপর অর্থনীতি নিয়ে পিএইচডি করেন। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। অবসর নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে। অর্থ সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আকবর আলি হবিগঞ্জের মহুকুমা প্রশাসক ছিলেন। সেসময় সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে কাজ করায় তার বিচার করে পাকিস্তান সামরিক সরকার। তারই অনুপস্থিতিতে দেয়া হয় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ-।

স্বাধীনতার পর আবার আমলা হিসেবে পেশাজীবনে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাও করেছেন তিনি। অর্থনীতির বিষয়ে ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ এবং ‘আজব ও জবর-আজব অর্থনীতি’ নামে তার দুটি বই বেশ জনপ্রিয়।

বিভিন্ন মহলের শোক

ড. আকবর আলি খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক শোক বার্তায় মন্ত্রী প্রয়াত ড. আকবর আলি খানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

বিএনপি মহাসচিবের শোক

ড. আকবর আলি খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আকবর আলি খানকে একজন নির্ভীক, স্পষ্টভাষী, সমাজ ও রাজনীতি সচেতন বুদ্ধিজীবী হিসেবে উল্লেখ করে এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘তিনি সত্য উচ্চারণে এবং মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন নির্ভীক ও সোচ্চার।

জিএম কাদেরের শোক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের শোকবার্তায় বলেন, ‘এক আদর্শবান মানুষ ছিলেন আকবর আলি খান। নতুন প্রজন্মের সামনে অনুকরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন তিনি।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির শোক

অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘ড. আকবর আলী খানের লেখালেখি এবং সৃজনশীল কর্মকা-ের স্মৃতি আমাদের কাছে ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা’র প্রতীক হিসেবে চিরজাগরূক থাকবে।

টিআইবির শোক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শোক বার্তায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ড. আকবর আলি খানের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। একজন সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।’

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৬ ভাদ্র ১৪২৯ ১৩ সফর ১৪৪৪

একজন আলোকিত মানুষ আকবর আলি খান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে আকবর আলি খানকে গার্ড অব অনার দেয়া হয় -সংবাদ

আকবর আলি খান এক সাক্ষৎকারে বলেছিলেন, আমি সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করি। এ কথার মধ্যে তার অনেক সত্যান্বেষী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। এই সত্য বলার সৎসাহস নিয়েই আকবর আলি খান বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের আলোকবর্তিকা হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন সংকটকালে জাতিকে দিশা দিয়েছেন। স্পষ্টবাদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার লেখাও সমাদৃত হয়েছে জাতীয়ভাবে। একই সঙ্গে একজন বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ ছিলেন ড. আকবর আলি খান। মানুষের অধিকারের পক্ষে ছিলেন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। মেধা-মননে স্পষ্ট এবং সত্য কথা বলার সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব তাকে আলোকিত করেছিল। সেই কৃতীপুরুষ আকবর আলি খান বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের শূন্যতা তৈরি করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া দশটায় মৃত্যুবরণ করেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

আকবর আলি খান এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন। সরকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি সবকাজে অত্যন্ত মেধা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। একইভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ও তার মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। সরকারের কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার মতামত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হতো। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি জাতীয়ভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় মনোনিবেশ করেন। দেশের বিভিন্ন পেশাজীবি ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকা-ে তিনি অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ, জাতীয় সমস্যার ব্যাপারে অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য পরামর্শ দিতেন। সরকারি প্রশাসন, বার্ষিক বাজেট, সরকারের বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে তার দেয়া প্রস্তাব, সুপারিশ, উপদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করা হতো।

ব্যক্তি জীবনের তিনি বাম ঘরানার সমাজতান্ত্রিক চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনয়ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। তার আদর্শ ছিল সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেদিকে ধাবিত হয়নি। এ নিয়ে আক্ষেপ ছিল, অতৃপ্তি ছিল।

আকবর আলি খান বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তার ভাই কবির উদ্দিন জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বড় ভাইকে হাসপাতালে (এভারকেয়ার) নেয়া হয়েছিল। হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

আকবর আলি খানের মৃত্যুতে বিভিন্ন স্তরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা গভীর শোক ও সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শোক জানিয়েছেন।

গতকাল জুমার নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে আকবর আলি খানের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপর বিকেল ৩টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব আকবর আলি ২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। পরে রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে তিনিসহ চার উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছিলেন।

সাবেক আমলা আকবর আলি খান ১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি নেন। পরে কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতিতে পড়েছেন। এরপর অর্থনীতি নিয়ে পিএইচডি করেন। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। অবসর নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে। অর্থ সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আকবর আলি হবিগঞ্জের মহুকুমা প্রশাসক ছিলেন। সেসময় সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে কাজ করায় তার বিচার করে পাকিস্তান সামরিক সরকার। তারই অনুপস্থিতিতে দেয়া হয় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ-।

স্বাধীনতার পর আবার আমলা হিসেবে পেশাজীবনে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাও করেছেন তিনি। অর্থনীতির বিষয়ে ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ এবং ‘আজব ও জবর-আজব অর্থনীতি’ নামে তার দুটি বই বেশ জনপ্রিয়।

বিভিন্ন মহলের শোক

ড. আকবর আলি খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক শোক বার্তায় মন্ত্রী প্রয়াত ড. আকবর আলি খানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

বিএনপি মহাসচিবের শোক

ড. আকবর আলি খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আকবর আলি খানকে একজন নির্ভীক, স্পষ্টভাষী, সমাজ ও রাজনীতি সচেতন বুদ্ধিজীবী হিসেবে উল্লেখ করে এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘তিনি সত্য উচ্চারণে এবং মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন নির্ভীক ও সোচ্চার।

জিএম কাদেরের শোক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের শোকবার্তায় বলেন, ‘এক আদর্শবান মানুষ ছিলেন আকবর আলি খান। নতুন প্রজন্মের সামনে অনুকরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন তিনি।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির শোক

অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘ড. আকবর আলী খানের লেখালেখি এবং সৃজনশীল কর্মকা-ের স্মৃতি আমাদের কাছে ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা’র প্রতীক হিসেবে চিরজাগরূক থাকবে।

টিআইবির শোক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শোক বার্তায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ড. আকবর আলি খানের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। একজন সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।’