রানির বর্ণাঢ্য জীবন

যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে রাজত্ব করা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেলেন ৯৬ বছর বয়সে। ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল লন্ডনের ১৭ ব্রুটন সেন্টে জন্মগ্রহণ করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেই বছরের ২৯ মে বাকিংহাম প্যালেসের ব্যক্তিগত চ্যাপেলে তার নামকরণ করা হয়।

চাচা অষ্টম এডওয়ার্ড ১৯৩৬ সালের ১১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করলে এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ব্রিটিশ সিংহাসনে বসে। ওই সময় এলিজাবেথের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। সেসময় তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

১৯৫২ সালে বাবার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ১৯৫৩ সালের ২ জুন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তার মাথায় রাজমুকুট পরানো হয়। এটি ছিল টেলিভিশনে প্রচারিত প্রথম রাজ্যাভিষেক।

দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, জ্যামাইকা, অ্যান্টিগুয়া, বারমুডা, বাহামা, বেলিজ, গ্রেনাডা, পাপুয়া নিউ গিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্টসহ ১৫টি রাজ্যের রানি ছিলেন। ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রানি তার শাসনের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছিলেন।

হাজার বছরের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে রাজা-রানি এসেছে অনেক, তবে তাদের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৭০ বছর আগে এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহনের ক্ষেত্রে তার নিজের কৃতিত্ব বলে কিছু ছিল না। বংশানুক্রমেই তার স্থান পাকা হয়েছিল।

কিন্তু রাজদ- হাতে নেওয়ার পর তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়, তাই মৃত্যুর পর তাকে স্মরণ করছে গোটা বিশ্ব। নিয়মের অধীনে সিংহাসন পেলেও দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার দীর্ঘ শাসনকালের পট এঁকেছেন প্রায় নির্ভুলতার সঙ্গে।

১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফরে বেরিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপ। পথে কেনিয়া নেমেছিলেন। সেখানেই রাজার মৃত্যুর খবর। দ্রুত দেশে ফেরেন, হাতে নেন রাজদ-। তখন তিনি ২৫ বছরের তরুণী।

তিনি যখন ব্রিটেনের দায়িত্ব নেন ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য অস্ত যায় না’ প্রবাদ তখন প্রায় ডুবে গেছে। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়েই বলেছিলেন, ‘এই দায়িত্ব একা পালনের শক্তি হয়তো আমার নেই।’ সবার সহায়তা চান তিনি।

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৬ ভাদ্র ১৪২৯ ১৩ সফর ১৪৪৪

রানির বর্ণাঢ্য জীবন

image

দীর্ঘ জীবনে রানি এলিজাবেথ তার চার সন্তান, আট নাতি-নাতনি এবং তাদের ঘরে আরও ১২ জন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন -বিবিসি

যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে রাজত্ব করা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেলেন ৯৬ বছর বয়সে। ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল লন্ডনের ১৭ ব্রুটন সেন্টে জন্মগ্রহণ করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেই বছরের ২৯ মে বাকিংহাম প্যালেসের ব্যক্তিগত চ্যাপেলে তার নামকরণ করা হয়।

চাচা অষ্টম এডওয়ার্ড ১৯৩৬ সালের ১১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করলে এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ব্রিটিশ সিংহাসনে বসে। ওই সময় এলিজাবেথের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। সেসময় তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

১৯৫২ সালে বাবার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ১৯৫৩ সালের ২ জুন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তার মাথায় রাজমুকুট পরানো হয়। এটি ছিল টেলিভিশনে প্রচারিত প্রথম রাজ্যাভিষেক।

দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, জ্যামাইকা, অ্যান্টিগুয়া, বারমুডা, বাহামা, বেলিজ, গ্রেনাডা, পাপুয়া নিউ গিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্টসহ ১৫টি রাজ্যের রানি ছিলেন। ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রানি তার শাসনের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছিলেন।

হাজার বছরের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে রাজা-রানি এসেছে অনেক, তবে তাদের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৭০ বছর আগে এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহনের ক্ষেত্রে তার নিজের কৃতিত্ব বলে কিছু ছিল না। বংশানুক্রমেই তার স্থান পাকা হয়েছিল।

কিন্তু রাজদ- হাতে নেওয়ার পর তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়, তাই মৃত্যুর পর তাকে স্মরণ করছে গোটা বিশ্ব। নিয়মের অধীনে সিংহাসন পেলেও দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার দীর্ঘ শাসনকালের পট এঁকেছেন প্রায় নির্ভুলতার সঙ্গে।

১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফরে বেরিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপ। পথে কেনিয়া নেমেছিলেন। সেখানেই রাজার মৃত্যুর খবর। দ্রুত দেশে ফেরেন, হাতে নেন রাজদ-। তখন তিনি ২৫ বছরের তরুণী।

তিনি যখন ব্রিটেনের দায়িত্ব নেন ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য অস্ত যায় না’ প্রবাদ তখন প্রায় ডুবে গেছে। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়েই বলেছিলেন, ‘এই দায়িত্ব একা পালনের শক্তি হয়তো আমার নেই।’ সবার সহায়তা চান তিনি।