আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়

পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয়জনিত নানা কারণে স্বাভাবিক মৃত্যুকে না মেনে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা ও মানসিক বেদনা ও অর্থনৈতিক দৈন্যতা বেড়ে গেলে চরম হতাশা কাজ করে। হতাশাই নিজের মধ্যে নেতিবাচক ধারণাগুলো তৈরি করে। এক পর্যায়ে মানুষ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। নিজেকে ও নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে হয়। তখনই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। একাজ যারা করে তাদেরকে আত্মঘাতক বা আত্মহননকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আসলে আত্মহত্যা কোন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান নয়, বরং জীবন মহামূল্যবান এবং এটিকে উপভোগ করা উচিত।

বর্তমান যুগ হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। তাই আত্মহত্যার প্রবণতাতেও যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন কারণ। বিশেষত ব্যক্তি বিশেষের মানসিক বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতাও আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের নানা জটিলতা ও প্রযুক্তির প্রতি মানুষের অত্যধিক আসক্তি বাড়লেও আত্মহত্যার প্রবণতার মধ্যে খুব পরিবর্তন হয়নি। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাগুলো দুর্বল হয়ে গেলে মানুষ অসহায় বোধ করে এবং এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করে ফেলে। পৃথিবীজুড়ে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ আত্মহত্যা। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায় মানসিক চাপ। এই চাপ সহ্য করতে না পারলে মানুষটি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে এই পথ বেছে নেন।

আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ও কা-ারি। তারা নানা স্বপ্নের জালবুনে, লেখাপড়া করে কাক্সিক্ষত কিছু অর্জন করতে চায়, পৃথিবীকে আলোকিত করতে চায়। অধিকাংশই লেখাপড়া শেষ করে একটি ভালো কর্মসংস্থান, পরিবারের জন্য কিছু করার তাগিদ, অনেকে প্রিয়জনকে জীবন সঙ্গী করে একটি সুন্দর সংসারের জালবুনে। এগুলোর যে কোন একটিতে কোন ছেদ পড়লে সে চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়। নিজেকে ব্যর্থ মনে করে এবং জীবনকে মূল্যহীন মনে হয়।

অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, করোনাকালীন সময়ে বেকারত্ব সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। লাখ লাখ তরুণ তরুণী কোন কাক্সিক্ষত কর্মসংস্থান খুঁজে পাচ্ছে না, এ কারণে তাদের মধ্যে হতাশা চরমভাবে আকড়ে ধরছে। ফলে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে অপছন্দনীয় ও নিকৃষ্টতর কাজটিই বেছে নিচ্ছে। আসলে আত্মহত্যা কোন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান নয়। উপলব্ধি করা উচিত জীবন মহামূল্যবান এবং জীবন প্রদীপ শেষ করার আগে এটিকে ভালভাবে উপভোগ করা উচিত।

জিল্লুর রহমান

আরও খবর

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৬ ভাদ্র ১৪২৯ ১৩ সফর ১৪৪৪

আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়

পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয়জনিত নানা কারণে স্বাভাবিক মৃত্যুকে না মেনে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা ও মানসিক বেদনা ও অর্থনৈতিক দৈন্যতা বেড়ে গেলে চরম হতাশা কাজ করে। হতাশাই নিজের মধ্যে নেতিবাচক ধারণাগুলো তৈরি করে। এক পর্যায়ে মানুষ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। নিজেকে ও নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে হয়। তখনই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। একাজ যারা করে তাদেরকে আত্মঘাতক বা আত্মহননকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আসলে আত্মহত্যা কোন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান নয়, বরং জীবন মহামূল্যবান এবং এটিকে উপভোগ করা উচিত।

বর্তমান যুগ হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। তাই আত্মহত্যার প্রবণতাতেও যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন কারণ। বিশেষত ব্যক্তি বিশেষের মানসিক বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতাও আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের নানা জটিলতা ও প্রযুক্তির প্রতি মানুষের অত্যধিক আসক্তি বাড়লেও আত্মহত্যার প্রবণতার মধ্যে খুব পরিবর্তন হয়নি। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাগুলো দুর্বল হয়ে গেলে মানুষ অসহায় বোধ করে এবং এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করে ফেলে। পৃথিবীজুড়ে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ আত্মহত্যা। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায় মানসিক চাপ। এই চাপ সহ্য করতে না পারলে মানুষটি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে এই পথ বেছে নেন।

আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ও কা-ারি। তারা নানা স্বপ্নের জালবুনে, লেখাপড়া করে কাক্সিক্ষত কিছু অর্জন করতে চায়, পৃথিবীকে আলোকিত করতে চায়। অধিকাংশই লেখাপড়া শেষ করে একটি ভালো কর্মসংস্থান, পরিবারের জন্য কিছু করার তাগিদ, অনেকে প্রিয়জনকে জীবন সঙ্গী করে একটি সুন্দর সংসারের জালবুনে। এগুলোর যে কোন একটিতে কোন ছেদ পড়লে সে চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়। নিজেকে ব্যর্থ মনে করে এবং জীবনকে মূল্যহীন মনে হয়।

অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, করোনাকালীন সময়ে বেকারত্ব সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। লাখ লাখ তরুণ তরুণী কোন কাক্সিক্ষত কর্মসংস্থান খুঁজে পাচ্ছে না, এ কারণে তাদের মধ্যে হতাশা চরমভাবে আকড়ে ধরছে। ফলে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে অপছন্দনীয় ও নিকৃষ্টতর কাজটিই বেছে নিচ্ছে। আসলে আত্মহত্যা কোন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান নয়। উপলব্ধি করা উচিত জীবন মহামূল্যবান এবং জীবন প্রদীপ শেষ করার আগে এটিকে ভালভাবে উপভোগ করা উচিত।

জিল্লুর রহমান