যে মুহূর্তে সুস্থ হয়ে উঠেছি, আমি প্রস্তুত, ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য

রওশনের নামে বিবৃতি

‘যে মুহূর্তে আমি সুস্থ হয়ে উঠেছি এবং সংসদ কার্যক্রমে অংশ নিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত, সে মুহূর্তে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এতে ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন’ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ গণমাধ্যমে পাঠান এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

গতকাল জাতীয় পার্টির প্যাডে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন রাজু।

গত কয়েকদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত অসত্য তথ্যনির্ভর (রওশন এরশাদের মতে) সংবাদের প্রতিবাদে রওশন এরশাদ এসব কথা বিবৃতি আকারে প্রকাশ করেন।

গত বুধবার এক সভায় কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মনে হয়েছে, তিনি কারও কথায় বা চাপে কাউন্সিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন।’

‘কারা চাপ দিচ্ছে’-এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে এবং তাদের পরিচয় স্পষ্ট না করে কাদের বলেন, ‘অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বাইরের কিছু মানুষ হয়ত বেগম রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।’

বিবৃতিতে রওশন বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষের ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও বানোয়াট। এর কোন ভিত্তি নেই।’

কাউন্সিল ডাকা রওশনের ‘এখতিয়ার বহির্ভূত’ বলে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন তার বিপরীতে রওশন বলেন, ‘গঠনতন্ত্র ২০ এর উপধারা ১-এ উল্লেখিত বিধিতে দেয়া প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতা বলে আমি বিশেষ প্রয়োজন উল্লেখ করেই দশম জাতীয় সম্মেলন ডেকেছি। বিগত তিন বছর সারাদেশে জাতীয় পার্টির যে বেহাল দশা এবং অসংখ্য দক্ষ যোগ্য নেতাকর্মীর আর্তনাদ, আমাকে ব্যথিত করেছে।

‘পল্লীবন্ধু খেতাব ও তার আদর্শকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আল্লাহর অশেষ রহমত এবং লাখ লাখ নেতাকর্মীর দোয়ায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে পার্টিকে রক্ষা করতেই দশম জাতীয় সম্মেলনের ডাক দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সবাই আমার সন্তান, আত্মার পরম আত্মীয়। সব বিভেদ ও মতপার্থক্য এবং বিভ্রান্তি ভুলে গিয়ে পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আবারও উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

‘কারও কথায় বা চাপে’ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের কাউন্সিল ডাকতে ‘বাধ্য হয়েছেন’ বলে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের যে দাবি করেছিলেন, তা সঠিক নয় উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বিবৃতিতে বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে শীঘ্রই দেশে এসে, সময়ের সাথী হব, বিপদে-আপদে থাকব তোমাদেরই পাশে, ইনশাল্লাহ।’

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির কর্তৃত্ব নিয়ে রওশনের সঙ্গে দেবর কাদেরের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছিল, পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হয় দু’জনের। তারপর কাদের দলের চেয়ারম্যান আর রওশন হন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা।

চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকা রওশন এরশাদ গত ৩০ আগস্ট আকস্মিকভাবে তার নামে দলে ‘কাউন্সিল’ ডাকা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৭ ভাদ্র ১৪২৯ ১৪ সফর ১৪৪৪

যে মুহূর্তে সুস্থ হয়ে উঠেছি, আমি প্রস্তুত, ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য

রওশনের নামে বিবৃতি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

‘যে মুহূর্তে আমি সুস্থ হয়ে উঠেছি এবং সংসদ কার্যক্রমে অংশ নিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত, সে মুহূর্তে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এতে ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন’ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ গণমাধ্যমে পাঠান এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

গতকাল জাতীয় পার্টির প্যাডে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন রাজু।

গত কয়েকদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত অসত্য তথ্যনির্ভর (রওশন এরশাদের মতে) সংবাদের প্রতিবাদে রওশন এরশাদ এসব কথা বিবৃতি আকারে প্রকাশ করেন।

গত বুধবার এক সভায় কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মনে হয়েছে, তিনি কারও কথায় বা চাপে কাউন্সিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন।’

‘কারা চাপ দিচ্ছে’-এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে এবং তাদের পরিচয় স্পষ্ট না করে কাদের বলেন, ‘অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বাইরের কিছু মানুষ হয়ত বেগম রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।’

বিবৃতিতে রওশন বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষের ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও বানোয়াট। এর কোন ভিত্তি নেই।’

কাউন্সিল ডাকা রওশনের ‘এখতিয়ার বহির্ভূত’ বলে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন তার বিপরীতে রওশন বলেন, ‘গঠনতন্ত্র ২০ এর উপধারা ১-এ উল্লেখিত বিধিতে দেয়া প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতা বলে আমি বিশেষ প্রয়োজন উল্লেখ করেই দশম জাতীয় সম্মেলন ডেকেছি। বিগত তিন বছর সারাদেশে জাতীয় পার্টির যে বেহাল দশা এবং অসংখ্য দক্ষ যোগ্য নেতাকর্মীর আর্তনাদ, আমাকে ব্যথিত করেছে।

‘পল্লীবন্ধু খেতাব ও তার আদর্শকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আল্লাহর অশেষ রহমত এবং লাখ লাখ নেতাকর্মীর দোয়ায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে পার্টিকে রক্ষা করতেই দশম জাতীয় সম্মেলনের ডাক দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সবাই আমার সন্তান, আত্মার পরম আত্মীয়। সব বিভেদ ও মতপার্থক্য এবং বিভ্রান্তি ভুলে গিয়ে পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আবারও উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

‘কারও কথায় বা চাপে’ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের কাউন্সিল ডাকতে ‘বাধ্য হয়েছেন’ বলে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের যে দাবি করেছিলেন, তা সঠিক নয় উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বিবৃতিতে বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে শীঘ্রই দেশে এসে, সময়ের সাথী হব, বিপদে-আপদে থাকব তোমাদেরই পাশে, ইনশাল্লাহ।’

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির কর্তৃত্ব নিয়ে রওশনের সঙ্গে দেবর কাদেরের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছিল, পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হয় দু’জনের। তারপর কাদের দলের চেয়ারম্যান আর রওশন হন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা।

চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকা রওশন এরশাদ গত ৩০ আগস্ট আকস্মিকভাবে তার নামে দলে ‘কাউন্সিল’ ডাকা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।