‘শান্তির ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে উঠেছে উত্তর কোরিয়া’

সম্প্রতি নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরোধমূলক পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রস্তুতি ‘আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি’।

পিয়ংইয়ং এরই মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি আইন পাস করেছে। ওই নতুন আইনে বলা হয়েছে, দেশের আত্মরক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়া আগেই পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে।

ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক পদক্ষেপকে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে ফ্রান্স। পিয়ংইয়ংয়ের এমন পদক্ষেপ কার্যকরভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার সম্ভাবনাকে দূরে ঠেলে দেবে। কারণ দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে তার দেশের মর্যাদা এখন ‘অপরিবর্তনীয়’।

উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করলো পিয়ংইয়ং। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য সিউলকে দায়ী করেছে উত্তর কোরিয়া। একই সঙ্গে একের পর এক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন কিম জং উন। কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছয়বার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়ম না মেনে দেশটি পারমাণবিক সক্ষতার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে কিমের নেতৃত্বে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মেলনের পর ওই পরীক্ষা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মতি জানান। কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ের নতুন ঘোষণা সেই সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৭ ভাদ্র ১৪২৯ ১৪ সফর ১৪৪৪

‘শান্তির ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে উঠেছে উত্তর কোরিয়া’

সম্প্রতি নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরোধমূলক পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রস্তুতি ‘আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি’।

পিয়ংইয়ং এরই মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি আইন পাস করেছে। ওই নতুন আইনে বলা হয়েছে, দেশের আত্মরক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়া আগেই পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে।

ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক পদক্ষেপকে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে ফ্রান্স। পিয়ংইয়ংয়ের এমন পদক্ষেপ কার্যকরভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার সম্ভাবনাকে দূরে ঠেলে দেবে। কারণ দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে তার দেশের মর্যাদা এখন ‘অপরিবর্তনীয়’।

উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করলো পিয়ংইয়ং। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য সিউলকে দায়ী করেছে উত্তর কোরিয়া। একই সঙ্গে একের পর এক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন কিম জং উন। কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছয়বার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়ম না মেনে দেশটি পারমাণবিক সক্ষতার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে কিমের নেতৃত্বে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মেলনের পর ওই পরীক্ষা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মতি জানান। কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ের নতুন ঘোষণা সেই সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।