মহাসড়কের নিরাপত্তাব্যবস্থা

কেউ কাজের সূত্রে আবার কেউ নিজের বাড়িতে ফেরার আশায় একজেলা বা বিভাগ থেকে অন্য জেলা বা বিভাগে গমন করেন। এ ক্ষেত্রে তাদের পাড়ি দিতে হয় ছোটখাটো সড়ক থেকে মহাসড়ক। কিন্তু চিন্তার বিষয় এই যে, দিনকে দিন অতি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের নিরাপত্তাব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। কিছু বিপদগামী মানুষ দলবেঁধে বিভিন্ন কায়দায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রীসাধারণের সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে।

তবে ইদানীং তারা কৌশল পরিবর্তন করেছে। এখন তারা প্রারম্ভিক স্থান থেকে সাধারণ যাত্রী হিসেবে গমন করে নির্দিষ্ট নিরিবিলি স্থানে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করছে, হাত-পা, মুখ বেঁধে টাকা-পয়সা, ফোন, অলংকার ছিনিয়ে নিচ্ছে। এতে কেউ কথা না শুনলে অকালে প্রাণ হারানোর নজিরও আছে। তবে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন নারী যাত্রীরা। তাদের শারীরিক লাঞ্ছনার পাশাপাশি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারও হতে হয়।

মহাসড়কে নিয়মিত টহল দেন হাইওয়ে পুলিশ। এসব চিত্র যখন পত্রিকায় দেখা যায়, তখন তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যে- তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে ডাকাতি হচ্ছে। দেশের জনসাধারণের নিরাপত্তা দেয়া যাদের কর্ম তারা যদি তা ঠিকমতো পালন করতো তাহলে এসব আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে মানুষ রেহাই পেতো।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মহাসড়কে হওয়া ডাকাতদলের চিত্র যদি বর্ণনা করি তাহলে দেখা যায়, বেশিরভাগ ডাকাতের বয়স ১৮-২১ বছর। তারা সবেমাত্র কৈশোরের গন্ডি পেরিয়েছে। হয়তো তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যও ছিল। সেখানে টুকটাক অপরাধ করে এখন আরও বড় অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। আমাদের সমাজের এখনই আনাচে-কানাচে নজর দিতে হবে, কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম থামাতে হবে। এখনই এদের থামানো না গেলে এরাই এক দিন দেশের মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলবে, যা আজ বাস্তবতার সম্মুখে। সর্বপরি, দেশের জনগণের স্বার্থে মহাসড়কের নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে।

মাহমুদুল হাসান মিল্টন

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৭ ভাদ্র ১৪২৯ ১৪ সফর ১৪৪৪

মহাসড়কের নিরাপত্তাব্যবস্থা

কেউ কাজের সূত্রে আবার কেউ নিজের বাড়িতে ফেরার আশায় একজেলা বা বিভাগ থেকে অন্য জেলা বা বিভাগে গমন করেন। এ ক্ষেত্রে তাদের পাড়ি দিতে হয় ছোটখাটো সড়ক থেকে মহাসড়ক। কিন্তু চিন্তার বিষয় এই যে, দিনকে দিন অতি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের নিরাপত্তাব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। কিছু বিপদগামী মানুষ দলবেঁধে বিভিন্ন কায়দায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রীসাধারণের সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে।

তবে ইদানীং তারা কৌশল পরিবর্তন করেছে। এখন তারা প্রারম্ভিক স্থান থেকে সাধারণ যাত্রী হিসেবে গমন করে নির্দিষ্ট নিরিবিলি স্থানে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করছে, হাত-পা, মুখ বেঁধে টাকা-পয়সা, ফোন, অলংকার ছিনিয়ে নিচ্ছে। এতে কেউ কথা না শুনলে অকালে প্রাণ হারানোর নজিরও আছে। তবে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন নারী যাত্রীরা। তাদের শারীরিক লাঞ্ছনার পাশাপাশি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারও হতে হয়।

মহাসড়কে নিয়মিত টহল দেন হাইওয়ে পুলিশ। এসব চিত্র যখন পত্রিকায় দেখা যায়, তখন তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যে- তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে ডাকাতি হচ্ছে। দেশের জনসাধারণের নিরাপত্তা দেয়া যাদের কর্ম তারা যদি তা ঠিকমতো পালন করতো তাহলে এসব আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে মানুষ রেহাই পেতো।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মহাসড়কে হওয়া ডাকাতদলের চিত্র যদি বর্ণনা করি তাহলে দেখা যায়, বেশিরভাগ ডাকাতের বয়স ১৮-২১ বছর। তারা সবেমাত্র কৈশোরের গন্ডি পেরিয়েছে। হয়তো তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যও ছিল। সেখানে টুকটাক অপরাধ করে এখন আরও বড় অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। আমাদের সমাজের এখনই আনাচে-কানাচে নজর দিতে হবে, কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম থামাতে হবে। এখনই এদের থামানো না গেলে এরাই এক দিন দেশের মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলবে, যা আজ বাস্তবতার সম্মুখে। সর্বপরি, দেশের জনগণের স্বার্থে মহাসড়কের নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে।

মাহমুদুল হাসান মিল্টন