নীলফামারী ও রংপুর জেলার সমন্বয়ে পাগলাপীর ডালিয়া একটি জনবহুল সড়ক। চার উপজেলার যানবহন ওই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। প্রতিদিন দুর পাল্লার ঢাকা,কুমিল্লা,সিলেট, চট্রগ্রাম,বগুড়া ও সিরাজগঞ্জগামী কোচসহ লোকাল যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস রংপুর হতে জলঢাকা, ডোমার, ডিমলা চিলাহাটি,কিশোরগঞ্জ হয়ে বাংলাবন্দা পর্যন্ত চলাচল করে। কিন্তু উক্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দসহ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেসব স্থানে গর্তের সৃষ্টি মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ড, চেকপোষ্ট, গাড়াগ্রাম বাসষ্ট্যান্ড, অবিলের বাজার, বড়ভিটা বাসষ্ট্যান্ড, বিন্নাকুড়ি, জলঢাকা সহ আরো অনেক স্থানে। রোড সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি কয়েকজন জানিয়েছেন পাগলাপীর ডালিয়া ও জলঢাকা সড়ক গর্ত সৃষ্টি হওয়ার মুল কারন হচ্ছে উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ড্রাম ট্রাক অতিরিক্ত বালু বহন করে এবং ২০ চাকা বিশিষ্ট বাঁশ বহনকারী ট্রাক ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালামাল বহনকারী ২৬ চাকা বিশিষ্ট ট্রাক গুলো উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে। এছাড়াও যানহবাহনের তুলনায় পাগলাপীর ডালিয়া সড়কটি অনেক ছোট হয়েছে। দুটি গাড়ি এক সাথে কোসিং করতে গেলে সড়কে আর কোন জায়গা থাকেনা। বাস ট্রাকের পাশাপাশি উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মটরবাইক,অটোবাইক, থ্রী হুইলার,আটোরিকসা, মাইন্দ্রা ট্রাকটর, স্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটিসহ হাজার হাজার গাড়ী চলাচল করে থাকে। সড়ক প্রশস্থ না থাকায় যানবাহনের সংখ্যা বেশী হওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা লেগে আছে। গর্ত গুলোতে বর্ষায় পানি জমে থাকার ফলে বিটুমিন উঠে গিয়ে পর্যায়ক্রমে ছোট গর্ত থেকে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। পাগলাপীর থেকে জলঢাকা হয়ে ডালিয়া পর্যন্ত প্রায় শতাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাগলাপীর ডালিয়া সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারসহ সড়ক বাড়ানোর জন্য দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

তাই প্রানহানী রোধসহ সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে জরুরী ভিত্তিতে সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করছেন উক্ত সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনের চালক ও এলাকাবাসী।