সারের সংকট না থাকলেও অতিরিক্ত দামে বিক্রি!

আমন মৌসুম উপলক্ষে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে সার। সংকট না থাকলেও অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ইউরিয়া সার প্রতি কেজি ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে কেজি প্রতি ২২ টাকা দাম নির্ধারণ করার পর থেকে লাগামহীনভাবে বাড়ছে সব ধরনের সারের দাম।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, এমওপি সার (লাল সার) পূর্বে ৭০০ টকা বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা। ইউরিয়া সার ২২ টাকা কেজিতে বিক্রির কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। বিএডিসি সার বস্তা প্রতি ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। দাম বেশি নেয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা ডিলারের কাছ থেকে বেশি দামে ক্রয় করার কথা জানান। অতিরিক্ত দামে সার ক্রয় করায় আমন ফসল নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে সার কিনতে হয়। এই অবস্থায় ফসল ফলানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ কৃষক।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার তুষার বলেন, সার সংকট নেই তবে দাম বেশি হওয়ার কারন আমদানিকারকের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনছে ব্যবসায়ীরা।দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রেখেছেন উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতোমধ্যে কয়েকটি বাজারে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয়েছে এবং এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৮ ভাদ্র ১৪২৯ ১৫ সফর ১৪৪৪

সারের সংকট না থাকলেও অতিরিক্ত দামে বিক্রি!

প্রতিনিধি, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)

আমন মৌসুম উপলক্ষে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে সার। সংকট না থাকলেও অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ইউরিয়া সার প্রতি কেজি ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে কেজি প্রতি ২২ টাকা দাম নির্ধারণ করার পর থেকে লাগামহীনভাবে বাড়ছে সব ধরনের সারের দাম।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, এমওপি সার (লাল সার) পূর্বে ৭০০ টকা বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা। ইউরিয়া সার ২২ টাকা কেজিতে বিক্রির কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। বিএডিসি সার বস্তা প্রতি ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। দাম বেশি নেয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা ডিলারের কাছ থেকে বেশি দামে ক্রয় করার কথা জানান। অতিরিক্ত দামে সার ক্রয় করায় আমন ফসল নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে সার কিনতে হয়। এই অবস্থায় ফসল ফলানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ কৃষক।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার তুষার বলেন, সার সংকট নেই তবে দাম বেশি হওয়ার কারন আমদানিকারকের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনছে ব্যবসায়ীরা।দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রেখেছেন উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতোমধ্যে কয়েকটি বাজারে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয়েছে এবং এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।