ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে শ্রীমঙ্গলের প্রীতম দাসকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
গতকাল সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষশক্তি ক্ষমতায় থাকাকালে গত কয়েক বছর ধরে তথাকথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অমুসলিম নাগরিকদের যেভাবে অপমান, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে- এসব ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জ্ঞাপন করছি।’
নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের একটি লেখার উদ্ধৃতি প্রদানের কারণে শ্রীমঙ্গলের সমাজকর্মী প্রীতম দাসকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। পাকিস্তান সম্পর্কে উর্দু সাহিত্যের লেখক সাদাত হোসেন মান্টোর একটি মন্তব্যের জন্য মূল লেখক বা উদ্ধৃতি প্রদানকারীকে অভিযুক্ত না করে সনাতনধর্মাবলম্বী প্রীতম দাসকে গ্রেপ্তার নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও নি¤œমুখী করবে বলে আমরা মনে করি।’
‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ম্লান করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বহুমাত্রিক তৎপরতা চালাচ্ছে, যার একটি হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সনাতনধর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করে তথাকথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ ও গ্রেপ্তার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গণমাধ্যম সূত্রে আমরা জেনেছি- অতীতে এ ধরনের অভিযোগ মৌলবাদীরা করলেও প্রীতম দাসের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একজন স্থানীয় নেতা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রীতম দাসের বক্তব্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে হিন্দু হওয়ার কারণে প্রীতম দাসকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে।
‘আমরা অবিলম্বে প্রীতম দাসের মুক্তির পাশাপাশি যারা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াবার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে এবং যারা ওয়াজ মাহফিল বা জুম্মার নামাজে খোৎবা প্রদানের সময় ভিন্নধর্ম ও ভিন্নমতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করছে- তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি। অন্যথায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এ ধরনের অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়া হবে এবং মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমশ নিম্নগামী হতে থাকবে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জাতীয় কমিটির নেতা প্রীতম দাসকে মিথ্যা অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল পল্টন মোড়ে সমাবেশ -সংবাদ
আরও খবরসোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৮ ভাদ্র ১৪২৯ ১৫ সফর ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জাতীয় কমিটির নেতা প্রীতম দাসকে মিথ্যা অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল পল্টন মোড়ে সমাবেশ -সংবাদ
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে শ্রীমঙ্গলের প্রীতম দাসকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
গতকাল সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষশক্তি ক্ষমতায় থাকাকালে গত কয়েক বছর ধরে তথাকথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অমুসলিম নাগরিকদের যেভাবে অপমান, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে- এসব ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জ্ঞাপন করছি।’
নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের একটি লেখার উদ্ধৃতি প্রদানের কারণে শ্রীমঙ্গলের সমাজকর্মী প্রীতম দাসকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। পাকিস্তান সম্পর্কে উর্দু সাহিত্যের লেখক সাদাত হোসেন মান্টোর একটি মন্তব্যের জন্য মূল লেখক বা উদ্ধৃতি প্রদানকারীকে অভিযুক্ত না করে সনাতনধর্মাবলম্বী প্রীতম দাসকে গ্রেপ্তার নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও নি¤œমুখী করবে বলে আমরা মনে করি।’
‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ম্লান করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বহুমাত্রিক তৎপরতা চালাচ্ছে, যার একটি হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সনাতনধর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করে তথাকথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ ও গ্রেপ্তার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গণমাধ্যম সূত্রে আমরা জেনেছি- অতীতে এ ধরনের অভিযোগ মৌলবাদীরা করলেও প্রীতম দাসের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একজন স্থানীয় নেতা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রীতম দাসের বক্তব্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে হিন্দু হওয়ার কারণে প্রীতম দাসকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে।
‘আমরা অবিলম্বে প্রীতম দাসের মুক্তির পাশাপাশি যারা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াবার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে এবং যারা ওয়াজ মাহফিল বা জুম্মার নামাজে খোৎবা প্রদানের সময় ভিন্নধর্ম ও ভিন্নমতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করছে- তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি। অন্যথায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এ ধরনের অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়া হবে এবং মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমশ নিম্নগামী হতে থাকবে।’