চলতি বছর ভারতে চালের উৎপাদন কমতে পারে, তবে খাদ্য সংকটের ‘আশঙ্কা নেই’

এ বছরের খরিফ মওসুমে ভারতের ধানের উৎপাদন বরাবরের চেয়ে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন টন কম হতে পারে বলে ভারতের খাদ্যসচিব সুধাংশু পা-ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পা-ে বলেছেন, প্রাকৃতি দুর্যোগ ও অনাবৃষ্টির কারণে চষাবাদ বিঘিœত হওয়ায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবার ধান উৎপাদন কমবে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলছেন, উৎপাদন কম হলেও খাদ্যাভাবের কোন ‘আশঙ্কা দেখা দেবে না’।

সাধারণত খরিফ মৌসুম ভারতের মোট ধান উৎপাদনের প্রায় ৮০ শতাংশ অবদান রাখে। পরিসংখ্যান দিয়ে খাদ্য সচিব বলেছেন, রাজ্যে রাজ্যে এই খরিফ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ধানের আবাদ ৩৮ লাখ হেক্টর দেখা যাচ্ছে, এই অবস্থায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হলে চাল উৎপাদন ১২ মিলিয়ন টন কমতে পারে।

পা-ে বলেন, ‘এটি একর ও গড় ফলন হ্রাসের ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক অনুমান মাত্র। তবে যে রাজ্যগুলোতে ভালো বৃষ্টি হয়েছে সেখানে ভালো ফলন হবে।’

২০২১-২০২২ (জুলাই-জুন) শস্য বছরে ভারতের মোট ধান উৎপাদনের পরিকল্পনা ছিল আনুমানিক ১৩০.২৯ মিলিয়ন টন। আগের বছরের উৎপাদন রেকর্ড ছিল ১২৪.৩৭ মিলিয়ন টন।

এর মধ্যে ২০২১-২০২২ সালে মোট ধান উৎপাদনের মধ্যে ১১১.৭৬ মিলিয়ন টন খরিফ মৌসুমে এবং ১৮.৫৩ মিলিয়ন টন শীতকালীন মৌসুমে ছিল।

ভারত গত অর্থবছরে ২১.২ মিলিয়ন টন চাল রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৩.৯৪ মিলিয়ন টন ছিল বাসমতি জাতের চাল।

পা-ে বলেছেন, চারটি রাজ্যে ধান চাষ ২৫ লাখ হেক্টর কম হয়েছে, যেখানে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। ওই চারটি রাজ্যে উৎপাদন ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন টন কম হতে পারে। অন্যান্য রাজ্যে, অন্য ফসলের বৈচিত্র্যের কারণে ধান বপন কমে গেছে।

২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, চলমান খরিফ মৌসুমে ধানের ফসলের আওতাধীন এলাকা ৫.৬২ শতাংশ কমে মোট ৩৮৩.৯৯ লাখ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। তথ্যে দেখা গেছে, এক বছর আগে ৪০৬.৮৯ লাখ হেক্টর জমিতে ধান বপন করা হয়েছিল।

এর মধ্যে ঝাড়খ-ে (৯.৮০ লাখ হেক্টর), মধ্যপ্রদেশে (৬.৩২ লাখ হেক্টর), পশ্চিমবঙ্গে (৪.৪৫ লাখ হেক্টর), ছত্তিশগড়ে (৩.৯১ লাখ হেক্টর), উত্তর প্রদেশে (২.৬১ লাখ হেক্টর) এবং বিহার রাজ্যে (২.১৮ লাখ হেক্টর) এই খরিফ মৌসুমে ধান চাষাবদের ক্ষেত্রে একটি বিশাল ব্যবধান ছিল।

চাল উৎপাদনের আগাম আশঙ্কায় ইতোমধ্যে ভারত সরকার ভাঙা চাল (খুদ) রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং বাসমতি চালের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে। এটি অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধি দেখা দিলে ভারসাম্য বজায় থাকবে বলে ভারত সরকার ধারণা করছে।

ভাঙা চাল (খুদ) রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পিছনে যুক্তি ব্যাখ্যা করার জন্য একটি সংবাদ সম্মেল করে পরিসংখ্যান দিয়ে খাদ্য সচিব সুধাংশু পা-ে মূলত উপরিল্লিখিত বক্তব্য পেশ করেছেন।

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ৮ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ??‘ভাঙা (খুদ) চালের রপ্তানির বিভাগটি ‘মুক্ত’ থেকে ‘সীমাবদ্ধ’-এ পরিবর্তন করা হয়েছে। ‘এই নির্দেশনা ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়েছে’।

স্থানান্তর নীতির ক্ষেত্রে বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি ২০১৫-২০২০-এর অধীনে থাকা বিধানগুলো এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া ৯ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের সময়কালে, পিস চালের কিছু চালান রপ্তানির অনুমতি দেয়া হবে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে এই সময়ের মধ্যে কেবলমাত্র সেই চালানগুলো রপ্তানির জন্য অনুমোদিত হবে যেগুলোর চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে শিপমেন্ট শুরু হয়েছিল। এর আগে আতপ চাল বাদে নন-বাসমতি চালের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিল সরকার।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উল্লেখযোগ্যভাবে দেশের কয়েকটি রাজ্যে কম বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের এলাকা হ্রাস পেয়েছে। চীনের পর ভারত সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন করে। বিশ্বব্যাপী চাল বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ জন্য ভারতের। ভারত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিশ্বের ১৫০ টিরও বেশি দেশে নন-বাসমতি চাল রপ্তানি করেছে।

খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বব্যাপী চাহিদার নিরিখে আন্তর্জাতিক বাজারে ভাঙা চালের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। এই কারণে হঠাৎ ভাঙা চালের রপ্তানি বেড়ে যায়।

ওই রপ্তানি বাড়ার কারণে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে ভাঙাসহ (খুদ) চালের দামও বাড়ছে। ভারতের খোলাবাজারে ভাঙা চালের কেজি ১৫.৫০/১৬ রুপি থেকে বেড়ে ইতোমধ্যে ২৩ রুপিতে উঠেছে।

তাছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম যাতে না বাড়ে, সেজন্য ভারত সরকার এ বছর আরও বেশ কিছু খাদ্যশস্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। গত ২০২২-এর মার্চ মাসে তীব্র দাবদাহের কারণে গমের উৎপাদন কম হওয়ায় মে মাসে গমের রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়। গমের রপ্তানি না হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ময়দার চাহিদা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আগস্ট মাস থেকে ময়দা রপ্তানিও বন্ধ করা হয় যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

ভারত সরকার চাল রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের বাজারে এর কোন প্রতিক্রিয়া হবে কি না জানার জন্য কলকাতা উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব বাণিজ্য সামসুল আরিফ জানান, রপ্তানি নিষিদ্ধর আগে আমাদের ব্যবসায়ীদের কি পরিমাণ চালান বকেয়া রয়েছে তা না জেনে মন্তব্য করা কঠিন। তবে হঠাৎ করে ভারত চাল রপ্তনি বন্ধ করায় বিশ্ববাজরে মূল্য বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না, কেননা ভারত প্রতি বছর বাংলাদেশসহ ১৫০টি দেশে চাল, গমসহ খাদ্যশস্য রপ্তানি করে থাকে।

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৮ ভাদ্র ১৪২৯ ১৫ সফর ১৪৪৪

চলতি বছর ভারতে চালের উৎপাদন কমতে পারে, তবে খাদ্য সংকটের ‘আশঙ্কা নেই’

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

এ বছরের খরিফ মওসুমে ভারতের ধানের উৎপাদন বরাবরের চেয়ে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন টন কম হতে পারে বলে ভারতের খাদ্যসচিব সুধাংশু পা-ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পা-ে বলেছেন, প্রাকৃতি দুর্যোগ ও অনাবৃষ্টির কারণে চষাবাদ বিঘিœত হওয়ায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবার ধান উৎপাদন কমবে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলছেন, উৎপাদন কম হলেও খাদ্যাভাবের কোন ‘আশঙ্কা দেখা দেবে না’।

সাধারণত খরিফ মৌসুম ভারতের মোট ধান উৎপাদনের প্রায় ৮০ শতাংশ অবদান রাখে। পরিসংখ্যান দিয়ে খাদ্য সচিব বলেছেন, রাজ্যে রাজ্যে এই খরিফ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ধানের আবাদ ৩৮ লাখ হেক্টর দেখা যাচ্ছে, এই অবস্থায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হলে চাল উৎপাদন ১২ মিলিয়ন টন কমতে পারে।

পা-ে বলেন, ‘এটি একর ও গড় ফলন হ্রাসের ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক অনুমান মাত্র। তবে যে রাজ্যগুলোতে ভালো বৃষ্টি হয়েছে সেখানে ভালো ফলন হবে।’

২০২১-২০২২ (জুলাই-জুন) শস্য বছরে ভারতের মোট ধান উৎপাদনের পরিকল্পনা ছিল আনুমানিক ১৩০.২৯ মিলিয়ন টন। আগের বছরের উৎপাদন রেকর্ড ছিল ১২৪.৩৭ মিলিয়ন টন।

এর মধ্যে ২০২১-২০২২ সালে মোট ধান উৎপাদনের মধ্যে ১১১.৭৬ মিলিয়ন টন খরিফ মৌসুমে এবং ১৮.৫৩ মিলিয়ন টন শীতকালীন মৌসুমে ছিল।

ভারত গত অর্থবছরে ২১.২ মিলিয়ন টন চাল রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৩.৯৪ মিলিয়ন টন ছিল বাসমতি জাতের চাল।

পা-ে বলেছেন, চারটি রাজ্যে ধান চাষ ২৫ লাখ হেক্টর কম হয়েছে, যেখানে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। ওই চারটি রাজ্যে উৎপাদন ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন টন কম হতে পারে। অন্যান্য রাজ্যে, অন্য ফসলের বৈচিত্র্যের কারণে ধান বপন কমে গেছে।

২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, চলমান খরিফ মৌসুমে ধানের ফসলের আওতাধীন এলাকা ৫.৬২ শতাংশ কমে মোট ৩৮৩.৯৯ লাখ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। তথ্যে দেখা গেছে, এক বছর আগে ৪০৬.৮৯ লাখ হেক্টর জমিতে ধান বপন করা হয়েছিল।

এর মধ্যে ঝাড়খ-ে (৯.৮০ লাখ হেক্টর), মধ্যপ্রদেশে (৬.৩২ লাখ হেক্টর), পশ্চিমবঙ্গে (৪.৪৫ লাখ হেক্টর), ছত্তিশগড়ে (৩.৯১ লাখ হেক্টর), উত্তর প্রদেশে (২.৬১ লাখ হেক্টর) এবং বিহার রাজ্যে (২.১৮ লাখ হেক্টর) এই খরিফ মৌসুমে ধান চাষাবদের ক্ষেত্রে একটি বিশাল ব্যবধান ছিল।

চাল উৎপাদনের আগাম আশঙ্কায় ইতোমধ্যে ভারত সরকার ভাঙা চাল (খুদ) রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং বাসমতি চালের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে। এটি অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধি দেখা দিলে ভারসাম্য বজায় থাকবে বলে ভারত সরকার ধারণা করছে।

ভাঙা চাল (খুদ) রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পিছনে যুক্তি ব্যাখ্যা করার জন্য একটি সংবাদ সম্মেল করে পরিসংখ্যান দিয়ে খাদ্য সচিব সুধাংশু পা-ে মূলত উপরিল্লিখিত বক্তব্য পেশ করেছেন।

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ৮ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ??‘ভাঙা (খুদ) চালের রপ্তানির বিভাগটি ‘মুক্ত’ থেকে ‘সীমাবদ্ধ’-এ পরিবর্তন করা হয়েছে। ‘এই নির্দেশনা ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়েছে’।

স্থানান্তর নীতির ক্ষেত্রে বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি ২০১৫-২০২০-এর অধীনে থাকা বিধানগুলো এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া ৯ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের সময়কালে, পিস চালের কিছু চালান রপ্তানির অনুমতি দেয়া হবে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে এই সময়ের মধ্যে কেবলমাত্র সেই চালানগুলো রপ্তানির জন্য অনুমোদিত হবে যেগুলোর চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে শিপমেন্ট শুরু হয়েছিল। এর আগে আতপ চাল বাদে নন-বাসমতি চালের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিল সরকার।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উল্লেখযোগ্যভাবে দেশের কয়েকটি রাজ্যে কম বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের এলাকা হ্রাস পেয়েছে। চীনের পর ভারত সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন করে। বিশ্বব্যাপী চাল বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ জন্য ভারতের। ভারত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিশ্বের ১৫০ টিরও বেশি দেশে নন-বাসমতি চাল রপ্তানি করেছে।

খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বব্যাপী চাহিদার নিরিখে আন্তর্জাতিক বাজারে ভাঙা চালের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। এই কারণে হঠাৎ ভাঙা চালের রপ্তানি বেড়ে যায়।

ওই রপ্তানি বাড়ার কারণে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে ভাঙাসহ (খুদ) চালের দামও বাড়ছে। ভারতের খোলাবাজারে ভাঙা চালের কেজি ১৫.৫০/১৬ রুপি থেকে বেড়ে ইতোমধ্যে ২৩ রুপিতে উঠেছে।

তাছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম যাতে না বাড়ে, সেজন্য ভারত সরকার এ বছর আরও বেশ কিছু খাদ্যশস্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। গত ২০২২-এর মার্চ মাসে তীব্র দাবদাহের কারণে গমের উৎপাদন কম হওয়ায় মে মাসে গমের রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়। গমের রপ্তানি না হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ময়দার চাহিদা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আগস্ট মাস থেকে ময়দা রপ্তানিও বন্ধ করা হয় যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

ভারত সরকার চাল রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের বাজারে এর কোন প্রতিক্রিয়া হবে কি না জানার জন্য কলকাতা উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব বাণিজ্য সামসুল আরিফ জানান, রপ্তানি নিষিদ্ধর আগে আমাদের ব্যবসায়ীদের কি পরিমাণ চালান বকেয়া রয়েছে তা না জেনে মন্তব্য করা কঠিন। তবে হঠাৎ করে ভারত চাল রপ্তনি বন্ধ করায় বিশ্ববাজরে মূল্য বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না, কেননা ভারত প্রতি বছর বাংলাদেশসহ ১৫০টি দেশে চাল, গমসহ খাদ্যশস্য রপ্তানি করে থাকে।