চকবাজারে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শ্রমিক হত্যার অভিযোগ

পুরান ঢাকার চকবাজার থানার পোস্তা এলাকায় প্লাস্টিকের দানা কারখানায় আলতাব হোসেন (৩৫) নামে এক শ্রমিককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জীবন ও বকুল নামে দুই শ্রমিককে আটক করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় গুরুতর আহত অবস্থায় আলতাবকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি আগেই মারা গেছেন।

চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা তালাবদ্ধ অবস্থায় পাই। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। আসার পরে সন্দেহজনক হিসেবে জীবন ও বকুলকে আটক করি। প্রাথমিক তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, একসঙ্গে কাজ করার সময় যে কোন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে আলতাবকে মাথায় আঘাত করে এবং পরে তাকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে বস্তায় ভরে রাখে। এরপর মারা গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ব?্যাসপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার জামাল খানের ছেলে। এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর ঢাকা মেডিকেলে এসে বৈদ্যুতিক শকের নাটক সাজানো হয়। বর্তমানে মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলেও জানান পরিদর্শক শরীফুল ইসলাম।

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৮ ভাদ্র ১৪২৯ ১৫ সফর ১৪৪৪

চকবাজারে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শ্রমিক হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পুরান ঢাকার চকবাজার থানার পোস্তা এলাকায় প্লাস্টিকের দানা কারখানায় আলতাব হোসেন (৩৫) নামে এক শ্রমিককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জীবন ও বকুল নামে দুই শ্রমিককে আটক করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় গুরুতর আহত অবস্থায় আলতাবকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি আগেই মারা গেছেন।

চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা তালাবদ্ধ অবস্থায় পাই। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। আসার পরে সন্দেহজনক হিসেবে জীবন ও বকুলকে আটক করি। প্রাথমিক তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, একসঙ্গে কাজ করার সময় যে কোন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে আলতাবকে মাথায় আঘাত করে এবং পরে তাকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে বস্তায় ভরে রাখে। এরপর মারা গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ব?্যাসপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার জামাল খানের ছেলে। এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর ঢাকা মেডিকেলে এসে বৈদ্যুতিক শকের নাটক সাজানো হয়। বর্তমানে মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলেও জানান পরিদর্শক শরীফুল ইসলাম।