এবার অবৈধ মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে সিআইডি

অনুমোদনহীন মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান এবং বৈধগুলোর অবৈধ শাখা বন্ধে শীঘ্রই ঢাকাসহ দেশজুড়ে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার খোলা বাজারে স্থিতীশিলতা ফিরিয়ে আনা ও হুন্ডি বন্ধে মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়। পরে সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযান চালাতে মানি চেঞ্জাররা সহায়তা দেবেন বলে জানানো হয়।

অনুমোদিত ২৩৫টির বাইরে আরও ৭০০টির মতো মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। সরবরাহ সংকটে সম্প্রতি ডলারের দর আকাশচুম্বী হয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে সিআইডি এ পদক্ষেপের কথা জানাল।

আমদানি বেড়ে চাহিদা তীব্র হলে খোলা বাজারে ডলারের দাম সাম্প্রতিক সময়ে ১২১ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সেই সময়টাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীও তৎপর হয় অবৈধ ডলার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে। কড়াকড়ির পর দাম কমে এখন ১১০ টাকার আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে।

এদিন ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ সমন্বয় সভায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা, বৈধ এবং অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য মানি চেঞ্জারদের সংগঠন সিআইডিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, হুন্ডি বা অর্থ পাচার রোধ, অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম এবং বৈধ মানি এক্সচেঞ্জের অনুনোমোদিত একাধিক শাখা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার লক্ষ্যে সিআইডি’র সঙ্গে মানি চেঞ্জার্স এসোসিয়েশন একযোগে কাজ করবেন মর্মে উল্লেখ করেন।

সভায় অনুমোদনহীন মানিচেঞ্জারদের তালিকা তৈরিতে মানিচেঞ্জার সংগঠন ও সিআইডি সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলেও আলোচনা হয়। গত কয়েক মাস ধরে অনুমোদিত ২৩৫টি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৫টি পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৪২টিকে কারণ দর্শানোর নোটিস, ২৮টির ব্যাংক হিসাব তথ্য জানতে চেয়েছে এবং পাঁচটির লাইসেন্স স্থগিত করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন পদক্ষেপের পর এবার অনুমোদনবিহীন ৭০০টির মতো মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ তৈরি হলো। এর বাইরেও ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এসব অবৈধদের একটি তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়েছিল মানি চেঞ্জারদের সংগঠনটি। বৈঠকে আগেরটির ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় সিআইডি।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৯ ভাদ্র ১৪২৯ ১৬ সফর ১৪৪৪

এবার অবৈধ মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে সিআইডি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

অনুমোদনহীন মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান এবং বৈধগুলোর অবৈধ শাখা বন্ধে শীঘ্রই ঢাকাসহ দেশজুড়ে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার খোলা বাজারে স্থিতীশিলতা ফিরিয়ে আনা ও হুন্ডি বন্ধে মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়। পরে সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযান চালাতে মানি চেঞ্জাররা সহায়তা দেবেন বলে জানানো হয়।

অনুমোদিত ২৩৫টির বাইরে আরও ৭০০টির মতো মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। সরবরাহ সংকটে সম্প্রতি ডলারের দর আকাশচুম্বী হয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে সিআইডি এ পদক্ষেপের কথা জানাল।

আমদানি বেড়ে চাহিদা তীব্র হলে খোলা বাজারে ডলারের দাম সাম্প্রতিক সময়ে ১২১ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সেই সময়টাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীও তৎপর হয় অবৈধ ডলার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে। কড়াকড়ির পর দাম কমে এখন ১১০ টাকার আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে।

এদিন ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ সমন্বয় সভায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা, বৈধ এবং অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য মানি চেঞ্জারদের সংগঠন সিআইডিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, হুন্ডি বা অর্থ পাচার রোধ, অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম এবং বৈধ মানি এক্সচেঞ্জের অনুনোমোদিত একাধিক শাখা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার লক্ষ্যে সিআইডি’র সঙ্গে মানি চেঞ্জার্স এসোসিয়েশন একযোগে কাজ করবেন মর্মে উল্লেখ করেন।

সভায় অনুমোদনহীন মানিচেঞ্জারদের তালিকা তৈরিতে মানিচেঞ্জার সংগঠন ও সিআইডি সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলেও আলোচনা হয়। গত কয়েক মাস ধরে অনুমোদিত ২৩৫টি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৫টি পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৪২টিকে কারণ দর্শানোর নোটিস, ২৮টির ব্যাংক হিসাব তথ্য জানতে চেয়েছে এবং পাঁচটির লাইসেন্স স্থগিত করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন পদক্ষেপের পর এবার অনুমোদনবিহীন ৭০০টির মতো মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ তৈরি হলো। এর বাইরেও ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এসব অবৈধদের একটি তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়েছিল মানি চেঞ্জারদের সংগঠনটি। বৈঠকে আগেরটির ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় সিআইডি।