যমুনা সার কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই : প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা ফার্টিলাইজার কারখানার (জেএফসিএল) ৪৮৬ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদ ও পুনরায় কাজের সুযোগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী শ্রমিকসহ স্থানীয়রা।

গত শনিবার সকালে কারখানা এলাকার প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা ফার্টিলাইজার কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

যমুনা ফার্টিলাইজার কারখানার (জেএফসিএল) সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রলণাধীন কেপিআই-১ মানের যমুনা সার কারখানায় ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক হাজিরাভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করে। দরপত্র আহ্বান করে নির্বাচিত ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বশেষ পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুলের মালিকানাধীন মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৪৮৬ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলো। তাদের মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ার গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে এ বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক। পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ,আল মামুন, আওনা ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দাবি করেন, কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার নিয়োগ না দিয়ে নিজেরাই তাদের পছন্দমতো লোক নিয়োগের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আগামী দুদিনের মধ্যে অস্থায়ী ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে শ্রমিকদের নিয়োগ বহাল করার জন্য দাবি করেন। তানা হলে কঠোর বিক্ষোভ ও কর্মসূচিতে অবস্থান নিবে শ্রমিকরা। বর্তমানে সারকারখানা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৯ ভাদ্র ১৪২৯ ১৬ সফর ১৪৪৪

যমুনা সার কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই : প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)

image

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : যমুনা সার কারখানার সামনে শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ -সংবাদ

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা ফার্টিলাইজার কারখানার (জেএফসিএল) ৪৮৬ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদ ও পুনরায় কাজের সুযোগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী শ্রমিকসহ স্থানীয়রা।

গত শনিবার সকালে কারখানা এলাকার প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা ফার্টিলাইজার কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

যমুনা ফার্টিলাইজার কারখানার (জেএফসিএল) সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রলণাধীন কেপিআই-১ মানের যমুনা সার কারখানায় ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক হাজিরাভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করে। দরপত্র আহ্বান করে নির্বাচিত ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বশেষ পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুলের মালিকানাধীন মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৪৮৬ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলো। তাদের মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ার গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে এ বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক। পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ,আল মামুন, আওনা ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দাবি করেন, কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার নিয়োগ না দিয়ে নিজেরাই তাদের পছন্দমতো লোক নিয়োগের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আগামী দুদিনের মধ্যে অস্থায়ী ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে শ্রমিকদের নিয়োগ বহাল করার জন্য দাবি করেন। তানা হলে কঠোর বিক্ষোভ ও কর্মসূচিতে অবস্থান নিবে শ্রমিকরা। বর্তমানে সারকারখানা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।