এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৬ নভেম্বর

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ৬ নভেম্বর। এরমধ্যে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে এবং ১৫ ডিসেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। আর ২২ ডিসেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডে গতকাল এইচএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল বাশার স্বাক্ষরিত সূচিতে বলা হয়েছে, সব পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টার। এর মধ্যে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল বা রচনামূলকের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় পাবে পরীক্ষার্থীরা।

পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী, প্রথম দিন হবে বাংলা প্রথমপত্র। প্রতিদিন সকালে হলে বেলা ১১টা থেকে এবং বিকালে হলে বেলা ২টা থেকে এ পরীক্ষা হবে।

পরীক্ষার অন্য শর্তের মধ্যে রয়েছে, দুই ধরনের প্রশ্নের মাঝে কোন বিরতি থাকবে না। প্রথমে বহুনির্বাচনী এবং পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে।

সাধারণত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম দিকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। করোনা মহামারীতে সেই সূচি এলোমেলো হয়ে যায়।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই এসএসসির পরীক্ষা নিতে পেরেছিল শিক্ষা প্রশাসন। তবে সে বছর আর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যায়নি। পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়ন ফল দেয়া হয়।

প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এতে ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাও পিছিয়ে যায়। প্রায় নয় মাস পিছিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এসএসসি এবং আট মাস পিছিয়ে ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় গতবছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষা হয় তিন বিষয়ে। একইভাবে এইচএসসি পরীক্ষাও হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে। এবারও কিছুটা কম পরিসরে এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। আগামী বছর থেকে পুরো সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৯ ভাদ্র ১৪২৯ ১৬ সফর ১৪৪৪

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৬ নভেম্বর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ৬ নভেম্বর। এরমধ্যে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে এবং ১৫ ডিসেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। আর ২২ ডিসেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডে গতকাল এইচএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল বাশার স্বাক্ষরিত সূচিতে বলা হয়েছে, সব পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টার। এর মধ্যে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল বা রচনামূলকের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় পাবে পরীক্ষার্থীরা।

পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী, প্রথম দিন হবে বাংলা প্রথমপত্র। প্রতিদিন সকালে হলে বেলা ১১টা থেকে এবং বিকালে হলে বেলা ২টা থেকে এ পরীক্ষা হবে।

পরীক্ষার অন্য শর্তের মধ্যে রয়েছে, দুই ধরনের প্রশ্নের মাঝে কোন বিরতি থাকবে না। প্রথমে বহুনির্বাচনী এবং পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে।

সাধারণত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম দিকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। করোনা মহামারীতে সেই সূচি এলোমেলো হয়ে যায়।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই এসএসসির পরীক্ষা নিতে পেরেছিল শিক্ষা প্রশাসন। তবে সে বছর আর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যায়নি। পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়ন ফল দেয়া হয়।

প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এতে ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাও পিছিয়ে যায়। প্রায় নয় মাস পিছিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এসএসসি এবং আট মাস পিছিয়ে ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় গতবছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষা হয় তিন বিষয়ে। একইভাবে এইচএসসি পরীক্ষাও হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে। এবারও কিছুটা কম পরিসরে এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। আগামী বছর থেকে পুরো সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন।