ডিজিটালাইজেশন অফ পুলিশিং প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমিস- ইন্টারপা সম্মেলন। বাংলাদেশসহ ৪৫টি দেশের ১২৭ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন এবারের সম্মেলনে। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনে আগামী ৩ বছরের কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী। ১১তম এ সম্মেলন ঘিরে আশাবাদী বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাগণ। গতকাল সম্মেলনের প্রথম দিনে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, অপরাধের এখন আর কোন সীমা নেই। কাজেই সাইবার অপরাধ দমনে ডিজিলাইজেশনের কোন বিকল্প নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে তারাই প্রথম অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। স্বাধীনতার পর পুলিশ পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পেশাদারত্বের সঙ্গে পুলিশের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইন্টারপা মানবকল্যাণেও কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তবে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা জানি, বিশ্ব খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষ ঘটছে। শিল্পবিপ্লব ঘটছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ নানাকিছু মানবসভ্যতাকে প্রভাবিত করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে একটি দূরদর্শী লক্ষ্য নির্ধারণ করে। বাংলাদেশ পুলিশ ডিজিটাল রূপান্তরে এখন অগ্রপথিক। নানা ধরনের পুলিশের সেবা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।’
সাইবার জগতের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সাইবার জগতে সম্ভাব্য হুমকি ও ঝুঁকিকে যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি তাহলে আমাদের সক্ষমতা ও উদ্যোগগুলো বিফলে যাবে। অপরাধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।”
আইজিপি বলেন, “প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে কয়েকদশক ধরে অর্থনীতি, সামাজিক জীবনে অপরাধ এবং অপরাধীদের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। অপরাধীরা নতুন নতুন পন্থায় অপরাধ করছে। “তারা বিশ্বের অন্য দেশে বসেও সাইবার হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে পারে। অপরাধীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সাইবার হামলা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।”
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও তথ্য- প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং সাধারণ মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, “এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে প্রযুক্তিগত সেবা বাড়ানো হয়েছে।”
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৯ ভাদ্র ১৪২৯ ১৬ সফর ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ডিজিটালাইজেশন অফ পুলিশিং প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমিস- ইন্টারপা সম্মেলন। বাংলাদেশসহ ৪৫টি দেশের ১২৭ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন এবারের সম্মেলনে। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনে আগামী ৩ বছরের কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী। ১১তম এ সম্মেলন ঘিরে আশাবাদী বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাগণ। গতকাল সম্মেলনের প্রথম দিনে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, অপরাধের এখন আর কোন সীমা নেই। কাজেই সাইবার অপরাধ দমনে ডিজিলাইজেশনের কোন বিকল্প নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে তারাই প্রথম অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। স্বাধীনতার পর পুলিশ পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পেশাদারত্বের সঙ্গে পুলিশের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইন্টারপা মানবকল্যাণেও কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তবে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা জানি, বিশ্ব খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষ ঘটছে। শিল্পবিপ্লব ঘটছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ নানাকিছু মানবসভ্যতাকে প্রভাবিত করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে একটি দূরদর্শী লক্ষ্য নির্ধারণ করে। বাংলাদেশ পুলিশ ডিজিটাল রূপান্তরে এখন অগ্রপথিক। নানা ধরনের পুলিশের সেবা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।’
সাইবার জগতের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সাইবার জগতে সম্ভাব্য হুমকি ও ঝুঁকিকে যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি তাহলে আমাদের সক্ষমতা ও উদ্যোগগুলো বিফলে যাবে। অপরাধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।”
আইজিপি বলেন, “প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে কয়েকদশক ধরে অর্থনীতি, সামাজিক জীবনে অপরাধ এবং অপরাধীদের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। অপরাধীরা নতুন নতুন পন্থায় অপরাধ করছে। “তারা বিশ্বের অন্য দেশে বসেও সাইবার হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে পারে। অপরাধীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সাইবার হামলা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।”
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও তথ্য- প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং সাধারণ মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, “এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে প্রযুক্তিগত সেবা বাড়ানো হয়েছে।”