সিআইডি পরিচয়ে চিকিৎসককে বাসা থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও খোঁজ মিলছে না, থানায় জিডিও নেয়া হচ্ছে না

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচয়ে রাজধানীর রামপুরায় বাসা থেকে এক ইন্টার্ন করা তরুণ চিকিৎসককে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাদা পোশাকে ৪ ব্যক্তি নিজেদের সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নেয় বলে অভিযোগ। ওই চিকিৎসকের নাম শাকির বিন ওয়ালী। তার বাবাও একজন চিকিৎসক।

ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তার কোন খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বেগে পড়েছে পরিবার। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশও জিডি নেয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ভুক্তভোগীর বাবা চক্ষু চিকিৎসক একে এম ওয়ালী উল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি পেশায় চক্ষু সার্জন। রামপুরা ডিআইডি রোডে ভিশন কেয়ার অপটিক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি প্রাইভেট প্রাকটিস করছেন। রামপুরার ৬৮/১ পূর্ব হাজীপাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। তার দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চেম্বারে ছিলেন। বিকেল ৩টায় সিভিল পোশাকে ৪ ব্যক্তি নিজেদের সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে তার বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা বাসায় ছিল। বাসায় প্রবেশ করেই সিআইডির পরিচয়ে তার দ্বিতীয় ছেলে এমবিবিএস চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালীকে তুলে নিয়ে যায় ওই ৪ জন। খবর পেয়ে তিনি রামপুরা থানায় গেলে পুলিশ তাকে বলে, আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। পরে তিনি জিডি করতে চাইলে রামপুরা থানার ওসি গোলাম মাওলা অভিযোগ নোট করেন এবং এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে জানান।

ওয়ালী উল্লাহ আরও জানান, ওই দিন রাত ১০টায় সিআইডির পরিচয়ে আরও ৪ থেকে ৫ জন পুনরায় বাসায় আসেন। এ সময় বাসায় তল্লাশি চালিয়ে রুম থেকে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান। তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর এবং পুলিশের কোন পদের কর্মকর্তা জানতে চাইলে সিআইডির লোক জানিয়ে চলে যান। এ সময় তাদেরকে জানান, ডা. শাকির বিন ওয়ালী মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আছে। তদন্তের স্বার্থে তারা দ্বিতীয় বার বাসায় এসেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ওসি (তদন্ত) জানান, জিডি

ডা. ওয়ালিউল্লাহ গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে সংবাদকে বলেন, আমরা নানাভাবে নিশ্চিত হয়েছি সিআইডি আমার ছেলেকে নিয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও আদালতে হাজির করেনি। এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৯ ভাদ্র ১৪২৯ ১৬ সফর ১৪৪৪

সিআইডি পরিচয়ে চিকিৎসককে বাসা থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও খোঁজ মিলছে না, থানায় জিডিও নেয়া হচ্ছে না

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচয়ে রাজধানীর রামপুরায় বাসা থেকে এক ইন্টার্ন করা তরুণ চিকিৎসককে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাদা পোশাকে ৪ ব্যক্তি নিজেদের সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নেয় বলে অভিযোগ। ওই চিকিৎসকের নাম শাকির বিন ওয়ালী। তার বাবাও একজন চিকিৎসক।

ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তার কোন খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বেগে পড়েছে পরিবার। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশও জিডি নেয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ভুক্তভোগীর বাবা চক্ষু চিকিৎসক একে এম ওয়ালী উল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি পেশায় চক্ষু সার্জন। রামপুরা ডিআইডি রোডে ভিশন কেয়ার অপটিক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি প্রাইভেট প্রাকটিস করছেন। রামপুরার ৬৮/১ পূর্ব হাজীপাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। তার দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চেম্বারে ছিলেন। বিকেল ৩টায় সিভিল পোশাকে ৪ ব্যক্তি নিজেদের সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে তার বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা বাসায় ছিল। বাসায় প্রবেশ করেই সিআইডির পরিচয়ে তার দ্বিতীয় ছেলে এমবিবিএস চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালীকে তুলে নিয়ে যায় ওই ৪ জন। খবর পেয়ে তিনি রামপুরা থানায় গেলে পুলিশ তাকে বলে, আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। পরে তিনি জিডি করতে চাইলে রামপুরা থানার ওসি গোলাম মাওলা অভিযোগ নোট করেন এবং এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে জানান।

ওয়ালী উল্লাহ আরও জানান, ওই দিন রাত ১০টায় সিআইডির পরিচয়ে আরও ৪ থেকে ৫ জন পুনরায় বাসায় আসেন। এ সময় বাসায় তল্লাশি চালিয়ে রুম থেকে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান। তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর এবং পুলিশের কোন পদের কর্মকর্তা জানতে চাইলে সিআইডির লোক জানিয়ে চলে যান। এ সময় তাদেরকে জানান, ডা. শাকির বিন ওয়ালী মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আছে। তদন্তের স্বার্থে তারা দ্বিতীয় বার বাসায় এসেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ওসি (তদন্ত) জানান, জিডি

ডা. ওয়ালিউল্লাহ গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে সংবাদকে বলেন, আমরা নানাভাবে নিশ্চিত হয়েছি সিআইডি আমার ছেলেকে নিয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও আদালতে হাজির করেনি। এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।