দেড় মাসে দৈনিক শনাক্ত চারশ’ ছাড়িয়েছে

বিধিনিষেধের কড়াকড়িও আর নেই। স্বাস্থ্য সচেতনতা এখন নেই বললেই চলে। দেশজুড়ে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেড় মাস পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের চারশ ছাড়িয়েছে। এদিকে, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছিল। এ সময়ে করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪২১ জনের, তাদের মধ্যে ৩৫১ জনই ঢাকা বিভাগের। দেশের ৩৯ জেলায় এই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি। এর আগে সর্বশেষ ২৮ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক দিনে। সেদিন ৬১৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ১৫ হাজার ৩০৮ জন হয়েছে। গত এক দিনে নতুন কারও মৃত্যু না হওয়ায় এ পর্যন্ত মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের দিনের মতই ২৯ হাজার ৩৩৪ জনে রয়েছে।

এদিকে, গত এক সপ্তাহে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে দেশে ২ হাজার ১২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৪ জন। অর্থাৎ, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে গত সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় বাড়েনি।

সারাদেশে গত সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের। এর আগের সপ্তাহেও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে করোনার টিকা নিয়েছিলেন ৪ জন। যার গড় ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আর তাদের মধ্যে করোনার দুই ডোজের টিকা নিয়েছিলেন ৩ জন এবং তিন ডোজের অর্থাৎ বুস্টার ডোজের টিকা নিয়েছিলেন একজন। আর টিকা নেননি ২ জন। যার গড় ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে ভুগছিলেন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৩১০ জনের আর মৃত্যু হয় ২ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৯১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭ জন।

২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৫৬০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু’দিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৫ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬০ কোটি ৮৬ লাখের বেশি।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৯ ভাদ্র ১৪২৯ ১৬ সফর ১৪৪৪

করোনা ফের চোখ রাঙাচ্ছে

দেড় মাসে দৈনিক শনাক্ত চারশ’ ছাড়িয়েছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিধিনিষেধের কড়াকড়িও আর নেই। স্বাস্থ্য সচেতনতা এখন নেই বললেই চলে। দেশজুড়ে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেড় মাস পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের চারশ ছাড়িয়েছে। এদিকে, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছিল। এ সময়ে করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪২১ জনের, তাদের মধ্যে ৩৫১ জনই ঢাকা বিভাগের। দেশের ৩৯ জেলায় এই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি। এর আগে সর্বশেষ ২৮ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক দিনে। সেদিন ৬১৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ১৫ হাজার ৩০৮ জন হয়েছে। গত এক দিনে নতুন কারও মৃত্যু না হওয়ায় এ পর্যন্ত মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের দিনের মতই ২৯ হাজার ৩৩৪ জনে রয়েছে।

এদিকে, গত এক সপ্তাহে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে দেশে ২ হাজার ১২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৪ জন। অর্থাৎ, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে গত সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় বাড়েনি।

সারাদেশে গত সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের। এর আগের সপ্তাহেও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে করোনার টিকা নিয়েছিলেন ৪ জন। যার গড় ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আর তাদের মধ্যে করোনার দুই ডোজের টিকা নিয়েছিলেন ৩ জন এবং তিন ডোজের অর্থাৎ বুস্টার ডোজের টিকা নিয়েছিলেন একজন। আর টিকা নেননি ২ জন। যার গড় ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে ভুগছিলেন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৩১০ জনের আর মৃত্যু হয় ২ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৯১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭ জন।

২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৫৬০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু’দিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৫ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬০ কোটি ৮৬ লাখের বেশি।