সোনা লুট, পুলিশের কনস্টেবলসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা থেকে ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় লালবাগ থানার কনস্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামানসহ ৮ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত ৫১ ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির ১৫ লাখ টাকাসহ বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আসাাদুজ্জামান। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হেল কাফী, কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২ আগস্ট মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার গোবিন্দ বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের কর্মচারী বরুন ঘোষ ৮ পিস তেজাবী স্বর্ণ (গলানো স্বর্ণ) ওজন ৯৮ ভরি নিয়ে পুরান ঢাকার তাতিবাজারের এক স্বর্ণের দোকানে বিভিন্ন গহনা তৈরির জন্য আসেন। তাতিবাজারের স্বর্ণেও দোকানটি বন্ধ থাকায় বরুন ঘোষ সিংগাইর ফিরে যাওয়ার জন্য একই পথে রওয়ানা করেন। ফিরতি পথে জিনজিরা জনি টাওয়ারের সামনে পুলিশের পোশাক পরিহিত একদল ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে বরুনের কাছে অবৈধ মালামাল আছে, এমন অভিযোগে তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। ডাকাতরা গাড়িতে তুলে বরুন ঘোষের চোখ মুখ বেঁধে মারধর করে ডাকাতরা বরুনের কাছে থাকা ৮টি স্বর্ণেরবার, স্বর্ণ চালানের কাগজপত্র ও নগদ ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের নির্জন স্থানে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন স্বর্ণের মালিক হাবু মিয়া বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমে আমরা ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি সনাক্ত করতে সক্ষম হই। এরপর আশুলিয়া, সাভার ও ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাতদলে একজন পুলিশ সদস্য ও এক নারী রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালবাগ থানার কনস্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামান, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন, মো. রহমান, উত্তম মজুমদার, মো. জাকির হোসেন, মো শরীফ, আনন্দ পাল, নাহিদা নাহার মেমী।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৯ ভাদ্র ১৪২৯ ১৬ সফর ১৪৪৪

সোনা লুট, পুলিশের কনস্টেবলসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা থেকে ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় লালবাগ থানার কনস্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামানসহ ৮ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত ৫১ ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির ১৫ লাখ টাকাসহ বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আসাাদুজ্জামান। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হেল কাফী, কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২ আগস্ট মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার গোবিন্দ বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের কর্মচারী বরুন ঘোষ ৮ পিস তেজাবী স্বর্ণ (গলানো স্বর্ণ) ওজন ৯৮ ভরি নিয়ে পুরান ঢাকার তাতিবাজারের এক স্বর্ণের দোকানে বিভিন্ন গহনা তৈরির জন্য আসেন। তাতিবাজারের স্বর্ণেও দোকানটি বন্ধ থাকায় বরুন ঘোষ সিংগাইর ফিরে যাওয়ার জন্য একই পথে রওয়ানা করেন। ফিরতি পথে জিনজিরা জনি টাওয়ারের সামনে পুলিশের পোশাক পরিহিত একদল ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে বরুনের কাছে অবৈধ মালামাল আছে, এমন অভিযোগে তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। ডাকাতরা গাড়িতে তুলে বরুন ঘোষের চোখ মুখ বেঁধে মারধর করে ডাকাতরা বরুনের কাছে থাকা ৮টি স্বর্ণেরবার, স্বর্ণ চালানের কাগজপত্র ও নগদ ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের নির্জন স্থানে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন স্বর্ণের মালিক হাবু মিয়া বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমে আমরা ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি সনাক্ত করতে সক্ষম হই। এরপর আশুলিয়া, সাভার ও ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাতদলে একজন পুলিশ সদস্য ও এক নারী রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালবাগ থানার কনস্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামান, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন, মো. রহমান, উত্তম মজুমদার, মো. জাকির হোসেন, মো শরীফ, আনন্দ পাল, নাহিদা নাহার মেমী।