অস্ত্রসহ আটক ১, অন্যরা আত্মগোপনে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কুদ্দুস বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান শৈশবকে আটক করেছে র্যাব-৮-এর সদস্যরা। এ সময় তার বাসা থেকে ৭৫৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮১ হাজার টাকার জাল নোট ও একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করেছেন সন্ত্রাসী ‘কুদ্দুস বাহিনী’র প্রধান উপজেলার কবাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অস্ত্রধারী কুদ্দুস মিয়া। ওই বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য থানা পুলিশ মরিয়া হয়ে উঠলেও চরম আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসী কুদ্দুস বাহিনী এই আশঙ্কায় এলাকাবাসী চরম আতঙ্কিত। তাই অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী কুদ্দুস ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ইউনিয়নবাসী।
সোমবার সকালে সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার কবাই ইউনিয়নের হানুয়া পেয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে কুদ্দুস মিয়া দীর্ঘদিন থেকে নিজের ‘কুদ্দুস বাহিনী’ নামে সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করেছে। সম্প্রতি কুদ্দুস মিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসী জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুদ্দুস ও তার বাহিনীর সহযোগীরা দীর্ঘদিন থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, মাদক বিক্রি, নারী নির্যাতন, প্রতারণা, বিদেশি অস্ত্র আমদানি, জাল টাকার ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল।
সূত্রে আরও জানা গেছে, সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান কুদ্দুস মিয়ার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে বিভিন্ন অপরাধের দশটি ও তার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড কুদ্দুসের ছেলে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান শৈশবের বিরুদ্ধে চারটি মামলা থাকা সত্ত্বেও বরাবরেই তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তাদের অপরাধমূলক কর্মকা- পরিচালনা করে আসছিল।
সূত্র মতে, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে কবাই ইউনিয়নের পেয়ারপুর বাজারে কুদ্দুস মিয়ার বাসভবনে বরিশাল র্যাব-৮ -এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান শৈশবকে (২৬) আটক করে। এ সময় র্যাব সদস্যরা ওই বাসা থেকে ৭৫৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮১ হাজার টাকার জাল নোট ও একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পরের দিন (৮ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৮-এর ডিএডি সিপিএসসি সুমন বিশ্বাস বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসী জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই সস্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান কুদ্দুস মিয়া ও তার দলের লোকজন আত্মগোপন করেছে। হানুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী নারী জোছনা বেগম বলেন, আমি সন্ত্রাসী কুদ্দুস মিয়া ও তার দলের লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তারা আমার জমি দখল করে নিয়েছে। বাঁধা দেয়ায় ওই সন্ত্রাসীরা আমাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে।
সোমবার দুপুরে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, কুদ্দুস মিয়া ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২৯ ভাদ্র ১৪২৯ ১৬ সফর ১৪৪৪
অস্ত্রসহ আটক ১, অন্যরা আত্মগোপনে
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কুদ্দুস বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান শৈশবকে আটক করেছে র্যাব-৮-এর সদস্যরা। এ সময় তার বাসা থেকে ৭৫৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮১ হাজার টাকার জাল নোট ও একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করেছেন সন্ত্রাসী ‘কুদ্দুস বাহিনী’র প্রধান উপজেলার কবাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অস্ত্রধারী কুদ্দুস মিয়া। ওই বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য থানা পুলিশ মরিয়া হয়ে উঠলেও চরম আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসী কুদ্দুস বাহিনী এই আশঙ্কায় এলাকাবাসী চরম আতঙ্কিত। তাই অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী কুদ্দুস ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ইউনিয়নবাসী।
সোমবার সকালে সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার কবাই ইউনিয়নের হানুয়া পেয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে কুদ্দুস মিয়া দীর্ঘদিন থেকে নিজের ‘কুদ্দুস বাহিনী’ নামে সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করেছে। সম্প্রতি কুদ্দুস মিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসী জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুদ্দুস ও তার বাহিনীর সহযোগীরা দীর্ঘদিন থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, মাদক বিক্রি, নারী নির্যাতন, প্রতারণা, বিদেশি অস্ত্র আমদানি, জাল টাকার ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল।
সূত্রে আরও জানা গেছে, সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান কুদ্দুস মিয়ার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে বিভিন্ন অপরাধের দশটি ও তার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড কুদ্দুসের ছেলে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান শৈশবের বিরুদ্ধে চারটি মামলা থাকা সত্ত্বেও বরাবরেই তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তাদের অপরাধমূলক কর্মকা- পরিচালনা করে আসছিল।
সূত্র মতে, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে কবাই ইউনিয়নের পেয়ারপুর বাজারে কুদ্দুস মিয়ার বাসভবনে বরিশাল র্যাব-৮ -এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান শৈশবকে (২৬) আটক করে। এ সময় র্যাব সদস্যরা ওই বাসা থেকে ৭৫৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮১ হাজার টাকার জাল নোট ও একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পরের দিন (৮ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৮-এর ডিএডি সিপিএসসি সুমন বিশ্বাস বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসী জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই সস্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান কুদ্দুস মিয়া ও তার দলের লোকজন আত্মগোপন করেছে। হানুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী নারী জোছনা বেগম বলেন, আমি সন্ত্রাসী কুদ্দুস মিয়া ও তার দলের লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তারা আমার জমি দখল করে নিয়েছে। বাঁধা দেয়ায় ওই সন্ত্রাসীরা আমাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে।
সোমবার দুপুরে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, কুদ্দুস মিয়া ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।