হিলিতে আতপ চালে ১০ সিদ্ধ চালে বেড়েছে ২ টাকা

ভারত সরকার কর্তৃক আতপ ও খুদ চাল আমদানির উপর ২০ ভাগ শুল্ক আরোপের কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের খুচরা বাজারে গুদামজাতকৃত আতপ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা এবং সিদ্ধ চালের দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সিদ্ধ চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় হিলি বন্দর দিয়ে আতপ চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।

শুধু আতপ চাল ও খুদ রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। সিদ্ধ চাল রফতানির ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এর ফলে শুল্ক মুক্ত ভাবেই সিদ্ধ চাল আমদানি হচ্ছে।

এদিকে আতপ চাল আমদানি বন্ধ থাকায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে সিদ্ধ চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে।

ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকার মিনিস্ট্রি অফ ফিনান্স থেকে নোটিফিকেশন নং ৪৯/২০২২ কাস্টমস পত্রে চাল রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত শুক্রবার থেকেই তা কার্যকর করা হয়।

ভাঙা চাল (খুদ) রফতানি একেবারে বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্রাউন চালে ২০ শতাংশ ও হাসকিট নামের একটি চাল রয়েছে,তাতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে সিদ্ধ চালে কোনও শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এ কারণে আগের মতোই বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে সিদ্ধ চাল বাংলাদেশে রফতানি অব্যাহত রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারকরা জানান, নতুন করে শুল্ক আরোপের কারণে আতপ চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। আতপ চালের শুল্ক বাড়ায় কেজিতে ১০ টাকা দাম বাড়ছে। আগে যে চাল ৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো এখন ৪৭ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সিদ্ধ চালের দাম বাড়েনি।

খুচরা চাল বিক্রেতারা বলেন, সোমবার সকাল থেকে মিনিকেট, স্বর্ণ ৫, ২৮ জাতের চাল কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। তবে সরকার বাজারে ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব ও ভিজিডি চাল সরবরাহ করায় মোটা জাতের চালের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।

গত ২৩ জুলাই থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন হিলি দিয়ে দেড় থেকে ২ হাজার টন চাল আমদানি হয়ে থাকে এর মধ্যে ৩০ ভাগ আতপ চাল রয়েছে। নতুন করে শুল্ক আরোপ করায় ৩ দিনে হিলি বন্দর দিয়ে আতপ চাল কিংবা খুদ আমদানি হয়নি। আমদানিকারকরা সিদ্ধ চালের দাম না বাড়ালেও খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে গুদামজাতকৃত আতপ চালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জন সংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান,এ পর্যন্ত ৭০৪ গাড়িতে ২৯ হাজার ৩শ ৯৫ মে. টন চাল আমদানি হয়েছে।

ভারত সরকারের শুল্ক আরোপের আগে আতপ চাল আসলেও এখন আর আতপ চাল আসছেনা।

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩০ ভাদ্র ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪

হিলিতে আতপ চালে ১০ সিদ্ধ চালে বেড়েছে ২ টাকা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর

ভারত সরকার কর্তৃক আতপ ও খুদ চাল আমদানির উপর ২০ ভাগ শুল্ক আরোপের কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের খুচরা বাজারে গুদামজাতকৃত আতপ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা এবং সিদ্ধ চালের দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সিদ্ধ চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় হিলি বন্দর দিয়ে আতপ চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।

শুধু আতপ চাল ও খুদ রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। সিদ্ধ চাল রফতানির ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এর ফলে শুল্ক মুক্ত ভাবেই সিদ্ধ চাল আমদানি হচ্ছে।

এদিকে আতপ চাল আমদানি বন্ধ থাকায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে সিদ্ধ চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে।

ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকার মিনিস্ট্রি অফ ফিনান্স থেকে নোটিফিকেশন নং ৪৯/২০২২ কাস্টমস পত্রে চাল রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত শুক্রবার থেকেই তা কার্যকর করা হয়।

ভাঙা চাল (খুদ) রফতানি একেবারে বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্রাউন চালে ২০ শতাংশ ও হাসকিট নামের একটি চাল রয়েছে,তাতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে সিদ্ধ চালে কোনও শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এ কারণে আগের মতোই বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে সিদ্ধ চাল বাংলাদেশে রফতানি অব্যাহত রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারকরা জানান, নতুন করে শুল্ক আরোপের কারণে আতপ চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। আতপ চালের শুল্ক বাড়ায় কেজিতে ১০ টাকা দাম বাড়ছে। আগে যে চাল ৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো এখন ৪৭ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সিদ্ধ চালের দাম বাড়েনি।

খুচরা চাল বিক্রেতারা বলেন, সোমবার সকাল থেকে মিনিকেট, স্বর্ণ ৫, ২৮ জাতের চাল কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। তবে সরকার বাজারে ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব ও ভিজিডি চাল সরবরাহ করায় মোটা জাতের চালের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।

গত ২৩ জুলাই থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন হিলি দিয়ে দেড় থেকে ২ হাজার টন চাল আমদানি হয়ে থাকে এর মধ্যে ৩০ ভাগ আতপ চাল রয়েছে। নতুন করে শুল্ক আরোপ করায় ৩ দিনে হিলি বন্দর দিয়ে আতপ চাল কিংবা খুদ আমদানি হয়নি। আমদানিকারকরা সিদ্ধ চালের দাম না বাড়ালেও খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে গুদামজাতকৃত আতপ চালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জন সংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান,এ পর্যন্ত ৭০৪ গাড়িতে ২৯ হাজার ৩শ ৯৫ মে. টন চাল আমদানি হয়েছে।

ভারত সরকারের শুল্ক আরোপের আগে আতপ চাল আসলেও এখন আর আতপ চাল আসছেনা।