অবশেষে সিরাজগঞ্জে গত সোমবার রাত হতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির ফলে জেলা জুড়ে আমন চাষিদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ায় জেলার কৃষকরা আমন ধান নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিল । কৃষক সূত্রে জানা যায় এই বৃষ্টিতে ধানের উপকার হবে । সেই সাথে সেচের খরচ কমবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে জেলায় এ কছর ৭২,২৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে । বৃষ্টি না থাকায় অনেক এলাকায় আমন ধান হলদে বর্ন ধারণ করেছিল ।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বনবাড়িয়া গ্রামের আবিদ আলী বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় রোপণ করা ধানের চারা খরায় হলদে হয়ে গিয়েছিল। কোন কোন জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। জমিতে পানি না থাকায় সারের উপরি প্রয়োগও করা যায়নি। এখন বৃষ্টি হওয়ায় খেতে সার দেওয়া যাবে । বৃষ্টির পানিতে ক্ষেতে সারের কাজ করবে ।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো রোস্তম আলী বলেন, মোটামুটি ভালো বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে পর্যাপ্ত নাইট্রোজেন থাকে যা এখন সদ্য রোপিত ধানের চারার জন্য খুবই প্রয়োজন। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন এই কাক্সিক্ষত বৃষ্টি ধান সহ অন্যান্য ফসলের উপকার হবে । তিনি জানান জেলায় এবছর ৭২২৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে । আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার রোপা আমনের ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩০ ভাদ্র ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ
অবশেষে সিরাজগঞ্জে গত সোমবার রাত হতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির ফলে জেলা জুড়ে আমন চাষিদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ায় জেলার কৃষকরা আমন ধান নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিল । কৃষক সূত্রে জানা যায় এই বৃষ্টিতে ধানের উপকার হবে । সেই সাথে সেচের খরচ কমবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে জেলায় এ কছর ৭২,২৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে । বৃষ্টি না থাকায় অনেক এলাকায় আমন ধান হলদে বর্ন ধারণ করেছিল ।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বনবাড়িয়া গ্রামের আবিদ আলী বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় রোপণ করা ধানের চারা খরায় হলদে হয়ে গিয়েছিল। কোন কোন জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। জমিতে পানি না থাকায় সারের উপরি প্রয়োগও করা যায়নি। এখন বৃষ্টি হওয়ায় খেতে সার দেওয়া যাবে । বৃষ্টির পানিতে ক্ষেতে সারের কাজ করবে ।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো রোস্তম আলী বলেন, মোটামুটি ভালো বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে পর্যাপ্ত নাইট্রোজেন থাকে যা এখন সদ্য রোপিত ধানের চারার জন্য খুবই প্রয়োজন। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন এই কাক্সিক্ষত বৃষ্টি ধান সহ অন্যান্য ফসলের উপকার হবে । তিনি জানান জেলায় এবছর ৭২২৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে । আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার রোপা আমনের ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।