চালের দাম প্রকাশ হবে তিন স্তরে

দেশে চালের বাজারের ভিন্ন ভিন্ন দাম নিয়ন্ত্রণে তিন স্তরের মূল্য সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করার একটি পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন। সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএফের অন্য সদস্যরা।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন একটি ওয়েবসাইট চালু করতে চাচ্ছি, সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলার মিলাররা মিলগেটের চালের দাম ঘোষণা করবেন, একইভাবে পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারের দাম ঘোষণা করবেন। আর খুচরা বাজারে চালের মূল্যও সেখানে থাকবে। এভাবেই চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’

দেশে মিলারদের সরবরাহ করা চাল খুচরা বাজারে পৌঁছানোর পর দামের পার্থাক্য হয়ে যায় ১০ থেকে ১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতা নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ চলে। তিনি বলেন, ‘এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর কারণে বিভিন্ন সুযোগে চালের বাজার অস্থির হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে চালের দাম কেজিতে বড় জোর ৭০ পয়সা থেকে এক টাকা বাড়তে পারে। কিন্তু বাজারে প্রতি কেজিতে ৭/৮ টাকা করে বেড়ে গেছে।’

‘মিলাররা দাবি করেন, মিলগেটে দাম বাড়েনি। দাম বৃদ্ধির কথা কেউ স্বীকার করে না। তাহলে দামটা বাড়ায় কে? আসলে বাজার যে রকম অস্থির, ব্যবসায়ীদের মধ্য কিছু লোক আছে যারা অস্থিরতায় থাকেন। তাদের অস্থিরতার কারণে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের আরও অনেক পরিকল্পনা আছে। ভোক্তারা যাতে শান্তি পায়, দেশে যেন হাহাকার না হয় সেভাবেই আমরা কাজ করছি। অবশ্য দেশে যে মজুদ আছে তাতে হাহাকার সৃষ্টি হওয়ার কোন কারণ নেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মিনিকেট চাল বলে কিছু নেই বলে জানান মন্ত্রী। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি আইন মন্ত্রিসভায় দিয়েছি। এখন আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ে আছে। সেখানে বলা আছে ব্র্যান্ড নাম তারা যেটাই দিক, রজনীগন্ধা দিতে পারে, গোলাপফুল, জরিনা, সখিনা নাম যাই দিক, কিন্তু ধানের জাতের নাম দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি ধানের (চালের) যেটুকু ছাঁটাই করা যাবে তারও একটা রেশিও (অনুপাত) আমরা ঠিক করেছি। বেশি পোলিশের (ছাঁটাই) ফলে চালের একটা অংশ তো নষ্ট হয়। এই ক্ষয় যেটা হয় সেটা সারাদেশের মোট উৎপাদনের একটি অংশ। এ কারণে এটাও আমরা নির্ধারণ করেছি। এটা (আইন) পাস হলে অনেকেই সোজা হয়ে যাবে।’

অক্টোবরের শুরু থেকে সব জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ওএমএস ডিলারদের কাছে প্রতিদিন ২ টন করে আটা দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন খাদ্যমন্ত্রী। তাতে খাদ্যপণ্যের বাজার ‘অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে’ বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গমের সমস্যা হবে না। গম আসছে। জেলা পর্যায়ে ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডিলারকে এক টন করে বরাদ্দ দেয়া শুরু করব। এটা প্যাকেটজাত করা যায় কি না সেটা চিন্তা করছি। এতে দাম একটু বেশি পড়বে, কিন্তু বাজার মূল্যের চেয়ে দাম অর্ধেক হবে। এতে কালোবাজারি বন্ধ হবে বলে আশা করি।’

মন্ত্রী দাবি করেন, এখনও দেশে যে খাদ্যের মজুদ আছে, তাতে ‘হাহাকারের সম্ভাবনা নেই’। তারপরও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সরকার চাল গম আমদানি করে রাখছে।

সুপারশপে সর্বোচ্চ দামে প্যাকেটজাত পণ্য বিক্রির অভিযোগ

‘উৎপাদকদের ওপর চাপ দিয়ে পণ্যের দাম বেশি লিখিয়ে নেয় সুপারশপগুলো’ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এমন অভিযোগের কোন ‘ভিত্তি নেই’ দাবি করেছেন সুপারশপ কর্তৃপক্ষ। এদিকে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফ জবাব, তারা মূল্য নির্ধারণ করেন না, সেটি সরকারের ট্যারিফ কমিশন করে থাকে। তাই এর দায়-দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে।

গতকাল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় এসব দাবি করে বিভিন্ন পক্ষ। এ সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিনিকেট চাল বিক্রি বন্ধের আগে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে বসতে হবে। সুপারশপগুলোতে প্যাকেটজাত পণ্যে অতি মুনাফা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সুপারশপগুলো সর্বোচ্চ দামে প্যাকেটজাত পণ্য বিক্রি করে। সেক্ষেত্রে খোলা বাজার থেকে দামের ব্যবধান কখনো কখনো ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হয়।’

এদিকে, উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফ জবাব, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়, এতে তাদের কোন হাত নেই। উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উৎপাদকও নির্ধারণ করে দেয় না, আর সুপারশপও নির্ধারণ করে দেয় না। এটি মূলত ট্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করে দেয়। সুতরাং একে অন্যের ওপর দোষ না চাপিয়ে, যেহেতু সরকার নির্ধারণ করে দেয় সেহেতু সরকারের হাতেই ছেড়ে দেয়া যাক বিষয়টি।

অভিযোগ তুললেও দুইপক্ষের যুক্তি-তর্কের মুখে এ সময় কোন পক্ষকে দায় দিতে পারেনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এ সময় সুপারশপের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সংস্থাটির ডিজি বলেন, এ কঠিন সময়ে আপনারা অবশ্যই লাভ করবেন। আপনাদের স্কয়ার ফিট ভাড়া বেশি। আপনাদের অনেক কিছুই করতে হয়। আশা করি, এ কঠিন সময়ে আপনারা যৌক্তিক মুনাফা করবেন।

বাজারে যেন কোন পক্ষ অযৌক্তিকভাবে ভোক্তার কাঁধে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপাতে না পারে, তা নিশ্চিতে বাজার অভিযান আরও জোরদার করার কথা বলেনি ডিজি।

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩০ ভাদ্র ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪

চালের দাম প্রকাশ হবে তিন স্তরে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দেশে চালের বাজারের ভিন্ন ভিন্ন দাম নিয়ন্ত্রণে তিন স্তরের মূল্য সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করার একটি পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন। সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএফের অন্য সদস্যরা।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন একটি ওয়েবসাইট চালু করতে চাচ্ছি, সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলার মিলাররা মিলগেটের চালের দাম ঘোষণা করবেন, একইভাবে পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারের দাম ঘোষণা করবেন। আর খুচরা বাজারে চালের মূল্যও সেখানে থাকবে। এভাবেই চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’

দেশে মিলারদের সরবরাহ করা চাল খুচরা বাজারে পৌঁছানোর পর দামের পার্থাক্য হয়ে যায় ১০ থেকে ১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতা নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ চলে। তিনি বলেন, ‘এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর কারণে বিভিন্ন সুযোগে চালের বাজার অস্থির হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে চালের দাম কেজিতে বড় জোর ৭০ পয়সা থেকে এক টাকা বাড়তে পারে। কিন্তু বাজারে প্রতি কেজিতে ৭/৮ টাকা করে বেড়ে গেছে।’

‘মিলাররা দাবি করেন, মিলগেটে দাম বাড়েনি। দাম বৃদ্ধির কথা কেউ স্বীকার করে না। তাহলে দামটা বাড়ায় কে? আসলে বাজার যে রকম অস্থির, ব্যবসায়ীদের মধ্য কিছু লোক আছে যারা অস্থিরতায় থাকেন। তাদের অস্থিরতার কারণে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের আরও অনেক পরিকল্পনা আছে। ভোক্তারা যাতে শান্তি পায়, দেশে যেন হাহাকার না হয় সেভাবেই আমরা কাজ করছি। অবশ্য দেশে যে মজুদ আছে তাতে হাহাকার সৃষ্টি হওয়ার কোন কারণ নেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মিনিকেট চাল বলে কিছু নেই বলে জানান মন্ত্রী। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি আইন মন্ত্রিসভায় দিয়েছি। এখন আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ে আছে। সেখানে বলা আছে ব্র্যান্ড নাম তারা যেটাই দিক, রজনীগন্ধা দিতে পারে, গোলাপফুল, জরিনা, সখিনা নাম যাই দিক, কিন্তু ধানের জাতের নাম দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি ধানের (চালের) যেটুকু ছাঁটাই করা যাবে তারও একটা রেশিও (অনুপাত) আমরা ঠিক করেছি। বেশি পোলিশের (ছাঁটাই) ফলে চালের একটা অংশ তো নষ্ট হয়। এই ক্ষয় যেটা হয় সেটা সারাদেশের মোট উৎপাদনের একটি অংশ। এ কারণে এটাও আমরা নির্ধারণ করেছি। এটা (আইন) পাস হলে অনেকেই সোজা হয়ে যাবে।’

অক্টোবরের শুরু থেকে সব জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ওএমএস ডিলারদের কাছে প্রতিদিন ২ টন করে আটা দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন খাদ্যমন্ত্রী। তাতে খাদ্যপণ্যের বাজার ‘অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে’ বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গমের সমস্যা হবে না। গম আসছে। জেলা পর্যায়ে ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডিলারকে এক টন করে বরাদ্দ দেয়া শুরু করব। এটা প্যাকেটজাত করা যায় কি না সেটা চিন্তা করছি। এতে দাম একটু বেশি পড়বে, কিন্তু বাজার মূল্যের চেয়ে দাম অর্ধেক হবে। এতে কালোবাজারি বন্ধ হবে বলে আশা করি।’

মন্ত্রী দাবি করেন, এখনও দেশে যে খাদ্যের মজুদ আছে, তাতে ‘হাহাকারের সম্ভাবনা নেই’। তারপরও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সরকার চাল গম আমদানি করে রাখছে।

সুপারশপে সর্বোচ্চ দামে প্যাকেটজাত পণ্য বিক্রির অভিযোগ

‘উৎপাদকদের ওপর চাপ দিয়ে পণ্যের দাম বেশি লিখিয়ে নেয় সুপারশপগুলো’ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এমন অভিযোগের কোন ‘ভিত্তি নেই’ দাবি করেছেন সুপারশপ কর্তৃপক্ষ। এদিকে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফ জবাব, তারা মূল্য নির্ধারণ করেন না, সেটি সরকারের ট্যারিফ কমিশন করে থাকে। তাই এর দায়-দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে।

গতকাল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় এসব দাবি করে বিভিন্ন পক্ষ। এ সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিনিকেট চাল বিক্রি বন্ধের আগে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে বসতে হবে। সুপারশপগুলোতে প্যাকেটজাত পণ্যে অতি মুনাফা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সুপারশপগুলো সর্বোচ্চ দামে প্যাকেটজাত পণ্য বিক্রি করে। সেক্ষেত্রে খোলা বাজার থেকে দামের ব্যবধান কখনো কখনো ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হয়।’

এদিকে, উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফ জবাব, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়, এতে তাদের কোন হাত নেই। উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উৎপাদকও নির্ধারণ করে দেয় না, আর সুপারশপও নির্ধারণ করে দেয় না। এটি মূলত ট্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করে দেয়। সুতরাং একে অন্যের ওপর দোষ না চাপিয়ে, যেহেতু সরকার নির্ধারণ করে দেয় সেহেতু সরকারের হাতেই ছেড়ে দেয়া যাক বিষয়টি।

অভিযোগ তুললেও দুইপক্ষের যুক্তি-তর্কের মুখে এ সময় কোন পক্ষকে দায় দিতে পারেনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এ সময় সুপারশপের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সংস্থাটির ডিজি বলেন, এ কঠিন সময়ে আপনারা অবশ্যই লাভ করবেন। আপনাদের স্কয়ার ফিট ভাড়া বেশি। আপনাদের অনেক কিছুই করতে হয়। আশা করি, এ কঠিন সময়ে আপনারা যৌক্তিক মুনাফা করবেন।

বাজারে যেন কোন পক্ষ অযৌক্তিকভাবে ভোক্তার কাঁধে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপাতে না পারে, তা নিশ্চিতে বাজার অভিযান আরও জোরদার করার কথা বলেনি ডিজি।