এসএসসি পরীক্ষা কাল শুরু

প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা

পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল। এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহায়তা চেয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। ২ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে রাজধানীর বাণিজ্যনির্ভর বেসরকারি স্কুলগুলোর ওপর বিশেষ নজর থাকবে, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব ছড়ানো ও নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ ছিল।

প্রশ্নপত্র ফাঁস ও এ জাতীয় অপরাধ ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেন, এখন প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন সুযোগ নেই। এরপরও কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে অর্থ হাতিয়ে নিলে, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজধানীর এক শ্রেণীর প্রতিষ্ঠানের ওপর বিশেষ নজরদারি থাকবে জানিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির এই সভাপতি বলেন, ‘ক্যামব্রিয়ান, মাইলস্টোন-এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষাকেন্দ্র কয়েক বছর আগেই বাতিল করা হয়েছে। তবে এই ধরনের স্কুলের শিক্ষার্থী যেসব কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে সেসব কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারি থাকবে।’ এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থীর অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী।

আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে।

গত বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি বোর্ডের অধীনে অংশ নিয়েছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। এ হিসাবে এক বছরে মোট পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন।

এ বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছর আট বোর্ডে অংশ নিয়েছিল ১৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী। এ হিসাবে এক বছরে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে দুই লাখ ১৭ হাজার ৪০৫ জন পরীক্ষার্থী কমেছে।

গুজব প্রতিরোধে শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

এই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোন সুযোগ নেই দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। কেউ প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে তৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্ত্রী গতকাল রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষা রূপরেখা-২০২১ এর অনলাইন প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে কারো পক্ষেই প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব নয়। যদি কেউ এ বিষয়ে গুজব ছড়ায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সর্বদা তৎপর রয়েছে।’

বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন টানা ২১দিন দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন ও প্রশ্নফাঁস এড়াতে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়ার পরও প্রতিবছর কিছু কিছু কোচিং সেন্টার পরীক্ষার সময় খোলা রাখা হয়Ñ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষার আগে সারাদেশের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়। আমরা চাই এ সময় অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানদের কোচিং সেন্টারে না পাঠান। শিক্ষার্থীরা না এলে কোচিং সেন্টার এমনিতেই বন্ধ থাকবে।’ এরপরও যদি কোন কোচিং সেন্টার খোলা রাখা হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী।

এবার ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, এবার যানজট পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রুটিন বা সূচি অনুযায়ী, প্রতিদিন ১১টা থেকে তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ১ অক্টোবর শেষ হবে। এরপর ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

এবার মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বিদেশের কেন্দ্র সংখ্যা আটটি। ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর কেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি এবং প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৫৫৬টি।

করোনা মহামারীর কারণে এবার পরীক্ষার বিষয়, নম্বর ও সময় কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট এবং সিকিউ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট করা হয়েছে।

এ বছর এসএসসিতে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। পরীক্ষা হবে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃতি, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কোন কারণে দেরি হলে তার প্রয়োজনীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে বোর্ডে পাঠাতে হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেয়া হবে।

এছাড়া প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিটসহ শিক্ষক বা অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩০ ভাদ্র ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪

এসএসসি পরীক্ষা কাল শুরু

প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা

পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল। এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহায়তা চেয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। ২ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে রাজধানীর বাণিজ্যনির্ভর বেসরকারি স্কুলগুলোর ওপর বিশেষ নজর থাকবে, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব ছড়ানো ও নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ ছিল।

প্রশ্নপত্র ফাঁস ও এ জাতীয় অপরাধ ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদকে বলেন, এখন প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন সুযোগ নেই। এরপরও কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে অর্থ হাতিয়ে নিলে, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজধানীর এক শ্রেণীর প্রতিষ্ঠানের ওপর বিশেষ নজরদারি থাকবে জানিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির এই সভাপতি বলেন, ‘ক্যামব্রিয়ান, মাইলস্টোন-এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষাকেন্দ্র কয়েক বছর আগেই বাতিল করা হয়েছে। তবে এই ধরনের স্কুলের শিক্ষার্থী যেসব কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে সেসব কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারি থাকবে।’ এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থীর অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী।

আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে।

গত বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি বোর্ডের অধীনে অংশ নিয়েছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। এ হিসাবে এক বছরে মোট পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন।

এ বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছর আট বোর্ডে অংশ নিয়েছিল ১৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী। এ হিসাবে এক বছরে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে দুই লাখ ১৭ হাজার ৪০৫ জন পরীক্ষার্থী কমেছে।

গুজব প্রতিরোধে শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

এই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোন সুযোগ নেই দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। কেউ প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে তৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্ত্রী গতকাল রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষা রূপরেখা-২০২১ এর অনলাইন প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে কারো পক্ষেই প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব নয়। যদি কেউ এ বিষয়ে গুজব ছড়ায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সর্বদা তৎপর রয়েছে।’

বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন টানা ২১দিন দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন ও প্রশ্নফাঁস এড়াতে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়ার পরও প্রতিবছর কিছু কিছু কোচিং সেন্টার পরীক্ষার সময় খোলা রাখা হয়Ñ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষার আগে সারাদেশের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়। আমরা চাই এ সময় অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানদের কোচিং সেন্টারে না পাঠান। শিক্ষার্থীরা না এলে কোচিং সেন্টার এমনিতেই বন্ধ থাকবে।’ এরপরও যদি কোন কোচিং সেন্টার খোলা রাখা হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী।

এবার ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, এবার যানজট পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রুটিন বা সূচি অনুযায়ী, প্রতিদিন ১১টা থেকে তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ১ অক্টোবর শেষ হবে। এরপর ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

এবার মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বিদেশের কেন্দ্র সংখ্যা আটটি। ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর কেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি এবং প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৫৫৬টি।

করোনা মহামারীর কারণে এবার পরীক্ষার বিষয়, নম্বর ও সময় কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট এবং সিকিউ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট করা হয়েছে।

এ বছর এসএসসিতে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। পরীক্ষা হবে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃতি, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কোন কারণে দেরি হলে তার প্রয়োজনীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে বোর্ডে পাঠাতে হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেয়া হবে।

এছাড়া প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিটসহ শিক্ষক বা অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।