সুপেয় পানি নিশ্চিত হোক

পানির অপর নাম জীবন। পানি শুধু তৃষ্ণা মেটায় তা নয়, শরীরের ক্লান্তি দূর করে, তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে, রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের সব দূষিত পদার্থ অপসারণ করে। বাংলাদেশে নদ-নদী, খাল-বিলের পানি নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। ফলে এসব এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। দেশের কোথাও কোথাও টিউবওয়েলগুলোতে উঠছে না পানি। ভূগর্ভে পানির স্তর ক্রমেই নিচে নামছে। অনেক জায়গায় গভীর নলকূপেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। সুপেয় পানির অভাবে ডায়রিয়া, কলেরা ও টাইফয়েডের মতো জীবননাশী পানিবাহিত রোগগুলো বিস্তার লাভ করছে।

পানি দূষণের অন্যতম উপাদান আর্সেনিক। আর্সেনিক মানব শরীরে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন জটিল রোগ সৃষ্টি করে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, দেশের মাত্র ৫৯ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পায়। পানি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ হাজার শিশু মারা যাচ্ছে সুপেয় পানির অভাবে। ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপদ উৎস থেকে পানি সংগ্রহের সুযোগ নেই এমন ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশুদ্ধ পানির সংকট ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পৃথিবীর বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে অদূর ভবিষ্যতে ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ পানি কমে আসবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এহেন পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে এবং গ্রিন হাউজ প্রভাব মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি। নিরাপদ পানি ছাড়া পৃথিবী প্রাণহীন। এ সংকট মোকাবেলায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকার থেকে সাধারণ জনগণ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে তৎপর হতে হবে।

মাহমুদুল হক হাসান

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩০ ভাদ্র ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪

সুপেয় পানি নিশ্চিত হোক

image

পানির অপর নাম জীবন। পানি শুধু তৃষ্ণা মেটায় তা নয়, শরীরের ক্লান্তি দূর করে, তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে, রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের সব দূষিত পদার্থ অপসারণ করে। বাংলাদেশে নদ-নদী, খাল-বিলের পানি নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। ফলে এসব এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। দেশের কোথাও কোথাও টিউবওয়েলগুলোতে উঠছে না পানি। ভূগর্ভে পানির স্তর ক্রমেই নিচে নামছে। অনেক জায়গায় গভীর নলকূপেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। সুপেয় পানির অভাবে ডায়রিয়া, কলেরা ও টাইফয়েডের মতো জীবননাশী পানিবাহিত রোগগুলো বিস্তার লাভ করছে।

পানি দূষণের অন্যতম উপাদান আর্সেনিক। আর্সেনিক মানব শরীরে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন জটিল রোগ সৃষ্টি করে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, দেশের মাত্র ৫৯ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পায়। পানি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ হাজার শিশু মারা যাচ্ছে সুপেয় পানির অভাবে। ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপদ উৎস থেকে পানি সংগ্রহের সুযোগ নেই এমন ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশুদ্ধ পানির সংকট ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পৃথিবীর বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে অদূর ভবিষ্যতে ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ পানি কমে আসবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এহেন পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে এবং গ্রিন হাউজ প্রভাব মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি। নিরাপদ পানি ছাড়া পৃথিবী প্রাণহীন। এ সংকট মোকাবেলায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকার থেকে সাধারণ জনগণ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে তৎপর হতে হবে।

মাহমুদুল হক হাসান