ভোলার বাস মালিক সমিতির নৈরাজ্য

ভোলা জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ জিম্মি হয়ে আছে গণপরিবহন বাস মালিক সমিতির কাছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন সেক্টরের গণপরিবহন মালিকরা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করেন। কিন্তু সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকার বাইরেও ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতি যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাসের আসন সংখ্যার দ্বিগুণ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী উঠানোর বিপরীতে কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করতে গেলেই বাস ড্রাইভার ও হেল্পার মিলে যাত্রীদের লাঞ্চিত করে।

ভোলা জেলায় অনেকগুলো ডিগ্রি ও অনার্স কলেজ থাকলেও উচ্চশিক্ষার জন্য স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একমাত্র ভোলা সরকারি কলেজ। এই কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ও অনার্স-মাস্টার্স মিলিয়ে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। এই জেলার প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলার শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য প্রতিদিন আসতে হয় ভোলা সরকারি কলেজ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজের নির্দিষ্ট বাস না থাকায় গণপরিবহন তথা বাসে আসা-যাওয়া করতে হয় তাদের। সরকার ঘোষিত স্টুডেন্টদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়ার কথা বলা থাকলেও ভোলা বাস মালিক সমিতি তা নিতে নারাজ। শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাস হেল্পার ও ড্রাইভার বিশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থীদের গালমন্দ করতে থাকেন।

যুগ যুগ ধরে মানুষকে এভাবে জিম্মি করে রেখেছে ভোলা বাস মালিক সমিতি। এ নৈরাজ্য যেনো দেখা’র মতো কেউ নেই। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, ভোলায় বাসে অতিরিক্ত ভাড়া, যাত্রী ও সময়মতো বাস না ছাড়া এবং শিক্ষার্থীদের কাছে ফুল ভাড়া নেওয়া থেকে মুক্তি চাই।

রাসেল হোসাইন

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩০ ভাদ্র ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪

ভোলার বাস মালিক সমিতির নৈরাজ্য

ভোলা জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ জিম্মি হয়ে আছে গণপরিবহন বাস মালিক সমিতির কাছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন সেক্টরের গণপরিবহন মালিকরা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করেন। কিন্তু সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকার বাইরেও ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতি যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাসের আসন সংখ্যার দ্বিগুণ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী উঠানোর বিপরীতে কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করতে গেলেই বাস ড্রাইভার ও হেল্পার মিলে যাত্রীদের লাঞ্চিত করে।

ভোলা জেলায় অনেকগুলো ডিগ্রি ও অনার্স কলেজ থাকলেও উচ্চশিক্ষার জন্য স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একমাত্র ভোলা সরকারি কলেজ। এই কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ও অনার্স-মাস্টার্স মিলিয়ে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। এই জেলার প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলার শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য প্রতিদিন আসতে হয় ভোলা সরকারি কলেজ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজের নির্দিষ্ট বাস না থাকায় গণপরিবহন তথা বাসে আসা-যাওয়া করতে হয় তাদের। সরকার ঘোষিত স্টুডেন্টদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়ার কথা বলা থাকলেও ভোলা বাস মালিক সমিতি তা নিতে নারাজ। শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাস হেল্পার ও ড্রাইভার বিশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থীদের গালমন্দ করতে থাকেন।

যুগ যুগ ধরে মানুষকে এভাবে জিম্মি করে রেখেছে ভোলা বাস মালিক সমিতি। এ নৈরাজ্য যেনো দেখা’র মতো কেউ নেই। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, ভোলায় বাসে অতিরিক্ত ভাড়া, যাত্রী ও সময়মতো বাস না ছাড়া এবং শিক্ষার্থীদের কাছে ফুল ভাড়া নেওয়া থেকে মুক্তি চাই।

রাসেল হোসাইন