দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইসির রোডম্যাপ প্রকাশ

রোডম্যাপে ১৪টি চ্যালেঞ্জ, ১১টি উত্তরণের বিষয় উল্লেখ রয়েছে

শহরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণ এবং সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর ঘোষণা দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে আগামী বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গতকাল এই রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়। তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সব দলের আস্থা অর্জন করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

অসুস্থ থাকায় রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

আহসান হাবিবের দাবি, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক বিভেদের মধ্যে ইসি আস্থা অর্জন ও প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও ছয় মাসের মধ্যে কিছুটা আস্থা অর্জনের দিকে এগিয়েছে।

এ কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশের মাধ্যমে নিজেদের জবাবদিহিতা ও বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতাও বাড়বে মন্তব্য করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্য একটাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা।

ইসি সবার আস্থা অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আহসান হাবিব বলেন, ‘আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন এবং আমরা অনেক আস্থাশীলতার ঘাটতির মধ্যে আছি। আমাদের কর্মকা- দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আমরা কিছুটা হলেও আগে থেকে আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, অংশীজন সবার সহযোগিতা দরকার। বাস্তবভিত্তিক ও সময়ভিত্তিক এ রোডম্যাপ বাস্তবায়ন হলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছোনো যাবে।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘পরিকল্পনা ধরেই এগিয়ে যাব আমরা। সবার সহযোগিতা পেলে অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হব।’

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে নির্বাচন কশিমনার মো. আলমগীর বলেন, ‘এ কর্মপরিকল্পনায় সবার মতামত রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। যেসব বিষয় আমাদের আওতায় রয়েছে, তা রাখা হয়েছে। তবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সুপারিশগুলো রাখা হয়নি।’

রোডম্যাপের ‘চ্যালেঞ্জগুলো’ ধরে মোকাবিলা করে সব কাজ বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, ‘ভোটের এখনও এক বছর চার মাস বাকি। অনেকে ইসি নিয়ে আস্থাহীনতায় থাকলেও আগামীতে কর্মকা- দেখে আস্থাশীল হবে।’

ইভিএমের পক্ষে ইসির যুক্তি

রোডম্যাপ অনুযায়ী, অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। এগুলো সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আসনগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবহার হবে। বাকি ১৫০ আসনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হবে।

ইভিএমে ভোট গ্রহণের যুক্তি তুলে ধরে রোডম্যাপে বলা হয়েছে, ইভিএমে কোন প্রকার জালিয়াতির সুযোগ নেই। বায়োমেট্রিক যাচাই করে ভোট দেয়ার সিস্টেম থাকায় জাল ভোট অর্থাৎ একজনের ভোট অন্যজনের দেয়ার সুযোগ নেই।

‘ওয়ান টাইম চিপস’ ব্যবহার ও ‘এমবেডেড পার্টস’ থাকায় একই সঙ্গে একজন ভোটার একাধিক ভোট দিতে পারেন না-জানিয়ে ইসি বলছে, ‘একই ইভিএম বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে ব্যবহার হয় বিধায় প্রোগ্রামে জালিয়াতি করা সম্ভব নয়। বিল্টইন ঘড়ি থাকায় নির্বাচন সময় আরম্ভ হওয়ার আগেও ভোট দেয়া যায় না।’

একইভাবে ভোট সময় শেষ হলে প্রিজাইডিং অফিসার বন্ধ বাটনে চাপ দিলে এরপর ভোট দেয়ার কোন সুযোগ থাকে না দাবি করে ইসির পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, ‘ভোট গণনা করতে হয় না, বাটনে চাপ দিলেই ফলাফল পাওয়া যায়। ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছেমতো বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব কিন্তু ইভিএমে এ ধরনের অন্যায় করার সুযোগ নেই।’

এছাড়া ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশগ্রহণকারী ২৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এর পক্ষে ১৭টি দল মত দিয়েছে। আর ১২টি দল ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে বলে ইসি উল্লেখ করেছে।

ইসির নানা চ্যালেঞ্জ

রোডম্যাপটিতে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনের ইভিএমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধু সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আসনগুলোয় ইভিএম ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

ইসির রোডম্যাপে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ও ১৯টি উত্তরণের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। রোডম্যাপে আরও যা বলা হয়েছে, তা হলো-

১. আইন সংস্কার : ২০২২ আগস্ট থেকে ২০২৩ ফেব্রুয়ারি।

২. সংলাপ : ২০২২ মার্চ-২০২২ ডিসেম্বর।

৩. সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস : ২০২৩ জানুয়ারি-২০২৩ জুন।

৪. আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার : আগস্ট ২০২২ থেকে ২০২৩ আগস্ট।

৫. নতুন দল নিবন্ধন : ২০২২ সেপ্টেম্বর-২০২৩ জুন।

৫. ভোটার তালিকা : ২০২২ হালনাগাদ শুরু মে, ২০২৩ মার্চে চূড়ান্ত প্রকাশ; তফশিল ঘোষণার সঙ্গে সংসদীয় আসন অনুযায়ী ৩০০ এলাকার তালিকা প্রস্তুত।

৭. ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ : ২০২৩ জুন-আগস্ট ২০২৩; তফশিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ।

৮. প্রশিক্ষণ : ২০২৩ জানুয়ারি থেকে তফশিল ঘোষণার পরও চলবে।

৯. পযবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন : জানুয়ারি ২০২৩ থেকে আস্ট ২০২৩।

ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের নভেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়। সেক্ষেত্রে পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ইসির দাবি, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ৪৪-৬২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে ১২টি আসনে ২৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ছয়টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ১৯টি উপজেলায় ২৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ১৭১টি পৌরসভায় ৫৮ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ৫১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬৮ দশমিক ৭২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়।

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০১ আশ্বিন ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইসির রোডম্যাপ প্রকাশ

রোডম্যাপে ১৪টি চ্যালেঞ্জ, ১১টি উত্তরণের বিষয় উল্লেখ রয়েছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শহরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণ এবং সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর ঘোষণা দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে আগামী বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গতকাল এই রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়। তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সব দলের আস্থা অর্জন করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

অসুস্থ থাকায় রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

আহসান হাবিবের দাবি, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক বিভেদের মধ্যে ইসি আস্থা অর্জন ও প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও ছয় মাসের মধ্যে কিছুটা আস্থা অর্জনের দিকে এগিয়েছে।

এ কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশের মাধ্যমে নিজেদের জবাবদিহিতা ও বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতাও বাড়বে মন্তব্য করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্য একটাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা।

ইসি সবার আস্থা অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আহসান হাবিব বলেন, ‘আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন এবং আমরা অনেক আস্থাশীলতার ঘাটতির মধ্যে আছি। আমাদের কর্মকা- দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আমরা কিছুটা হলেও আগে থেকে আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, অংশীজন সবার সহযোগিতা দরকার। বাস্তবভিত্তিক ও সময়ভিত্তিক এ রোডম্যাপ বাস্তবায়ন হলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছোনো যাবে।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘পরিকল্পনা ধরেই এগিয়ে যাব আমরা। সবার সহযোগিতা পেলে অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হব।’

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে নির্বাচন কশিমনার মো. আলমগীর বলেন, ‘এ কর্মপরিকল্পনায় সবার মতামত রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। যেসব বিষয় আমাদের আওতায় রয়েছে, তা রাখা হয়েছে। তবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সুপারিশগুলো রাখা হয়নি।’

রোডম্যাপের ‘চ্যালেঞ্জগুলো’ ধরে মোকাবিলা করে সব কাজ বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, ‘ভোটের এখনও এক বছর চার মাস বাকি। অনেকে ইসি নিয়ে আস্থাহীনতায় থাকলেও আগামীতে কর্মকা- দেখে আস্থাশীল হবে।’

ইভিএমের পক্ষে ইসির যুক্তি

রোডম্যাপ অনুযায়ী, অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। এগুলো সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আসনগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবহার হবে। বাকি ১৫০ আসনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হবে।

ইভিএমে ভোট গ্রহণের যুক্তি তুলে ধরে রোডম্যাপে বলা হয়েছে, ইভিএমে কোন প্রকার জালিয়াতির সুযোগ নেই। বায়োমেট্রিক যাচাই করে ভোট দেয়ার সিস্টেম থাকায় জাল ভোট অর্থাৎ একজনের ভোট অন্যজনের দেয়ার সুযোগ নেই।

‘ওয়ান টাইম চিপস’ ব্যবহার ও ‘এমবেডেড পার্টস’ থাকায় একই সঙ্গে একজন ভোটার একাধিক ভোট দিতে পারেন না-জানিয়ে ইসি বলছে, ‘একই ইভিএম বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে ব্যবহার হয় বিধায় প্রোগ্রামে জালিয়াতি করা সম্ভব নয়। বিল্টইন ঘড়ি থাকায় নির্বাচন সময় আরম্ভ হওয়ার আগেও ভোট দেয়া যায় না।’

একইভাবে ভোট সময় শেষ হলে প্রিজাইডিং অফিসার বন্ধ বাটনে চাপ দিলে এরপর ভোট দেয়ার কোন সুযোগ থাকে না দাবি করে ইসির পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, ‘ভোট গণনা করতে হয় না, বাটনে চাপ দিলেই ফলাফল পাওয়া যায়। ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছেমতো বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব কিন্তু ইভিএমে এ ধরনের অন্যায় করার সুযোগ নেই।’

এছাড়া ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশগ্রহণকারী ২৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এর পক্ষে ১৭টি দল মত দিয়েছে। আর ১২টি দল ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে বলে ইসি উল্লেখ করেছে।

ইসির নানা চ্যালেঞ্জ

রোডম্যাপটিতে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনের ইভিএমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধু সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আসনগুলোয় ইভিএম ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

ইসির রোডম্যাপে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ও ১৯টি উত্তরণের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। রোডম্যাপে আরও যা বলা হয়েছে, তা হলো-

১. আইন সংস্কার : ২০২২ আগস্ট থেকে ২০২৩ ফেব্রুয়ারি।

২. সংলাপ : ২০২২ মার্চ-২০২২ ডিসেম্বর।

৩. সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস : ২০২৩ জানুয়ারি-২০২৩ জুন।

৪. আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার : আগস্ট ২০২২ থেকে ২০২৩ আগস্ট।

৫. নতুন দল নিবন্ধন : ২০২২ সেপ্টেম্বর-২০২৩ জুন।

৫. ভোটার তালিকা : ২০২২ হালনাগাদ শুরু মে, ২০২৩ মার্চে চূড়ান্ত প্রকাশ; তফশিল ঘোষণার সঙ্গে সংসদীয় আসন অনুযায়ী ৩০০ এলাকার তালিকা প্রস্তুত।

৭. ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ : ২০২৩ জুন-আগস্ট ২০২৩; তফশিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ।

৮. প্রশিক্ষণ : ২০২৩ জানুয়ারি থেকে তফশিল ঘোষণার পরও চলবে।

৯. পযবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন : জানুয়ারি ২০২৩ থেকে আস্ট ২০২৩।

ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের নভেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়। সেক্ষেত্রে পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ইসির দাবি, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ৪৪-৬২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে ১২টি আসনে ২৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ছয়টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ১৯টি উপজেলায় ২৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ১৭১টি পৌরসভায় ৫৮ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ৫১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬৮ দশমিক ৭২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়।