এসএসসি পরীক্ষা আজ শুরু, কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে কেউ ঢুকতে পারবে না

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। এবার যানজট পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে কাউকে ঢুকতে নিষেধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পরীক্ষা চলার সময় কেন্দ্রগুলোয় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ডিএমপি। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ আদেশ পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

রুটিন অনুযায়ী, প্রতিদিন ১১টা থেকে তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ১ অক্টোবর শেষ হবে। এরপর ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়ায় বৃষ্টিবাদল থাকলেও বৃহস্পতিবার (আজ) শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা নেই। যথারীতি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি এ পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবসহ যেকোন ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন। এবার মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে বিদেশের কেন্দ্র সংখ্যা আটটি। ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর কেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি এবং প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৫৫৬টি।

এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী।

আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে।

গত বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি বোর্ডের অধীনে অংশ নিয়েছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। এ হিসাবে এক বছরে মোট পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন।

এ বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছর আট বোর্ডে অংশ নিয়েছিল ১৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী। এ হিসাবে এক বছরে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে দুই লাখ ১৭ হাজার ৪০৫ জন পরীক্ষার্থী কমেছে।

করোনা মহামারীর কারণে এবার পরীক্ষার বিষয়, নম্বর ও সময় কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এরমধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট এবং সিকিউ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট করা হয়েছে।

এ বছর এসএসসিতে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। পরীক্ষা হবে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃতি, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কোন কারণে দেরি হলে তার প্রয়োজনীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে বোর্ডে পাঠাতে হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেয়া হবে।

এছাড়া প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিটসহ শিক্ষক বা অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০১ আশ্বিন ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪

এসএসসি পরীক্ষা আজ শুরু, কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে কেউ ঢুকতে পারবে না

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। এবার যানজট পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে কাউকে ঢুকতে নিষেধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পরীক্ষা চলার সময় কেন্দ্রগুলোয় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ডিএমপি। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ আদেশ পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

রুটিন অনুযায়ী, প্রতিদিন ১১টা থেকে তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ১ অক্টোবর শেষ হবে। এরপর ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়ায় বৃষ্টিবাদল থাকলেও বৃহস্পতিবার (আজ) শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা নেই। যথারীতি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি এ পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবসহ যেকোন ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন। এবার মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে বিদেশের কেন্দ্র সংখ্যা আটটি। ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর কেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি এবং প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৫৫৬টি।

এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী।

আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে।

গত বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি বোর্ডের অধীনে অংশ নিয়েছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। এ হিসাবে এক বছরে মোট পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন।

এ বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছর আট বোর্ডে অংশ নিয়েছিল ১৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী। এ হিসাবে এক বছরে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে দুই লাখ ১৭ হাজার ৪০৫ জন পরীক্ষার্থী কমেছে।

করোনা মহামারীর কারণে এবার পরীক্ষার বিষয়, নম্বর ও সময় কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এরমধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট এবং সিকিউ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট করা হয়েছে।

এ বছর এসএসসিতে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। পরীক্ষা হবে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃতি, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কোন কারণে দেরি হলে তার প্রয়োজনীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে বোর্ডে পাঠাতে হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেয়া হবে।

এছাড়া প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিটসহ শিক্ষক বা অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।