ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দশ হাজার ছুঁই ছুঁই

২৪ ঘণ্টায় ৩৮৯ জন হাসপাতালে

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে নতুন করে আরও ৩৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ২৬৪ জন ও ঢাকার বাইরে ১২৫ জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯ হাজার ৮৩৭ জন। রাতে এই সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁই ছুঁই হবে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৯ জন।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে এক হাজার ২৫১ জন। তার মধ্যে ঢাকায় ৯২৯ জন ভর্তি আছে। ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩২২ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা ছাড়পত্র নিয়েছে ৮ হাজার ৫৪৭ জন। অন্যরা এখনও ভর্তি আছে। এভাবে প্রতিদিন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বাড়ছে মৃত্যুও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার বাড়ছে। এডিশ মশা মানুষকে কামড় দিলে ডেঙ্গুজ্বর হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড় দেয়া কোন মশা আবার সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে তিনিও আক্রান্ত হবেন। আর কেউ অসুস্থ হয়ে গ্রামে গেলে তাকে কোন মশা কামড় দিয়ে নতুন করে অন্যজনকে কামড় দিলে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবেন। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০১ আশ্বিন ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দশ হাজার ছুঁই ছুঁই

২৪ ঘণ্টায় ৩৮৯ জন হাসপাতালে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে নতুন করে আরও ৩৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ২৬৪ জন ও ঢাকার বাইরে ১২৫ জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯ হাজার ৮৩৭ জন। রাতে এই সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁই ছুঁই হবে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৯ জন।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে এক হাজার ২৫১ জন। তার মধ্যে ঢাকায় ৯২৯ জন ভর্তি আছে। ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩২২ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা ছাড়পত্র নিয়েছে ৮ হাজার ৫৪৭ জন। অন্যরা এখনও ভর্তি আছে। এভাবে প্রতিদিন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বাড়ছে মৃত্যুও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার বাড়ছে। এডিশ মশা মানুষকে কামড় দিলে ডেঙ্গুজ্বর হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড় দেয়া কোন মশা আবার সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে তিনিও আক্রান্ত হবেন। আর কেউ অসুস্থ হয়ে গ্রামে গেলে তাকে কোন মশা কামড় দিয়ে নতুন করে অন্যজনকে কামড় দিলে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবেন। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।