কানের দুলের লোভে শিশু হত্যা, বস্তাবন্দী করে লুকিয়ে রাখে লাশ

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নে সায়মা জাহান (৮) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ ঘরের আলমারি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে শিবপুর মডেল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই ইউনিয়নের আখড়া মন্দিরের পাশে আজিম উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফ মিয়ার ঘরের আলমারি থেকে বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে একই দিন দুপুরে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয় সায়মা। নিহত সায়মা জাহান উপজেলার যোশর গ্রামের সারোয়ার জাহানের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শিশু সায়মা জাহান মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এ সময় কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে খেলতে যাওয়া পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফ মিয়ার শিশুসন্তানকে জিজ্ঞেস করলে সে জানান, সায়মা তাদের ঘরে আছে। এদিকে হানিফের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আলমারিতে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভাড়াটিয়া হানিফ ও তার স্ত্রী শেলী বেগমকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, শিশু সায়মা জাহানের কানে (স্বর্ণ) দুল ছিল। দুল দুটো নিতেই এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে।

শিবপুর মডেল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে এ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে নিহত শিশুর শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০১ আশ্বিন ১৪২৯ ১৭ সফর ১৪৪৪

কানের দুলের লোভে শিশু হত্যা, বস্তাবন্দী করে লুকিয়ে রাখে লাশ

জেলা বার্তা প্রতিবেদক, নরসিংদী

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নে সায়মা জাহান (৮) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ ঘরের আলমারি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে শিবপুর মডেল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই ইউনিয়নের আখড়া মন্দিরের পাশে আজিম উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফ মিয়ার ঘরের আলমারি থেকে বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে একই দিন দুপুরে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয় সায়মা। নিহত সায়মা জাহান উপজেলার যোশর গ্রামের সারোয়ার জাহানের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শিশু সায়মা জাহান মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এ সময় কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে খেলতে যাওয়া পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফ মিয়ার শিশুসন্তানকে জিজ্ঞেস করলে সে জানান, সায়মা তাদের ঘরে আছে। এদিকে হানিফের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আলমারিতে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভাড়াটিয়া হানিফ ও তার স্ত্রী শেলী বেগমকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, শিশু সায়মা জাহানের কানে (স্বর্ণ) দুল ছিল। দুল দুটো নিতেই এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে।

শিবপুর মডেল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে এ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে নিহত শিশুর শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।