বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

স্বর্ণের দাম কমেছে। চার দিনের ব্যবধানে ভরিতে ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি ৮৩ হাজার ২৮১ টাকায় নেমে এসেছে। গত বুধবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণ ৮৪ হাজার ৫৬৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্য মানের স্বর্ণের দামও প্রায় একই হারে কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস।

বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গত বুধবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ গতকাল থেকে এই নতুন দর বাজারে কার্য?কর হচ্ছে। ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে এক ভরি হিসাব করা হয়।

গতকাল থেকে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ৮৩ হাজার ২৮১ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেটের সোনা কিনতে লাগবে ৭৯ হাজার ৪৯০ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ৫৬ হাজার ৪৫৪ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ১০ সেপ্টেম্বর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্থানীয় বাজারে প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৪ হাজার ৫৬৪ টাকায় উঠেছিল। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর সোনার দাম একই পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত বাজুসের বেঁধে দেয়া দামে স্বর্ণ বিক্রি করতে অনুরোধ করা হয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮৪ হাজার ৫৬৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ কিনতে লেগেছে ৮০ হাজার ১১৫ টাকা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৬৯ হাজার ১৬৭ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ কিনতে লেগেছে ৫৭ হাজার ৩৮৭ টাকা। তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের দামেই বিক্রি হবে এই ধাতু।