দেশে ছয় মাসে আমানত কমেছে ৪১৯ কোটি টাকা

চলতি বছরের ছয় মাসে দেশে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ৪১৯ কোটি টাকা কমেছে। আমানত কমার পাশাপাশি বেড়েছে ঋণের স্থিতি। কমেছে ঋণ আদায়ও।

গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতি ৩ মাস পরপর ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২১ সালের জুনে আমানত ছিল ৪২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। ২০২২ সালের জুনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। গত এক বছরের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৫১৭ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে আমানত ছিল ৪২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আমানত কমেছে ৪১৯ কোটি টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি আমানত নিতে পারে না। শুধু মেয়াদি আমানত নিতে পারে। যে কারণে মেয়াদি আমানতই এদের প্রাণ। সেই মেয়াদি আমানতের হারও কমে যাচ্ছে। গত বছরের জুনে মেয়াদি আমানত ছিল সাড়ে ৯৮ শতাংশ। গত জুনে তা কমে ৯৭ দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

আলোচ্য সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত কমলেও ঋণের স্থিতি বেড়েছে। ঋণ আদায় কম হওয়ায় ঋণের স্থিতি বেড়েছে। গত এক বছরের ব্যবধানে ঋণের স্থিতি বেড়েছে ২ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুনে মোট ঋণ ছিল ৬৭ হাজার ২৭ কোটি টাকা। গত জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৮০ কোটি টাকা। ঋণ বাড়লেও আদায় কমেছে।

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪

দেশে ছয় মাসে আমানত কমেছে ৪১৯ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

চলতি বছরের ছয় মাসে দেশে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ৪১৯ কোটি টাকা কমেছে। আমানত কমার পাশাপাশি বেড়েছে ঋণের স্থিতি। কমেছে ঋণ আদায়ও।

গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতি ৩ মাস পরপর ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২১ সালের জুনে আমানত ছিল ৪২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। ২০২২ সালের জুনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। গত এক বছরের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৫১৭ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে আমানত ছিল ৪২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আমানত কমেছে ৪১৯ কোটি টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি আমানত নিতে পারে না। শুধু মেয়াদি আমানত নিতে পারে। যে কারণে মেয়াদি আমানতই এদের প্রাণ। সেই মেয়াদি আমানতের হারও কমে যাচ্ছে। গত বছরের জুনে মেয়াদি আমানত ছিল সাড়ে ৯৮ শতাংশ। গত জুনে তা কমে ৯৭ দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

আলোচ্য সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত কমলেও ঋণের স্থিতি বেড়েছে। ঋণ আদায় কম হওয়ায় ঋণের স্থিতি বেড়েছে। গত এক বছরের ব্যবধানে ঋণের স্থিতি বেড়েছে ২ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুনে মোট ঋণ ছিল ৬৭ হাজার ২৭ কোটি টাকা। গত জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৮০ কোটি টাকা। ঋণ বাড়লেও আদায় কমেছে।